ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে চলা উত্তেজনা ‘পুরো ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’তে সম্মত হয়েছে। 

আজ শনিবার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। খবর আল জাজিরার

ট্রুথে আরও লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনা হয়েছে। এরপর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় এ অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা নিয়ে কখনো আপস করিনি।’

গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। শুরু থেকে এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ সব সময় অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করে। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে শুক্রবার রাত থেকে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত বন্ধের ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ আখ্যা দেওয়া নারী সহিংসতায় মদদ জোগাবে: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে ‘মুরতাদ কাফির’ আখ্যা দেওয়ায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাঁরা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল হাসানের এমন মন্তব্য গুরুতর অন্যায় ও অসম্মানজনক। তাঁরা এই শিক্ষককে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবিও জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুল যেভাবে রোকেয়া সাখাওয়াতকে ‘কাফির মুরতাদ' আখ্যা দিয়েছেন, সমগ্র শিক্ষকসমাজের জন্য তা গ্লানিকর। এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য বর্তমানে বাঙালি মুসলমান নারীসহ সব নারীর পথচলাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ ধরনের ব্যক্তি চরম সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক হিসেবে ধিক্কৃত হবেন। এ রকম বক্তব্য সমাজে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়াতে এবং নারীর প্রতি অনলাইনে ও বাস্তবে চলমান সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলতে মদদ জোগায়।

শিক্ষক খন্দকার মাহমুদুলের এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্বহীন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার ভূমিকা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বেগম রোকেয়া বাংলা তথা তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের নারী শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি লড়েছেন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে। তিনি ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না, বরং সমাজে ও দেশে এবং বিশেষত নারীসমাজের প্রতি ধর্মের সংকীর্ণ ব্যাখ্যার সমালোচনা করেছেন।’

আরও পড়ুনবেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ