ওয়ালটনের অত্যাধুনিক ফিচার-সমৃদ্ধ নতুন মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ উন্মোচ
Published: 8th, May 2025 GMT
ঈদ উপলক্ষে আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার-সমৃদ্ধ সাতটি নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করল বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে আছে 8in1 কনভার্টিবল মোডের ডলবি সাউন্ডযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ২১.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, আইওটি ও এআই ডক্টরসহ সর্বাধুনিক ফিচারের থ্রি ডোরের সাইড বাই সাইড মডেলের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড-সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোর মডেল, ওয়াটার ডিস্পেনসারের বটম ও মাউন্টেড মডেল, ডিজিটাল কন্ট্রোল ডিসপ্লের সেমি নো-ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটরসহ স্লিম ডিজাইনের ফ্রিজার।
বৃহস্পতিবার (৮ মে, ২০২৫) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘মেগা লঞ্চ ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে এসব নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করেন ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো.
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও মো. তাহসিনুল হক বলেন, গ্রাহকের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছেন ওয়ালটনের গবেষণা ও উদ্ভাবন (আরএন্ডআই) টিমের প্রকৌশলীরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা বিশ্বের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী ডিজাইন, প্রযুক্তি ও ফিচারের নতুন নতুন মডেলের ফ্রিজ গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছি।
তিনি জানান, ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হয় এআই, আইওটিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার, যা বিশ্বের সকল আধুনিক ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতায় আরো এক অনন্য নজির সৃষ্টি করল ওয়ালটন।
ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে আছে ৬২০ লিটার ধারণক্ষমতার ‘বিগ ডিসপ্লে’ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর। এতে আছে খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের ২১.৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড ডিসপ্লে এবং স্টেরিও সাউন্ড সিস্টেম। এতে গ্রাহকরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের ফিচারসহ ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি মাল্টিমিডিয়ার সকল ফাংশন পাবেন। ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই ফ্রিজে আছে মেটাল ও ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এই ফ্রিজে ব্যবহৃত এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। 8in1 কনভার্টিবল মোডের এই ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমতো সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার।
ওয়ালটনের নতুন মডেলের ৫৬০ লিটার ধারণক্ষমতার থ্রি ডোর স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি, ডুয়েল টেম্পারেচার কন্ট্রোলসহ হলিডে, টারবো ও সুপার মোড কুলিং সেটিংস। এসব ফ্রিজে সংযোজন করা হয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত ‘এআই ডক্টর’ ফিচার। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম আইওটি স্মার্ট ফ্রিজে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফিচার সংযোজন করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এই ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের কুলিং পারফরমেন্স, সেন্সরসহ অন্যান্য কম্পোনেন্টসে কোনো সমস্যা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে তৎক্ষণাৎ নিজেই সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে, সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের বাসার নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে বাসায় গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দেবে। ফলে, গ্রাহক ফ্রিজের কোনো অস্বাভাবিকতা বোঝার অনেক আগেই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবা। এছাড়াও এআইওটি ফিচার-সমৃদ্ধ এই ফ্রিজ গ্রাহকরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করতে পারবেন।
এছাড়াও ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৩৪৩ ও ৩০৮ লিটার ধারণক্ষমতার ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড-সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোরের রেফ্রিজারেটর, ২৬৮ লিটারের ‘ওয়াটার ডিসপেন্সার’ মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৩৪৮ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোজির সেমি নো ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটর এবং স্লিম ডিজাইনের ডিজিটাল কন্ট্রোল ডিসপ্লে-সমৃদ্ধ ২১০ লিটারের ফ্রিজার।
ওয়ালটন ফ্রিজ আরঅ্যান্ডআই সেন্টারের প্রকৌশলীরা জানান, নতুন মডেলের ফ্রিজগুলোতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মি সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে, ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ন থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে। ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাঙ্ক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় ওপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পরে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রাহকরা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার-সমৃদ্ধ নতুন মডেলের ফ্রিজ অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারবেন। বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের বিগ ডিসপ্লে ফ্রিজের দাম ৩ লাখ টাকার থেকে বেশি। অন্যদিকে, ওয়ালটনের খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের অ্যান্ড্রয়েড বিগ ডিসপ্লে স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের দাম পড়বে প্রায় ২ লাখ টাকা।
ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। এছাড়াও আছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ট ল জ ন এসব ফ র জ এই ফ র জ গ র হক র অন ষ ঠ ন অন য ন য ব যবহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাহাড় থেকে পৃথিবীর পথে
পিঠে থুরুং (ঝুড়ি) বাঁধা এক জুমিয়া নারী। মাথায় পাগড়ির বা শিরস্ত্রাণের মতো একটা ট্যাংক। ছবির পরিসরজুড়ে বিশালাকৃতির সেই নারীর চারপাশে বন্দুকধারী অসংখ্য ছায়ামূর্তি। তাদের আকৃতি নারীর তুলনায় বহুগুণ খর্বকায়। ট্যাংকের নল দিয়ে সেসব ছায়ামূর্তির ওপর পড়ছে পাতা আর ফুল।
শিল্পী জয়দেব রোয়াজা কালি ও কলমে এই ছবি এঁকেছিলেন ২০২৩ সালে। তাঁর অন্য সব ছবির মতোই এটিও পাহাড়ের সমকালীন অবস্থাই কেবল তুলে ধরে না; বরং তাকে ভীষণভাবে ছাপিয়ে যায়। বাস্তবতা পেরিয়ে জাদুবাস্তবতার সীমায় এসে দাঁড়ায়। মানুষের জীবন, সংগ্রাম আর প্রকৃতি সব ভেঙেচুরে কবিতার একটি পঙ্ক্তির ভেতরে যেন প্রবেশ করে।
১৯৭৩ সালে খাগড়াছড়ির খামারপাড়ার একটি ত্রিপুরা পরিবারে জন্ম জয়দেব রোয়াজার। মা নীহারিকা ত্রিপুরা আর বাবা হিরণ্ময় রোয়াজা। হিরণ্ময় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন। শান্ত নিরিবিলি পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা। পাহাড়, ঝিরি, ঝরনা আর জুমখেত দেখতে দেখতে বড় হওয়া। স্কুলে কবিতার বইয়ের ইলাস্ট্রেশন নকল করে খাতায় আঁকতেন। কবিতার চেয়ে ভালো লাগত ইলাস্ট্রেশন। শেষে এই ভালো লাগারই জয় হলো। বাংলাদেশের এই সময়কার এক উজ্জ্বল শিল্পী জয়দেব। তাঁর শিল্পকর্মের পরিচিতি ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে।
একনজরে জয়দেবচারুকলার নতুন মাধ্যম পারফরম্যান্স আর্ট। জয়দেব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই এই মাধ্যমের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই ধারার শিল্পীরা নিজের শরীরকেই করে তোলেন ক্যানভাস। সঙ্গে থাকে নানা প্রকাশভঙ্গি। পারফরম্যান্স করতে গিয়ে ছবি আঁকা ছাড়েননি তিনি। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের যেমন স্টোরিবোর্ড, তেমনি জয়দেবের পারফরম্যান্সের প্রতিটি ভঙ্গির ছবি আঁকা থাকে তাঁর স্কেচ খাতায়। এভাবেই দুই মাধ্যমকে যুক্ত করেছেন নিজের ধরনে। পাশাপাশি বড় ক্যানভাসেও ছবি আঁকেন। কালি ও কলমেই সিদ্ধহস্ত তিনি।
ভারতের কোচি বিয়েনাল, হংকং আর্ট বেজেল, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে এশিয়া প্যাসিফিক ট্রায়েনিয়ালে অংশ নিয়েছেন তিনি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১১টির বেশি দেশে তিনি পারফরম্যান্স করেছেন। হয়েছে চিত্র প্রদর্শনীও। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের টেট মডার্ন মিউজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট, চীনের হংকংয়ের এম প্লাস, ফ্রান্সের প্যারিসের ক্যাডিস্ট ফাউন্ডেশন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির গুগেনহাইম, ভারতের নয়াদিল্লির কিরণ নাদার মিউজিয়ামসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বহু জাদুঘরে তাঁর শিল্পকর্ম রক্ষিত আছে। বাংলাদেশে তাঁর শিল্পসংগ্রহ রয়েছে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন এবং দুর্জয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে। শিল্পবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রকাশনা আর্ট রিভিউ এশিয়া, আর্ট নিউজ, ফোর্বস এবং ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু পত্রিকায় তাঁর শিল্পকর্মের সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে। আবুধাবির গুগেনহাইম মিউজিয়াম জয়দেবের একটি শিল্পকর্ম বেশ ভালো দামে কিনে নিয়েছে। বর্তমানে তিনি মুম্বাইভিত্তিক ঝাভেরি কনটেমপোরারি গ্যালারির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।
পাহাড় আর ঝিরির পথে পথেখাগড়াছড়ি আর রাঙামাটির ঝিরি পথে বা কাপ্তাই হ্রদের নির্জনতায় সময় কাটে জয়দেব রোয়াজার। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এলেও জীবন কাটান পাহাড়ি জুমিয়াদের মতো। কখনো মাছ ধরতে চলে যান জেলেদের সঙ্গে। আবার কখনো ঝিরি পথে হেঁটে হেঁটে দিন কাটে তাঁর। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কামিলাছড়ি গ্রামে নির্জন হ্রদের ধারে গড়ে তুলেছেন স্টুডিও। সেখানে সপ্তাহের দুই দিন কাটে তাঁর। পাহাড় ও পাহাড়ের মানুষজনকে নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বুনে তোলেন ক্যানভাসে।
জয়দেব দেশের শিল্পীসমাজ ও শিল্পবোদ্ধাদের জগৎ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। তাঁর কথায়, ঢাকা তাঁকে কখনো টানে না। দু-এক দিন ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকলে হাঁপিয়ে ওঠেন। ভাবেন, কখন ফিরবেন পাহাড়ে।
সম্প্রতি কামিলাছড়িতে তাঁর স্টুডিওতে গিয়ে দেখা গেল আট ফুট দীর্ঘ একটি ক্যানভাসে কাজ করছেন তিনি। তিনতলা স্টুডিওর বারান্দায় এসে দাঁড়ালে অবারিত নীল হ্রদের হাতছানি। হ্রদের পাড়ে ঢেউখেলানো পাহাড়ের সারি। সেদিকে তাকালে আচ্ছন্ন হয়ে যেতে হয়। বারান্দায় বসে কথায় কথায় জানালেন নির্জন এই পাহাড়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে ছবি বিক্রির টাকায় এই স্টুডিও গড়ে তুলেছেন। স্ত্রী হাসনাহেনা পরশের সঙ্গে মিলে জঙ্গল পরিষ্কার করেছেন। একটাই চাওয়া, একটু আড়াল, একটু নির্জনতা। ছবি আঁকার জন্য এটুকু পরিসর চেয়েছেন জীবন থেকে।
জয়দেব রোয়াজা