স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, “জনগণের ভোগান্তি দূর করা ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধ করে সুন্দর ঢাকা উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেজন্য ডিএসসিসি নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে ও প্রতিটি জনগনকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। শহরের প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে নগর সুন্দর থাকবে।”

শনিবার (১০ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে জোন-৩ পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় চতুর্থ অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় নেতারা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

সমাবেশে পানি স্প্রে নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি

আইভী কারাগারে

সকাল ৬টায় শুরু হওয়া পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীসহ মোট পাঁচ শতাধিক কর্মী দিয়ে লালবাগ কেল্লা সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বলেন, “লালবাগে অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা ট্যুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তুলব যেন বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। ঢাকায় একটি স্যূয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে, যেখানে এলাকার ময়লাগুলো ট্রিট করা হবে। যার ফলে কোনো ধরনের দুর্গন্ধ থাকবে না।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, “ঢাকার জন্মস্থান পুরান ঢাকা, এখান থেকেই ঢাকার যাত্রা শুরু হয়।পুরান ঢাকার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে।ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সমৃদ্ধ পুরান ঢাকাকে আমরা চাচ্ছি এসব স্থাপনাও নিজস্ব সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে যেন একটি নতুন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠে। সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকার পূর্বের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।”

এছাড়া সামনে ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা বিস্তার রোধে এখন থেকেই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি।জনসাধারণকে সচেতন করতে তাদেরকেও অভিযানে সম্পৃক্ত করতেছি। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে আমরা সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি নগরী গড়ে তুলতে পারব। ঢাকাকে  সুন্দর ও সবুজ নগরী গড়ে তুলতে আগামী বর্ষার মৌসুমে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।”

অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সব বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স পর ষ ক র স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ

নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু

মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক

কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ