বছরজুড়ে বাতাসে ভাসতে থাকে তারকাদের প্রেমের গুঞ্জন। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুকে নিয়ে রটেছিল প্রেমের গুজব। সে গুঞ্জন সত্যি, না মিথ্যা– তা জানা যায়নি আদৌ। অতীতের গুঞ্জন ফিকে হয়ে আসতে না আসতেই আরও একবার বলিউডের বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে সামান্থার প্রেমের খবর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দীর্ঘসময় একাকী কাটিয়েছেন সামান্থা। এবার সেই নিঃসঙ্গতা কাটাতে নতুন একজনের শরণাপন্ন হয়েছেন কিছুদিন আগে বলিউডে পা রাখা এই অভিনেত্রী।

শোনা যাচ্ছে, আবার প্রেমে পড়েছেন অভিনেত্রী। সত্যিই কি তাই! সেই উত্তর স্পষ্ট না হলেও সামান্থার নতুন পোস্ট উস্কে দিয়েছে নতুন জল্পনা। পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। অনেক দিন ধরেই এ আলোচনা চলছে। কিন্তু আদতে সত্যিটা কী, তা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সামান্থা প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘শুভম’। যার ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। সেসব ছবিতে ‘সিটাডেল হানি বানি’ সিনেমার পরিচালক রাজও রয়েছেন।

ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘পথটা অনেক লম্বা ছিল। এখন আমরা এখানে। নতুন শুরু।’

তাঁর এই লেখাতেই অনেকে সামান্থার জীবনে নতুন মানুষের ইঙ্গিত পেয়েছেন। তবে সব আলোচনাই নস্যাৎ করে দিয়েছেন নায়িকা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ফিসফাস শুরুর আগেই অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন শুরুর মানে হলো প্রযোজক হিসেবে তাঁর নতুন যাত্রা শুরু। এ মুহূর্তে কোনো সম্পর্কেই যে তিনি নেই, সে কথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৬৫ বছর পর বাবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল খুঁজে পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, যাঁর বাবা ড. শফিক আহমদ খানও ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন।

স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অর্জন করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। দীর্ঘ ৬৫ বছর পর তাঁর বাবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগময় স্ট্যাটাসে বাবার পরীক্ষার ফল খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ তাঁর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো আর্কাইভাল রেকর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় অনেক চেষ্টার পর আমার বাবার ১৯৬০ সালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল খুঁজে পেলাম। তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ফজলুল হক মুসলিম হলে সংযুক্ত ছিলেন। সন্তান হিসেবে ভালো লাগছে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

জানা গেছে, ড. শফিক আহমদ খান পরবর্তী সময়ে ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের সুপিরিয়র ফরেস্ট সার্ভিস ও বিসিএসে (বন) যোগদান করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ