সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কারা জড়িত, তা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। তদন্তে যারা দায়ী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

শনিবার (১০ মে) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র সচিব

ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতিমধ্যে কয়েক জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ সংযুক্ত রয়েছেন।তদন্ত কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি দেখবে। যারা দায়ী, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।”

উপদেষ্টা বলেন, “বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। সেখানে কীভাবে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি থাইল্যান্ড গেলেন সেটির তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া আবদুল হামিদের বিষয়ে এসবি থেকে মন্ত্রণালয়ে কোনো কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে কিনা এ বিষয়েও আমরা খতিয়ে দেখব।”

তিনি আরো বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাস্তা বন্ধ করতে না করার অনুরোধও জানাচ্ছি। এতে জন ভোগান্তি দেখা দেয়। আন্দোলনকারীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত উপদ ষ ট স বর ষ ট র উপদ ষ ট তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে মিশুকচালকের মরদেহ ধানখেত থেকে উদ্ধার

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক মিশুকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিশুক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা যানবাহনটি নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মুক্তাগাড়ি বিল এলাকার মাহাবুব মণ্ডলের ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নুরুল ইসলাম পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা (গোবিন্দপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে।

নিহত নুরুল ইসলামের ভাতিজা ও মিশুকের মালিক রুমেলের বরাতে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় নুরুল ইসলাম মিশুক নিয়ে বের হন। রাত আটটার দিকে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ১৫০ টাকার রিজার্ভ ভাড়ায় হরিণসিংহ বাজার এলাকায় যাচ্ছেন। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন মুক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে কাটা ধানের জমিতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের গলায় মাফলার প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিশুক ছিনতাইয়ের জন্য চালককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ