এক বছরে ১ হাজার ৯০০ কোটি পাসওয়ার্ড চুরি, আপনার পাসওয়ার্ড নিরাপদ তো
Published: 8th, May 2025 GMT
বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সাইবারনিউজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে ২০০টির বেশি তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ১ হাজার ৯০০ কোটির বেশি পাসওয়ার্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ায় সাইবার অপরাধীসহ যেকোনো ব্যক্তি সেগুলো ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করতে পারে।
সাইবারনিউজের গবেষক দলের তথ্যমতে, চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ ছিল স্বতন্ত্র। বাকি ৯৪ শতাংশই একাধিক অ্যাকাউন্টে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। এ বিষয়ে সাইবারনিউজের তথ্য নিরাপত্তা গবেষক নেরিনগা মাচিয়াউস্কাইতে বলেন, ‘অধিকাংশ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এখন কেবল দুই স্তরের যাচাইকরণ সুবিধার ওপর নির্ভর করছে।’
আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড কোনগুলো, জানেন ০২ জানুয়ারি ২০২৫গবেষকদের মতে, রাউটার বা মুঠোফোনে ‘ডিফল্ট পাসওয়ার্ড’ দেওয়া থাকে। অনেক ব্যবহারকারী সেগুলো পরিবর্তন না করেই রেখে দেন অথবা অন্য অ্যাকাউন্টেও একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। ফাঁস হওয়া প্রায় ৮ শতাংশ পাসওয়ার্ডে ব্যবহারকারীর নিজের নাম রয়েছে, যা অনুমান করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
আরও পড়ুনঅনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে২১ আগস্ট ২০২৪শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে গবেষকেরা জানিয়েছেন, কোনো পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি পাসওয়ার্ড অন্তত ১২ অক্ষরের হতে হবে। পাসওয়ার্ড অবশ্যই ছোট-বড় অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন থাকতে হবে। কোনো শব্দ, নাম, ধারাবাহিক সংখ্যা বা পরিচিত প্যাটার্ন ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বস্ত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প সওয় র ড প সওয
এছাড়াও পড়ুন:
কেন আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি চায় যুক্তরাষ্ট্র, সিএনএনকে জানাল সূত্র
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর এবার দেশটিকে হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তান যদি ঘাঁটিটি ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি না হয়, তাহলে দেশটির জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে ঘাঁটিটি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কাবুল।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। তখন তাদের প্রধান ঘাঁটি ছিল বাগরাম। টানা দুই দশক ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ২০২১ সালে তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে ঘাঁটিটিসহ আফগানিস্তান ছাড়েন মার্কিন সেনারা। তার পর থেকে ঘাঁটিটি ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গতকাল শনিবার ট্রাম্প লেখেন, ‘বাগরাম ঘাঁটিটি যারা নির্মাণ করেছে, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যদি ঘাঁটিটি ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’ তবে এই ‘খারাপ কিছু’ যে আসলে কী, তা খোলাসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সামনে বাগরাম নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ট্রাম্প।
সেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, চীনকে মোকাবিলার জন্যই ঘাঁটিটি আবার ফিরে পেতে চায় ওয়াশিংটন। কারণ, চীন যেখানে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র এক ঘণ্টার পথ। ট্রাম্প এ–ও বলেছিলেন যে তালেবানের সম্মতি নিয়েই ঘাঁটিটির দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা নাকচ করা হয়।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পবাগরাম ফিরে পেতে নিজের প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প আলাপ করছেন বলে উল্লেখ করেছে বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন তিনটি সূত্র। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তারা বলে, অন্তত এক মাস ধরে ঘাঁটিটি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে আলোচনা চলছে।
বাগরাম ঘাঁটির একটি রানওয়ে