জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুন নাহার শ্রাবণী যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত এসইউএসআই ফর গ্লোবাল স্টুডেন্ট লিডার্স প্রোগ্রামে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। আগামী জুন-জুলাই মাসে তিনি নেভাডায় এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইউএস অ্যাম্বাসি: এক্সচেঞ্জ অপরচুনিটিস’ সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি এ সুযোগ লাভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.

রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ওই শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

‘শিশুদের সঠিক শিক্ষা দিলে দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে আগাবে’

৪ দাবিতে জবির প্রশাসনিক ভবনে তালা শিক্ষার্থীদের

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুন নাহার। তিনি নিজেও একজন ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

উপাচার্য শ্রাবণীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। আন্তর্জাতিক পরিসরে আমাদের শিক্ষার্থীদের এমন স্বীকৃতি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতার প্রতিফলন।”

নিজের অনুভূতি জানিয়ে শ্রাবণী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বিশ্বমঞ্চে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জীবনের গর্বের মুহূর্ত। আল্লাহর অশেষ রহমত, মায়ের দোয়া এবং শিক্ষকদের সহায়তায় আজকের এ অর্জন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা অধ্যাপক শামসুন নাহার ম্যামের প্রতি, তার সেমিনারই ছিল আমার যাত্রার শুরু।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো শিক্ষার্থী এসইউএসআই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এ অর্জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ ও শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল এক্সপোজারের পথে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশবান্ধব সনদ পেল নতুন ৫ কারখানা

নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮।

পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হলো ঢাকার আশুলিয়ার টিম গ্রুপের সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্বাণী ফ্যাশন, চট্টগ্রামের কেডিএস ফ্যাশন, ময়মনসিংহের রাঈদা কালেকশনস ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের টেক্সইউরোপ বিডি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৫৮টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে।

নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে চারটিই লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, পূর্বাণী ফ্যাশন, কেডিএস ফ্যাশন ও রাঈদা কালেকশনস। অন্যদিকে টেক্সইউরোপ বিডি লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে।

বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।

বাংলাদেশের যে ২৫৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৯টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৩টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।

বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় স্থান পেয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি। বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (এডমিন বিল্ডিং)। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৭ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে গাজীপুরের এসএম সোর্সিং, গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (আরএমজি বিল্ডিং), ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের ইস্প্রিট অ্যাপারেলস, নিট এশিয়া ও ইন্ট্রিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবেশবান্ধব সনদ পেল নতুন ৫ কারখানা