‘সুন্দর ঢাকা উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য’
Published: 10th, May 2025 GMT
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, “জনগণের ভোগান্তি দূর করা ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রোধ করে সুন্দর ঢাকা উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেজন্য ডিএসসিসি নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে ও প্রতিটি জনগনকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। শহরের প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে নগর সুন্দর থাকবে।”
শনিবার (১০ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে জোন-৩ পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় চতুর্থ অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো.
আরো পড়ুন:
সমাবেশে পানি স্প্রে নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি
আইভী কারাগারে
সকাল ৬টায় শুরু হওয়া পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীসহ মোট পাঁচ শতাধিক কর্মী দিয়ে লালবাগ কেল্লা সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বলেন, “লালবাগে অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা ট্যুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তুলব যেন বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়। ঢাকায় একটি স্যূয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে, যেখানে এলাকার ময়লাগুলো ট্রিট করা হবে। যার ফলে কোনো ধরনের দুর্গন্ধ থাকবে না।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, “ঢাকার জন্মস্থান পুরান ঢাকা, এখান থেকেই ঢাকার যাত্রা শুরু হয়।পুরান ঢাকার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে।ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সমৃদ্ধ পুরান ঢাকাকে আমরা চাচ্ছি এসব স্থাপনাও নিজস্ব সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে যেন একটি নতুন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠে। সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকার পূর্বের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।”
এছাড়া সামনে ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা বিস্তার রোধে এখন থেকেই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি।জনসাধারণকে সচেতন করতে তাদেরকেও অভিযানে সম্পৃক্ত করতেছি। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে আমরা সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি নগরী গড়ে তুলতে পারব। ঢাকাকে সুন্দর ও সবুজ নগরী গড়ে তুলতে আগামী বর্ষার মৌসুমে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।”
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সব বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স পর ষ ক র স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।