Samakal:
2025-05-12@11:19:31 GMT

কমছে আবাদি জমি, শঙ্কা কৃষিতে

Published: 11th, May 2025 GMT

কমছে আবাদি জমি, শঙ্কা কৃষিতে

মন্নাফ মিয়া ও কালন মিয়া দুই ভাই। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কালিকুণ্ডা গ্রামে। মন্নাফ পেশায় কৃষক, কালন অটোরিকশাচালক। সম্প্রতি তারা বাড়ি নির্মাণের জন্য এক বিঘা আবাদি জমি ভরাট করেছেন। তারা জানিয়েছেন, দুই শতকের ভিটায় নির্মিত বাবার ঘরেই দুই ভাই এতদিন ধরে থাকছেন। এখন দু’জনেরই আলাদা সংসার হয়েছে। যে কারণে একটি মাত্র ঘরে দুই পরিবারের ৯ সদস্যকে নিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়েই তারা সড়কের পাশে এক বিঘার মতো আবাদি জমি ভরাট করেছেন। সেখানেই দুই ভাইয়ের বাড়ি নির্মিত হবে। 
ঐতিহ্যগতভাবে ধান-পাটসহ মৌসুমি ফসল উৎপাদনের পরিচিতি রয়েছে নাসিরনগরের। গুরুত্বপূর্ণ এই কৃষিপ্রধান অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে আবাদি জমি কমতে শুরু করেছে, যা ঝুঁকিতে ফেলেছে খাদ্য নিরাপত্তাকে। মন্নাফ-কালনের মতো বহু মানুষ অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমিতে ঘরবাড়ি তৈরি করছেন। অনেকে করছেন পুকুর ভরাট। এতে কৃষকের জীবিকা নির্বাহ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সরকারি হিসাবেই গত পাঁচ বছরে উপজেলায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর আবাদি জমি কমেছে। উপজেলাবাসীর দাবি, কৃষিজমি হ্রাসের প্রকৃত পরিমাণ এর কয়েক গুণ।
কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, গত ৫ থেকে ১০ বছরে নাসিরনগরে ৫ হাজার হেক্টরের বেশি আবাদি জমি ভরাট হয়েছে। তারা কৃষিজমি কমার কারণ হিসেবে কিছু বিষয়ে আলোকপাত করেন। এর মধ্যে রয়েছে উৎপাদনের পর ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, জলবাযু পরিবর্তন, নদীভাঙন, যত্রতত্র ইটভাটা, সরকারি বিভিন্ন আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, আবাসন সংকট ও বাণিজ্যিক পুকুর খনন। তারা বলছেন, কৃষিজমি রক্ষায় আইন ও সরকারি বিধিবিধান রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তায় এসব জমি ভরাট থামছে না।
কৃষিজমি যারা ভরাট করছেন, তাদের প্রায় সবার আলাপেই উঠে এসেছে পরিবারের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি। কুন্ডা এলাকার শরাফত আলী ও তাঁর চার ভাই যৌথ পরিবারে থাকেন। সবাই বিয়ে থা করে আলাদা সংসার পেতেছেন। শরাফত বলেন, পরিবার নিয়ে এক বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তাই রাস্তার পাশে ভাইয়েরা মিলে দুই বিঘা জমি কিনেছেন। সেই জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করবেন তারা। 
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ধান ও মৌসুমি শস্য বেশি উৎপাদন হয় বুড়িশ্বর ও গোকর্ণ ইউনিয়নে। অথচ এ দুটি ইউনিয়নের সড়কের পাশের প্রায় ৯০ শতাংশ আবাদি জমিই ভরাটের পর বসতবাড়ি নির্মিত হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবাদি জমি কেটে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, দুটি ইউনিয়নেই প্রায় এক হাজার হেক্টর আবাদি জমি পাঁচ বছরে কমেছে।
সম্প্রতি উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমি ভরাটের মহোৎসব চলছে। ৩০ জনের মতো স্থানীয় দালাল এসব ভরাটে জড়িত। এর মধ্যে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে ১৫টি, চাপড়তলায় ১০টি, ধরমণ্ডলে ৬টি, বুড়িশ্বরে ৫টি, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নে ৫টি, গোকর্ণে ৬টি, কুন্ডায় ৫টি ও গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬টি স্থানে খননযন্ত্র দিয়ে আবাদি জমি ভরাট করতে দেখা যায়। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দালালরা জমি ভরাট করছে। একাধিকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 
সদর ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকায় ফসলি জমি ও খাল দিবালোকে ভরাট হচ্ছে জানিয়ে জয়কুমার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ভূমি অফিসে একাধিকবার বলার পরও ভরাটের কাজ থেমে 
নেই। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিলো ২৬ হাজার ২৫০ হেক্টর। ২০২৫ সালে এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩২৬ হেক্টরে। ৫-৬ বছরে এ উপজেলায় আবাদযোগ্য জমি কমেছে ২ হাজার ৯২৪ হেক্টর।
ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সদর ইউনিয়নে ছিল ২ হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমি, বর্তমানে আছে ২ হাজার ২০৩ হেক্টর; কমেছে ২৪৬ হেক্টর। ভলাকুটে ছিল ২ হাজার ৬২৭ হেক্টর, আছে ২ হাজার ৩৫৪ হেক্টর; কমেছে ২৭৩ হেক্টর। চাতলপাড়ে ছিল ২ হাজার ৮ হেক্টর, আছে ১ হাজার ৭৬৭ হেক্টর; কমেছে ২৪১ হেক্টর। গোয়ালনগরে ছিল ২ হাজার ১২৭ হেক্টর, আছে ১৯৬০ হেক্টর; কমেছে ১৬৭। কুন্ডায় ছিল ২ হাজার ৪৮৯ হেক্টর, আছে ২৩৩৯ হেক্টর; কমেছে ২৫০ হেক্টর। বুড়িশ্বরে ছিল ২ হাজার ৮৪৬ হেক্টর, আছে ২৫৬০ হেক্টর; কমেছে ২৮৬ হেক্টর। চাপড়তলায় ছিল ১ হাজার ৮২ হেক্টর, আছে ৯৭৪ হেক্টর; কমেছে ১০৮ হেক্টর। ফান্দাউকে ছিল ১ হাজার ৪৮৭ হেক্টর, আছে ১ হাজার ৩৩৮ হেক্টর; কমেছে ১৪৯ হেক্টর। ধরমণ্ডলে ছিল ১ হাজার ৪৬৯ হেক্টর, আছে ১ হাজার ৩২৩ হেক্টর; কমেছে ১৪৬ হেক্টর। পূর্বভাগে ছিল ১ হাজার ৪১৮ হেক্টর, আছে ১ হাজার ২৭৪ হেক্টর;  কমেছে ১৪৪ হেক্টর। হরিপুরে ছিল ১ হাজার ৫১৯ হেক্টর, আছে ১ হাজার ৩৬৬ হেক্টর; কমেছে ১৫৩ হেক্টর। গুনিয়াউকে ছিল ১ হাজার ৫৩৮ হেক্টর, আছে ৯১৩ হেক্টর; কমেছে ৬২৫ হেক্টর। এ ছাড়া গোকর্ণ ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৯১ হেক্টর কৃষিজমি ছিল। ৩৩৬ হেক্টর কমে বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫৫ হেক্টরে। 
নাসিরনগর সদরের মতিউর রহমান ভূঁইয়া উত্তরাধিকার সূত্রে কৃষক। তাঁর বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখার উপায় নেই বলে জানালেন। মতিউর বলেন, ‘নিজের জমিও নাই অন্যের জমিও দিন দিন কমতাছে। তাই বাপ-দাদার পেশা বাদ দিয়া শহরে যাইতে হইতাছে।’
একই এলাকার লোকমান হোসেন নামের এক যুবক বলেন, এক সময় জমিতে ধান আবাদ করে তাদের সংসার চলত। সাম্প্রতিক সময়ে ধানের ন্যায্যমূল্য বাজারে মিলছে না। যে কারণে তাদের সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে জমি ভরাট করে উচ্চ দামে বিক্রি করে দিয়েছেন।
মেঘনা নদীর তীরে জমি ও বসতভিটা চাতলপাড়ের কৃষক আমান মিয়ার। তাদের এখানে জমি কমছে ভিন্ন কারণে। প্রতি বছর এই এলাকায় শতবিঘা জমি ও ঘরবাড়ি মেঘনায় বিলীন হয়। আমান বলেন, ‘নদীভাঙনে যে পরিমাণ জমি হারাইছি, তা ফিরে পাওয়ার না। আমাদের একটি বাঁধ নির্মাণ দরকার।’
উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, গত পাঁচ বছরে নাসিরনগরের কেউই জমির শ্রেণি পরিবর্তনের আবেদন করেননি। তার পরও কীভাবে এত ফসলি জমি কমল, এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই তাদের। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ারের দাবি, তিনি এখানে আসার পর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও ফসলি জমি ভরাট রোধে প্রায় সপ্তাহেই অভিযান পরিচালনা করছেন। এর পরও জমি ভরাট বন্ধ হচ্ছে না।
তাঁর এ দাবির সঙ্গে একমত নন জনসাধারণ। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনেরই কিছু অসাধু লোক ও দালালের হাত করেই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ফসলি জমি ভরাটের মহোৎসব চলছে। এমন একাধিক অভিযোগ পেয়ে ফান্দাউক ইউনিয়নে দেখা যায়, সেখানে ১৫টি স্থানে ফসলি জমি ভরাট চলছে। ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের আব্দুল আউয়াল রাস্তার পাশের ১৫ শতাংশ ফসলি জমি ভরাট করছিলেন। তিনি বলেন, দুই ছেলের জন্য জমিটি ভরাট করছেন। একই এলাকার জুয়েল ও সুহেলের সঙ্গে প্রশাসনের অনুমতিসহ জমি ভরাটের জন্য মৌখিক চুক্তি করেছেন। এ জন্য তাঁর খরচ হবে ৩ লাখ টাকা। প্রশাসন যদি বাধা দেয়, বিষয়টি দেখবেন জুয়েল ও সুহেল। তিনি বলেন, ‘আমি অনুমতি দিয়া কিতা করুম? যারা টাকা নিছে তারাই প্রশাসনের হিসাব বুঝব।’
এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জুয়েল। তাঁর ভাষ্য, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য জমির মালিক মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।’ সুহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খননযন্ত্রের একাধিক মালিক স্বীকার করেন, তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই জমি ভরাট করেন। কিন্তু কেউই প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চান না। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি আব্দুন নূর নাসিরনগরে ফসলি জমি ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন। তিনি এর জন্য প্রধানত দায়ী করেন অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপনকে। আব্দুন নূরের ভাষ্য, নদীভাঙন ও জলাশয় ভরাট, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনও জমি কমার অন্যতম কারণ। এ থেকে রক্ষা পেতে ভূমি সংরক্ষণ নীতি কার্যকর, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.

ইমরান হোসাইনের কাছেও ফসলি জমি এভাবে কমতে থাকা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, জমি রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা হলে ফসল উৎপাদনে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।
নাসিরনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাসরিন বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আবাদি জমি ভরাট করা হয়েছে বা হচ্ছে, এমন তথ্য তাঁর জানা নেই। শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমতিও জেলা প্রশাসন ছাড়া কেউই দিতে পারেন না। কোথাও নতুন ঘরবাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ করতে হলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিতে হয়। যদি কেউ অনুমতি না নেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ন স রনগর উপজ ল র এক ধ ক ভর ট র অফ স র পর ব র র জন য পর ম ণ র পরও সরক র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো পুণ্ড্রনগর সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত

সাহিত্য সংগঠন বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে প্রথমবারের মতো পুণ্ড্রনগর সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উডবার্ণ সরকারি গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করেন বগুড়া সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা কবি প্রাবন্ধিক মুহম্মদ শহীদুলাহ। শতাধিক কবি এতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক। বাচিকশিল্পী অলক পালের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বগুড়া পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান রিপন, ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ও সাহিত্য সমালোচক আনোয়ার মলি­ক, বগুড়া পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক কামরুল বাহার আরিফ, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন ও বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর ইসলাম পলাশ, নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন, জয়পুরহাট সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোসতাফা আনসারী।

অনুষ্ঠানে কবি মুহম্মদ শহীদুলাহর কাব্যগ্রন্থ ‘বিদীর্ণ কথামালা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসবে কথা, কবিতা ও আবৃত্তির দুটি পর্ব, কবিতা ও গল্প বিষয়ক দুটি পর্ব, দল অন্যরকমের পরিবেশনায় গানাবৃত্তি পরিবেশিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরে আনন্দ মিছিল
  • প্রথমবারের মতো পুণ্ড্রনগর সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১