নারী ফুটবল ও এক টেলিভিশনের গল্প, রিমোট যখন সোনার কাঠি
Published: 11th, May 2025 GMT
একটা সময় ছিল, যখন গ্রামে এক বাড়িতে ১২-১৩টা ঘরের এক দুটিতে টেলিভিশন থাকত। বাড়ির অনেকে শেষ বিকেল কিংবা সন্ধ্যার পর ছুটে যেতেন সেই টিভি দেখতে। এখন আর তেমনটা হয় না। বরং শহরে একই বাসায় একাধিক টেলিভিশনের দেখাও মেলে।
তবে মোটের ওপর এখনো বাসাপ্রতি একটা টিভির প্রচলনই বেশি। আর যেখানে একটা, সেখানে রিমোটের দখল নিয়ে কাড়াকাড়ি তো একেবারে নৈমিত্তিক ঘটনা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চারতলার নারী ফুটবলারদের ডেরায়ও একই গল্প! রিমোট যেন এক সোনার কাঠি, সবাই সেটার মালিক হতে চায়! ফলে টানাটানি চলে প্রতিনিয়ত।
বছরের বেশির ভাগ সময় বাফুফে ভবনের চারতলার আবাসিক ক্যাম্পে থাকেন নারী ফুটবলাররা। একসঙ্গে ৪০ থেকে ৪৫, কখনো আরও বেশি ফুটবলার নিয়ে চলে ক্যাম্প। যাঁদের বিনোদনের জন্য টেলিভিশনের ব্যবস্থা রেখেছে ফেডারেশন।
বাফুফে ভবন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত
চট্টগ্রামে তেল পরিবহনে নিয়োজিত একটি ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নগরের সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লাইনচ্যুত সব ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জ্বালানি তেল বহনে ব্যবহৃত ট্যাংক ওয়াগনগুলো খালি ছিল। এগুলো তেল নেওয়ার জন্য নগরের চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে নগরের নিউমুরিং এলাকার তেল কারখানাগুলোতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় ওয়াগন চারটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর এগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত চারটি ট্যাংকের মধ্যে দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান। রেলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিউমুরিং এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাংকগুলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও দোহাজারী, সিলেট ও রংপুর পাঠানো হয়।
নগরের নিউমুরিং স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিজিপিওয়াই থেকে রাতে ট্যাংক ওয়াগনগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তেল ভরার জন্য। দুপুরে তেল নেওয়ার পর বিকেলে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন উদ্ধারে কাজ চলছে।
এর আগে ১৯ জুন চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে নগরের আমিন জুট মিল থেকে অক্সিজেন সেকশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল প্রায় চার ঘণ্টা। চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন ছেড়ে হাটহাজারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। আট দিনের ব্যবধানে আবার জ্বালানি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।