পায়রায় বেতন কমাতে বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠি
Published: 7th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তার উচ্চ বেতন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোয় ‘পায়রায় তিন গুণ বেতন নিয়ে প্রশ্ন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের এক দিন পরই এমন নির্দেশনা এল।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বিসিপিসিএলে পাঠানো এক তাগিদপত্রে বলা হয়, ‘বিসিপিসিএলের টপ ম্যানেজমেন্টের; অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ও গ্রেড-২–এর কর্মকর্তাদের বেতনকাঠামো সরকারি ইউনিফাইড সার্ভিস রুলস অনুযায়ী সংশোধন বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা বিদ্যুৎ বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পরামর্শ প্রদান করা হলো।’
এতে বলা হয়, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য নির্ধারিত বেতনকাঠামো যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে অনুসৃত হলেও বিসিপিসিএল কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক হারে বেতন প্রদানের বিষয়ে ৬ মে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুসারে বেতনকাঠামো সংশোধন করতে গত ১৭ নভেম্বর বিসিপিসিএলকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত জানায়নি বিসিপিসিএল।
প্রসঙ্গত, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য নির্ধারিত একটি বেতনকাঠামো রয়েছে। যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও সেই কাঠামো অনুসরণ করা হয়। ২০১৬ সালে যখন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়, তখন সেখানেও একই কাঠামো অনুসরণ করে বেতন ঠিক করা হয়। অবশ্য ২০১৯ সালে এক বোর্ড সভায় শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোয় বেতন অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এটি কার্যকর হয় ২০২০ সালে।
ওই সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মূল বেতন (বেসিক) ১ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭ লাখ টাকা। সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা যোগ করে মোট বেতন দাঁড়ায় ১৫ লাখ টাকা। বেতনকাঠামোর দ্বিতীয় ধাপের (গ্রেড) কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১ লাখ ৪৯ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভাতাসহ দাঁড়ায় প্রায় ৯ লাখ টাকা। যদিও মধ্যম পর্যায়ে বেতন বাড়ানো হয় সামান্য হারে। নিম্ন পর্যায়ে বেতন মোটেও বাড়েনি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করে একই বছরের ২৬ আগস্ট। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এখন পর্যন্ত কেন্দ্র ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
আরও পড়ুনপায়রায় তিন গুণ বেতন নিয়ে প্রশ্ন ০৬ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র ব স প স এল ব তনক ঠ ম ব যবস থ পর য য়
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অপু বিশ্বাস
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির হয়ে জামিন চান। শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে উপস্থিত হন আপু বিশ্বাস। এরপর আদালতের এজলাসের পেছনের সারির বেঞ্চে বসেন। শুনানিকালে এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আপু বিশ্বাস।
আরো পড়ুন:
গোপনে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী রূপালি
বরেণ্য অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন
গত ১০ জুলাই অপু বিশ্বাস সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল বলেন, “গত ২ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান অপু বিশ্বাস। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অপু বিশ্বাস স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।”
রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন অপু বিশ্বাস। মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একজন ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে। এই মামলায় অপু বিশ্বাস ছাড়াও আরো ১৬ জন শিল্পীর নাম রয়েছে এজাহারে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা সরকারি দলের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
একই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। দুইদিনের মাথায় জামিন পান এই অভিনেত্রী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এসময় এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনশ’-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন এনামুল হক। এই মামলায় ২০৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি অপু বিশ্বাস।
মামলায় অপু বিশ্বাস, আশনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত