বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটিতেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম
Published: 11th, May 2025 GMT
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটি উপেক্ষা করে প্রথম বর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম চালিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও কলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম বর্ষে ভর্তির হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করছেন। তাঁদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও এসেছিলেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ছুটির তালিকায় আজকের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে ভর্তি হতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, আজ ভর্তির শেষ দিন। তাই তাঁরা সরকারি ছুটি হওয়া সত্ত্বেও ভর্তি হতে এসেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ১ মার্চ। শেষ হয়েছিল ২৪ মার্চ। ফলাফল যাচাই শেষে গত ২১ এপ্রিল বিষয় পছন্দক্রম শুরু হয়। পরে ৬ মে প্রথম পর্যায়ে ভর্তি শুরু হয়েছে। আজ প্রথম পর্যায়ের এই ভর্তি শেষ হবে।
বুদ্ধপূর্ণিমার দিন ভর্তির কার্যক্রম রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি কার্যক্রম কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে। সাধারণত এত সময় দেওয়া হয় না। এক থেকে দুই দিনের মধ্যে শেষ করা হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর যেন চাপ না পড়ে এ জন্য তাঁরা বেশি সময় রেখেছেন। আর যেহেতু সমাবর্তনের কাজের জন্য অফিস খোলা রয়েছে, তাই তাঁরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ভর্তির কার্যক্রম চালু রেখেছেন।
বুদ্ধপূর্ণিমার দিন ভর্তি কার্যক্রম চালানো অবিবেচনাপ্রসূত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা। তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা পড়েন। সরকারি ছুটির এদিনে ভর্তির কার্যক্রম চালু রেখে অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের পরিচয় দিয়েছে প্রশাসন। এর আগেও চৈত্রসংক্রান্তিসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসবে পাঁচ দিন ছুটি চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে প্রশাসন ওই উৎসবেও ক্লাস পরীক্ষা চলমান রেখেছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
এল ক্লাসিকোতেই ফয়সালা, কার হাতে উঠবে লা লিগা?
সেদিন লামিনে ইয়ামালের কথাটি মনে আছে? ‘এই মৌসুমে আর যাই হোক রিয়াল মাদ্রিদ আমাদের হারাতে পারবে না। যত গোলই হোক না কেন, দিন শেষে বার্সেলোনায় জিতবে।’ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বার্সেলোনা। ৩-২ গোলে জিতে ইয়ামালের সেই হুঙ্কারে মিশেছিল বার্সেলোনার আত্মবিশ্বাস। আজ আবার দুই দল মুখোমুখি।
এমনিতে এল ক্ল্যাসিকো মানেই স্পেনের দুই শতবর্ষী পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর স্নায়ুর লড়াই, যেখানে প্রজন্মের পর প্রজম্ম ধ্রুপদি ফুটবল উপভোগ করে এসেছে দর্শকরা। এই মৌসুমে তিন তিনটি এল ক্ল্যাসিকো স্বাদ নিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। আজকের এল ক্ল্যাসিকো যেন তার চেয়েও বেশি কিছু। জিতলেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়া। অন্যদিকে রিয়াল জিতলে তাদের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা টিকে থাকবে। ঘরের উঠোন স্তাদিও অলিম্পিকে শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবেন লেভানডস্কিরা। তাদের সে উৎসব মাটি করে দিতে প্রস্তুত হয়ে আছেন এমবাপ্পেরাও।
এমনিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিদায়ে দুই দলই আহত, ট্রেবলের স্বপ্নও ধূলিসাত দুই দলেরই। কোথায় গিয়ে তাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কষ্ট চাপা দিয়েছে দুই প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচটির মধ্যে অনেক খণ্ড খণ্ড লড়াইও থাকবে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বার্সার বিপক্ষে শেষবারের মতো ডাগআউটে উপস্থিত থাকবেন কোচ কার্লো আনচেলেত্তি। অন্যদিকে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের জন্য প্রথম লা লিগা জয়ের সুযোগও করে দিতে পারে এই ম্যাচটি। যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতবে বলে এমবাপ্পে প্যারিস থেকে মাদ্রিদ এসেছেন, সেটি এই মৌসুমের জন্য শেষ হয়ে গেছে কিছুদিন আগে। এবার তাঁর সামনে প্রথমবারের মতো লা লিগা জেতার সুযোগ। বার্সার কিশোর ম্যাজিশিয়ান ইয়ামালের জন্যও প্রথমবারের মতো লা লিগা জয়ের সাক্ষী থাকার সুযোগ। পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডস্কির জন্য আবার এটিই হতে পারে বার্সার শেষ মৌসুম। তার জন্যও আজকের এল ক্ল্যাসিকো ‘সুপার ক্ল্যাসিকো’ বানানোর সুযোগ।
গতকাল সংবাদ সম্মলেন ফ্লিক জানিয়ে দিয়েছেন শুরুর একাদশে থাকছেন না লেভানডস্কি, বালদে, কাসাদো। ‘সবাই জানে এল ক্ল্যাসিকোতে প্রতিটি মুহূর্ত সর্বোচ্চ দিয়ে খেলতে হয়। আমরা রিয়াল মাদ্রিদের শক্তি সম্পর্ক জানি, তবে এবার আমরা ঘরের মাঠে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নামছি। পয়েন্ট টেবিল কী বলছে তা নিয়ে ভাবছি না, আমরা শুধু জানি ম্যাচটি জিততে হবে।’
এ মৌসুমে যে তিন ম্যাচে রিয়ালের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা, তার সবক’টিতে জিতেছিলেন ফ্লিক। তবে সব ম্যাচেই কিছু ভিন্ন কৌশলে বাজিমাত করেছিলেন। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ তাকিয়ে তাদের তারকা নামগুলোর ওপর। কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে জুড বেলিংহাম। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে আনচেলেত্তির একাদশে গোল পোস্টে কুতোর্সকে দেখা যেতে পারে। লিগের শুরুতে ভালো করলেও এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রচণ্ড ধাক্কা খায় এমবাপ্পেরা। সে সময়ে লা লিগায় ৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পায় রিয়াল, আর সে সময়েই ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা।