চট্টগ্রামে তৃতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রান্নার প্রতিযোগিতা কনফিডেন্স সল্ট-প্রথম আলো ‘পাক্কা রাঁধুনি ২০২৫’। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ১৯ মে পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এবারের থিম ‘দেশীয় ঐতিহ্যবাহী রান্না’।

১০ মে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রথমে একটি রান্নার রেসিপি কাগজে লিখে দিতে হবে। রেসিপি বিচার করে দ্বিতীয় পর্বের জন্য রাঁধুনিদের বাছাই করা হবে। এরপর প্রতিযোগীরা ওই রেসিপি তৈরি করে প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিসে নিয়ে আসবেন। এই রান্নার প্রক্রিয়া বা রেসিপির ওপর ভিত্তি করে ১০ প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা হবে।

চূড়ান্ত পর্বের সব প্রতিযোগীকে বিচারকদের সামনে রান্না করতে হবে। চূড়ান্ত পর্বের রান্নার সব উপকরণ প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। শেষে বিচারকেরা সেখান থেকে সেরা রাঁধুনি বাছাই করে পুরস্কার প্রদান করবেন।

গত বছরের মে মাসে বসেছিল পাক্কা রাঁধুনির দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিতে ৪৫০ রাঁধুনি আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে ২০০ জনকে মনোনীত করা হয়। এরপর রেসিপি দেখে ৩২ জনকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সেখান থেকে ১০ জনকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করেন বিচারকেরা।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী একটি রান্নার রেসিপি, প্রতিযোগীর নাম-ঠিকানা, পেশা, মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করে ছবিসহ পাঠিয়ে দিতে হবে এই ঠিকানায়: প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিস, এ এস টাওয়ার, হিলভিউ আবাসিক এলাকা (শিশু একাডেমির পাশে), পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৯১-৩০৮০৩৭ নম্বরে। পাশাপাশি নিবন্ধন করা যাবে লিংকের মাধ্যমে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ড় ন ত পর ব র পর ব র জন য প রথম আল ব ছ ই কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে ইউটিউবে ৪ বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ

ভারতে ইউটিউবে বাংলাদেশের ৪টি বেসরকারি টেলিভিশন বন্ধ করা হয়েছে। দেশটির সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ভিডিও প্রদর্শনের এই মাধ্যমটি।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন এবং মোহনা টেলিভিশন।

শুক্রবার তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ভারতে এসব চ্যানেলের অনলাইন ঠিকানায় প্রবেশ করলে এই বার্তা দেখাচ্ছে যে– “এটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯ (ক) ধারার অধীনে, সরকারের কাছে এমন অধিকার রয়েছে—যদি কোনও তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তবে সেটি বন্ধ করার নির্দেশনা দিতে পারে।

যমুনা টেলিভিশনকে পাঠানো বার্তা
যমুনা টেলিভিশন ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেছে, তারা ইউটিউবের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বার্তা পেয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে—ভারত সরকারের অনুরোধে তাদের সমস্ত পুরোনো ও ভবিষ্যতের অনুষ্ঠান দেশটির দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সত্যতা যাচাই
ডিসমিসল্যাব বিষয়টির সত্যতা নিরূপণে ভারতে একটি প্রক্সি সংযোগ স্থাপন করে, যাতে এটি নিশ্চিত হয় যে তারা ভার্চুয়ালভাবে ভারতের অবস্থানে প্রবেশ করেছে। এরপর তারা বাংলাদেশের ৩৮টি সংবাদভিত্তিক চ্যানেল যাচাই করে। দেখা যায়, কেবল যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন ও মোহনা ভারতের জন্য বন্ধ দেখাচ্ছে। এদের ভিডিওতে একই বার্তা, যেখানে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।

বিষয়টি আরও নিশ্চিত করতে ডিসমিসল্যাব দিল্লি ও কলকাতার দুই সংবাদকর্মীকে লিংক পাঠিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দুই সংবাদকর্মী জানান, সত্যিই ভারতে চ্যানেলগুলো দেখা যাচ্ছে না। একজন স্ক্রিনশটের ছবি পাঠান প্রমাণ হিসেবে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং তথ্যনিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী পাকিস্তানে “অভিযান সিঁদুর” শুরু করে। এরপর থেকেই সে দেশের বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে তীব্র জাতীয়তাবাদী প্রচারণা শুরু হয়। এর মধ্যেই ৯ মে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের অনলাইন ঠিকানা পুরো ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়্যার জানায়, ভারত সরকার সংবিধানপ্রদত্ত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে তাদের অনলাইন বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগের দিন ৮ মে, আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়— ভারত সরকার আট হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারীর ঠিকানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু স্বাধীন সংবাদ সংস্থা রয়েছে, যেমন মাক্তুব মিডিয়া, দ্য কাশ্মিরিয়াত ও ফ্রি প্রেস কাশ্মির। এ ছাড়া, গত মাসে ভারত সরকার প্রতিবেশী একটি দেশের এক ডজনের বেশি অনলাইন চ্যানেল নিষিদ্ধ করে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল সেদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নামও। সম্প্রতি ভারতে নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশি লেখক ও অনলাইনকর্মী আসাদ নূর অভিযোগ করেন, তার ভিডিওভিত্তিক চ্যানেলটিও ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তা খুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তীব্র গরম: চার দিনের বিসিএল বাতিলের চিন্তা
  • ১০৩ বছরে যা হয়নি তাই হয়ে গেল এল ক্লাসিকোতে
  • রাজধানীতে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গৃহকর্তা গ্রেপ্তার
  • ‘হিট স্টোক’ এর ঝুঁকি কমাতে কাঁচা করলা ভর্তা
  • এক ম্যাচে ১০ জন রিটায়ার্ড আউট, ১৫ জন ফিরলেন শূন্য রানে—ঘটনাটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের
  • পাতে খাবার তুলে দিতে না পেরে মাকে কত দিন কাঁদতে দেখেছি, তাঁর কারণেই আজ আমি চিকিৎসক
  • সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার ইতালিতে কর্মী কম যাচ্ছেন, কারণ কী
  • ভারতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ
  • ভারতে ইউটিউবে ৪ বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ