শরীয়তপুরের নড়িয়া থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা হয়েছে। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি কক্ষ ও পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পরে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।

নড়িয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় ঘড়িসার ইউনিয়নের বারৈপাড়া এলাকা থেকে কাগজপত্রবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় আনা হয়। পরে সেগুলো ছাড়িয়ে নিতে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা থানায় যান। ব্যর্থ হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা হামলা চালান। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপারের (নড়িয়া সার্কেল) কক্ষসহ থানায় থাকা তিনটি পুলিশ যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সময় নড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাজন ও দ্বাদশ শ্রেণির কমিটির সহসভাপতি শাহীন শেখ উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনার নেতৃত্ব কে দিয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এ ঘটনার পর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম রাতেই নড়িয়ায় যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু লোক থানায় হামলা চালিয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ করছি। তারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সহকারী পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আশিক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে ছাত্রদল ও বিএনপির কোনো নেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজন ও শাহীন শেখের পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ