টিভিতে দেখে প্রেম, বোর্ডিং পাসে নিলেন ফোন নম্বর—পশের জন্য বেকহামের পাগলামি
Published: 11th, May 2025 GMT
ডেভিড বেকহাম। ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসেই সবচেয়ে গ্ল্যামারাস তারকা বলা যায় তাঁকে, সম্ভবত ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরাদের একজনও। ফ্রি-কিকে তো ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১৯৯২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা, পরে রিয়াল মাদ্রিদে ছিলেন বিখ্যাত গ্যালাকটিকো দলের অংশও। বেকহামের মতোই বিখ্যাত তাঁর স্ত্রী পশ—ভিক্টোরিয়া অ্যাডামস, একসময়ের সাড়া জাগানো পপ ব্যান্ড স্পাইস গার্লসের তারকা। দুজনের প্রেম ও বিয়ের গল্পও দুর্দান্ত। যে গল্প বেকহাম লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনী ডেভিড বেকহাম: মাই সাইড বইয়ে। পাঠকদের জন্য আজ থাকছে বেকহাম-ভিক্টোরিয়ার প্রথম ডেটের গল্প।কী লিখেছেন বেকহাম
নভেম্বর, ১৯৯৬। তিবলিসি, জর্জিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগের রাত। হোটেল রুমে বসে আছি। আমার রুমমেট গ্যারি নেভিল পাশের বিছানায় হেলান দিয়ে শুয়ে আছে।
খেলার জন্য বিদেশে যাওয়া, সেটা ক্লাবের হয়েই হোক বা ইংল্যান্ডের হয়ে, আমার খুব পছন্দের কিছু না। কী আর দেখব, কী আর করব? খাও, ঘুমাও আর ট্রেনিং করো। হোটেল বদলায়, কিন্তু রুমগুলো সব একই রকম দেখতে।
এই হোটেলটাও এমনই। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এটা ছিল জর্জিয়ার একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের হোটেল। কিন্তু মনে হচ্ছিল, যেন কোনো কারাগারে আটকে আছি। সব কটি বেডরুমের দরজা একটা অন্যটার দিকে মুখ করা, চারদিকে শুধু ধাতব কাঠামো আর কাচ। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে ধূসর এক নদী, পাশে আধা তৈরি হাইওয়ে। হাঁটতে যাওয়ার ইচ্ছে তো দূরে থাক, জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখতেও ইচ্ছা করত না।
প্রিয় পশ স্পাইস, আপনি আমাকে চেনেন না। তবে আমার মনে হচ্ছে, যদি আমরা কখনো দেখা করতাম, আমাদের দারুণ জমত। আমাকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাওয়া যাবে, প্রতি শনিবার...ডেভিড বেকহাম
তো, আমি আর গ্যারি গল্প করছি। টিভিতে একটা মিউজিক চ্যানেল চলছে। হঠাৎ স্ক্রিনে ভেসে উঠল স্পাইস গার্লসদের নতুন ভিডিও—“সে ইউ’ল বি দেয়ার”। ওরা মরুভূমিতে নাচছে। পশ (ভিক্টোরিয়া) পরেছে একটা কালো ক্যাটস্যুট। তাকে আমার দেখা সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীদের একজন বলে মনে হচ্ছিল। স্পাইস গার্লস আমি আগেও দেখেছি। কে না দেখেছে! যখনই বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় কেউ বলত, ‘কাকে তোর ভালো লাগে?’ আমি সব সময় বলতাম, ‘ওই পশ মেয়েটা। যার ববকাট চুল। পা দুটো দারুণ সুন্দর।’
সেই সন্ধ্যায়, সেই দমবন্ধ করা হোটেলের ঘরে, প্রথমবার আমার মনে হলো—পশ স্পাইস অসাধারণ, তার সঙ্গে দেখা করার একটা রাস্তা আমার খুঁজে বের করতেই হবে। ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ সেজে গেলে কেমন হয়! আমাকে কি কেউ একটা উট ধার দেবে?
স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ডেভিড বেকহামউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে আগুনের গানে জ্বলল ঢাবির স্মৃতির প্রদীপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল এটি এক আবেগঘন সন্ধ্যা। প্রিয় মুখ, পুরোনো দিন আর মন ছুঁয়ে যাওয়া গান—সব মিলিয়ে সিডনির গ্রানভিলের গ্র্যান্ড রয়্যাল ভেন্যু যেন ১০ মে শনিবার পরিণত হয়েছিল এক টুকরো ক্যাম্পাসে।
অস্ট্রেলিয়ায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএএএ) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫’। অনুষ্ঠানে সাড়ে তিন শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনের অংশগ্রহণে তৈরি হয় এক প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর পরিবেশ।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আগুন। ‘তোমার জন্য’, ‘বেদনার পূজা’ কিংবা ‘এই জন্ম তোমার জন্য’—এমন সব চেনা গানে দর্শক-শ্রোতা মুহূর্তেই ফিরে যান কৈশোর-যৌবনের দিনগুলোতে। গিটারের ছড়ে ছড়ে যখন আগুন বলেন, ‘প্রবাসে এমন শ্রোতা আর ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই আপ্লুত,’ তখন হলজুড়ে বাজে করতালি।
পরে প্রথম আলোকে আগুন বলেন, ‘এটা আমার সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেগটাই আলাদা। মঞ্চে উঠেই সেটা অনুভব করেছি।’
আগুনের আগে মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী সিঁথি সাহা। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে মন ভিজে যায় উপস্থিত সবার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন লাবণ্য আর শুদ্ধ নৃত্যে নজর কাড়েন সিডনিপ্রবাসী নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোমচৌধুরী। শিশুদের পরিবেশনাতেও ছিল প্রাণের ছোঁয়া—ঈষিকা ও তারার নাচে মঞ্চ যেন হয়ে ওঠে ঘরের উঠোন।