‘মা দিবসে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে দেওয়া পোস্টে এই শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান।

ওই পোস্টে তারেক রহমান তাঁর মা খালেদা জিয়ার কথা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন,  ‘আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’

তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো:  

‘আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।  
মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস, এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন। পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সহচার্যে সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গীত এক অনন্য দিবস-মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালবাসায়। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভুতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা-সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভূল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়।

আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‍মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান। 

তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।

তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।

দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।

অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ