বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সাইবারনিউজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে ২০০টির বেশি তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ১ হাজার ৯০০ কোটির বেশি পাসওয়ার্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ায় সাইবার অপরাধীসহ যেকোনো ব্যক্তি সেগুলো ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করতে পারে।

সাইবারনিউজের গবেষক দলের তথ্যমতে, চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ ছিল স্বতন্ত্র। বাকি ৯৪ শতাংশই একাধিক অ্যাকাউন্টে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। এ বিষয়ে সাইবারনিউজের তথ্য নিরাপত্তা গবেষক নেরিনগা মাচিয়াউস্কাইতে বলেন, ‘অধিকাংশ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এখন কেবল দুই স্তরের যাচাইকরণ সুবিধার ওপর নির্ভর করছে।’

আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড কোনগুলো, জানেন ০২ জানুয়ারি ২০২৫

গবেষকদের মতে, রাউটার বা মুঠোফোনে ‘ডিফল্ট পাসওয়ার্ড’ দেওয়া থাকে। অনেক ব্যবহারকারী সেগুলো পরিবর্তন না করেই রেখে দেন অথবা অন্য অ্যাকাউন্টেও একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। ফাঁস হওয়া প্রায় ৮ শতাংশ পাসওয়ার্ডে ব্যবহারকারীর নিজের নাম রয়েছে, যা অনুমান করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

আরও পড়ুনঅনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে২১ আগস্ট ২০২৪

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে গবেষকেরা জানিয়েছেন, কোনো পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি পাসওয়ার্ড অন্তত ১২ অক্ষরের হতে হবে। পাসওয়ার্ড অবশ্যই ছোট-বড় অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন থাকতে হবে। কোনো শব্দ, নাম, ধারাবাহিক সংখ্যা বা পরিচিত প্যাটার্ন ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বস্ত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প সওয় র ড প সওয

এছাড়াও পড়ুন:

আজ রাতেই আওয়ামী লীগের ফায়সালা: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে  না। আসামীদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।’

তিনি লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠবো না।’ 

সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ লেখেন, সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সকল শক্তি, সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ