সেমিনারে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ পেলেন জবি শিক্ষার্থী
Published: 8th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুন নাহার শ্রাবণী যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত এসইউএসআই ফর গ্লোবাল স্টুডেন্ট লিডার্স প্রোগ্রামে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। আগামী জুন-জুলাই মাসে তিনি নেভাডায় এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইউএস অ্যাম্বাসি: এক্সচেঞ্জ অপরচুনিটিস’ সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি এ সুযোগ লাভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.
আরো পড়ুন:
‘শিশুদের সঠিক শিক্ষা দিলে দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে আগাবে’
৪ দাবিতে জবির প্রশাসনিক ভবনে তালা শিক্ষার্থীদের
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুন নাহার। তিনি নিজেও একজন ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
উপাচার্য শ্রাবণীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। আন্তর্জাতিক পরিসরে আমাদের শিক্ষার্থীদের এমন স্বীকৃতি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতার প্রতিফলন।”
নিজের অনুভূতি জানিয়ে শ্রাবণী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বিশ্বমঞ্চে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জীবনের গর্বের মুহূর্ত। আল্লাহর অশেষ রহমত, মায়ের দোয়া এবং শিক্ষকদের সহায়তায় আজকের এ অর্জন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা অধ্যাপক শামসুন নাহার ম্যামের প্রতি, তার সেমিনারই ছিল আমার যাত্রার শুরু।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো শিক্ষার্থী এসইউএসআই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এ অর্জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ ও শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল এক্সপোজারের পথে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান।
তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া
বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত
ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।
তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।
দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।
অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
ঢাকা/রাসেল