মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে
Published: 7th, May 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনা ও বিজেপি সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন মাদক পাচার ও হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বুধবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার সোয়া ১১টায় মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির ৩৪ জন সদস্যকে বাসে করে বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। পরে পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে মিয়ানমারের নাগরিক ৬ আসামিকে নেওয়া হয়। এরপরই তাদের ফেরত পাঠাতে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ‘মিয়ানমার এয়ারলাইন্সের’ এটিআর ৭২’ মডেলের একটি বিমান। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিমানটি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো.
এর আগে সোমবার বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জের ধরে সীমান্ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসহ সাধারণ নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তারা কক্সবাজারে এতদিন বিজিবির হেফাজতেই ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ৩৪ জনকে ফেরত পাঠানোর একটি তালিকা দিয়েছে। তারাসহ কক্সবাজার কারাগারে সাজাভোগ শেষে দেশটির ৬ জন নাগরিককেও একই সাথে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে তিন দফায় পালিয়ে আসা আরও ৭৫২ জনকে স্বদেশে ফেরত নিয়েছিল মিয়ানমার জান্তা সরকার। আর সে দেশে কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফিরেছে ২১৪ বাংলাদেশি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একসময় কমেডিয়ান হতে চেয়েছিলাম: বিটিএসের আরএম
‘আমি সব সময় স্পটলাইটে থাকতে পছন্দ করি। এটা ছোটবেলায়ও ছিল, এখনো একই আছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাওয়া আমি কখনো ভুল মনে করি না।’ নিজের সম্পর্কে এভাবেই বলেন বিটিএসের দলনেতা কিম নামজুন, যাকে সবাই আরএম নামেই চেনেন। সম্প্রতি হার্পারস বাজার কোরিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবন, ক্যারিয়ার, সেনাবাহিনীকাল এবং ভক্তদের প্রতি নিজের মনোভাব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বিশ্বসংগীতের আলোচিত এই তারকা।
অনেকেই বলে থাকেন তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভালোবাসেন। সাক্ষাৎকারে আরএম সেটা অকপটে স্বীকারও করেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় তাঁর ডাকনাম ছিল টক বক্স। ইন্টারনেট থেকে মজার গল্প সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করা, পাবলিক স্পিকিং, প্রেজেন্টেশন—এসবই তাঁর শখ ছিল। ‘মানুষকে হাসাতে পছন্দ করতাম। একসময় কমেডিয়ান হতে চেয়েছিলাম। তাই মনোযোগ পাওয়ার এই ইচ্ছা এখনো রয়েছে’, বলেন আরএম।
আরএম