ভারতের হামলার পর কী জবাব দেবে পাকিস্তান, সামনে চারটি বড় প্রশ্ন
Published: 9th, May 2025 GMT
ভারত গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক নাটকীয় অভিযানে চালানোর পর জানায়, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মোট নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যে’র ভিত্তিতে ‘সন্ত্রাসীদের’ ঘাঁটি চিহ্নিত করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতীয় সময় গভীর রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট (গ্রিনিচ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে ৮টা) পর্যন্ত মাত্র ২৫ মিনিট স্থায়ী হয় এই হামলা। এর ফলে পুরো অঞ্চল কেঁপে ওঠে এবং বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পাকিস্তান দাবি করেছে, মাত্র ছয়টি স্থানে হামলা হয়েছে। ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোনগুলো করে ভূপাতিত করেছে তারা। তবে ভারত এ দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি।
ইসলামাবাদ জানায়, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে ৩১ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণরেখা হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, যেটিকে কার্যত সীমান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর এই তীব্র উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ফলে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে উত্তেজনা এক নতুন বিপজ্জনক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের দাবি, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও বিদেশি কুশীলবদের সরাসরি সম্পৃক্ততার অকাট্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
তবে পাকিস্তান এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে। ইসলামাবাদ বলেছে, ভারত এখনো পর্যন্ত তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
এই হামলা কি নতুন সংঘাতের সূচনা
২০১৬ সালে উরিতে ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল।
২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এটাই ছিল প্রথম সামরিক অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় পাল্টিপাল্টা হামলা ও যুদ্ধবিমানের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে দুই দেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেহেলগাম হামলার জবাবে পাকিস্তানে এবার যে পাল্টা আঘাত হানা হয়েছে, বিস্তৃত পরিসরের কারণে তা ছিল ব্যতিক্রমী। একসঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক তিনটি প্রধান জঙ্গি সংগঠনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে নয়টি ‘সন্ত্রাসী’ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। লস্কর-ই-তৈয়্যেবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে তারা।
ভারতীয় মুখপাত্রের মতে, সীমান্তের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু ছিল শিয়ালকোট সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ ও ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুটি ঘাঁটি।
ভারতের দাবি অনুযায়ী, সবচেয়ে গভীরে আঘাত হানা হয়েছে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান ঘাঁটিতে। জায়গাটি পাকিস্তানের প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত। এ ছাড়া পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী এবং নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মুজাফফরাবাদে লস্কর-ই-তৈয়্যেবার একটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন ভারতীয় মুখপাত্র।
তবে এবার ভারত সরাসরি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছে। বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়্যেইবার স্থাপনা, সদর দপ্তর, ও ঘাঁটি ছিল এ হামলার লক্ষ্য।পাকিস্তান দাবি করছে, তাদের ভূখণ্ডের ছয়টি স্থানে ভারত হামলা চালিয়েছে। তবে সেখানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
দিল্লিকেন্দ্রিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেন, এবার হামলায় লক্ষণীয় বিষয় হলো, ভারতের লক্ষ্যগুলো অতীতের ধারা ছাড়িয়ে গেছে। আগে বালাকোটে হামলা শুধু নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে একটি সীমান্তরক্ষিত অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল।
শ্রীনাথ রাঘবন বলেন, এবার ভারত সরাসরি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়্যেইবার স্থাপনা, সদর দপ্তর ও ঘাঁটি ছিল এ হামলার লক্ষ্য। এ ছাড়া জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের অবকাঠামোতেও আঘাত হেনেছে ভারত।
রাঘবন বলেন, ‘ভারতের এবারকার জবাব আরও বিস্তৃত ও ভৌগোলিকভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। একাধিক গোষ্ঠী এখন ভারতের নিশানায় রয়েছে এবং এটি একটি বৃহত্তর বার্তা দিচ্ছে।’
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হলো দুই দেশের সরকারিভাবে স্বীকৃত সীমানা, যা গুজরাট থেকে জম্মু পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতে পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ভারত এবার যা করেছে, তাকে ‘বালাকোট প্লাস’ হিসেবে অভিহিত করা যায়। এর লক্ষ্য ছিল পরিচিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হেনে ভারতের প্রতিরোধক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তবে একই সঙ্গে উত্তেজনা না বাড়ানোর শক্ত বার্তাও দিয়েছে তারা।
বিসারিয়া আরও বলেন, এবারের এসব হামলা ছিল আরও নিখুঁত, নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক এবং অধিক দৃশ্যমান। এ কারণে তা পাকিস্তানের পক্ষে অস্বীকার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ভারতীয় সূত্রগুলো বলছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ‘প্রতিরোধক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করা।
অধ্যাপক রাঘবনের মতে, ভারত সরকার মনে করে, ২০১৯ সালে বালাকোট অভিযানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা এখন অনেকটা ক্ষয়প্রাপ্ত এবং তা নতুন করে আবার গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ভারতের এমন হামলা অনেকটা ইসরায়েলের কৌশলের মতো উল্লেখ করে রাঘবন বলেন, ‘তারা মনে করে, প্রতিরোধ বজায় রাখতে হলে পর্যায়ক্রমে বারবার হামলা চালাতে হয়। তবে আমরা যদি ধরে নিই যে শুধু পাল্টা হামলা চালালেই সন্ত্রাসবাদ থেমে যাবে, তাহলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যখন পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে। আর তখন পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
উত্তেজনা কি আরও বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এ বিষয়ে একমত যে পাকিস্তানের পাল্টা জবাব অনিবার্য এবং সে ক্ষেত্রে কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিসারিয়া বলেন, পাকিস্তান অবশ্যই জবাব দেবে। আসল পরীক্ষা হবে পরবর্তী পর্যায়ের উত্তেজনা কীভাবে সামাল দেওয়া যায়। এখানেই সংকটকালীন কূটনীতির গুরুত্ব প্রমাণিত হবে।
সাবেক এই ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, পাকিস্তানকে সংযম দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হবে। তবে মূল লক্ষ্য হবে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার পর এমন কূটনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা, যেন দুই দেশ দ্রুত বড় সংঘাতের দিকে চলে না যায়।
লাহোরভিত্তিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক ইজাজ হুসেনের মতো পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মুরিদকে ও বাহাওয়ালপুরের মতো স্থানে ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ (নির্বাচিত লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক আঘাত) প্রায় প্রত্যাশিতই ছিল।
ড.
বিবিসিকে এই পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞ বলেন, গণমাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বক্তব্য আর প্রতিশোধ নেওয়ার দৃঢ় ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন দিনগুলোতে সীমান্তপারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ড. হুসেন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, উভয় পক্ষের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ‘পরিস্থিতিকে সীমিত পর্যায়ের গতানুগতিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।’
মঙ্গলবার শ্রীনগরের একটি সড়কে পাহারা দিচ্ছেন ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব ক র কর ন ত রণর খ র লক ষ য ক টন ত
এছাড়াও পড়ুন:
হিজবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমান্ডে
নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৭ মে রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে সাদাপোশাকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মিজানুর রহমানকে আটক করে বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ কয়েকটি সূত্র থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।
মামলার কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্রীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পুলিশ মিজানুরের ব্যবহৃত মুঠোফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হিজবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এতে আরও বলা হয়েছে, আসামি মুক্তি পেলে চিরতরে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘প্রথমে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাঁকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, ‘মিজানকে ৭ মে রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা তাঁর ন্যায়বিচার চাই।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের আগে মামলাটি হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।’