Samakal:
2025-05-12@12:45:28 GMT

এক চিঠিতে ১২০০ সদস্যের পদায়ন

Published: 11th, May 2025 GMT

এক চিঠিতে ১২০০ সদস্যের পদায়ন

এক চিঠিতে পুলিশের দুটি ইউনিটে এক হাজার ২০০ সদস্যকে পদায়ন করা হয়েছে। ইউনিট দুটি হলো গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) ও হাইওয়ে পুলিশ। উপপরিদর্শক থেকে কনস্টেবল পদমর্যাদার সদস্যরা দুই মাস দায়িত্ব পালন শেষে পূর্বের ইউনিটে ফিরে যাবেন।
গত ২৩ এপ্রিল পুলিশ সদর থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এতে বলা হয়, জিএমপি ও হাইওয়ে পুলিশ ফোর্সের মঞ্জুরি প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই কাজের চাপ বিবেচনা করে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকার হাইওয়েতে সম্প্রতি ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বেড়েছে। গাজীপুর মহানগরে তৎপর আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আবার ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ গাজীপুরে মহাসড়ক প্রায়ই অবরুদ্ধ থাকে শ্রমিক আন্দোলনে।
জিএমপিতে এক হাজার ৫৬০ জন কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মঞ্জুরি কর্মকর্তা-কর্মচারী এক হাজার ১৬০ জন। ৩০ এপ্রিল থেকে তাদের সঙ্গে ৫০০ ফোর্স যুক্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জিএমপিতে ৫০০ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে পিবিআই থেকে ১০০, পুলিশ টেলিকম থেকে ১০০, সিলেট রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে ৫০, বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে ৫০ ও সিআইডি থেকে ২০০ সদস্যকে জিএমপিতে মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে কয়েকটি জেলা থেকে ৭০০ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি থেকে ১০০, রাঙামাটির ১০০, বান্দরবানের ১০০, রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে ১০০, দিনাজপুর থেকে ৫০, কুড়িগ্রামের ৫০, গাইবান্ধার ৫০, রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে ৫০, বরিশাল ৫০ ও পিরোজপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৫০ সদস্য।
জানা যায়, নতুন ৫০০ সদস্য পদায়নের পর জিএমপিতে জনবল দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬০-এ। তবে বর্তমান কাঠামোতে তাদের পদের সংখ্যা এক হাজার ৬০টি। নতুন জনবল কাঠামোর প্রস্তাব ইতোমধ্যে পুলিশ সদরদপ্তরে পাঠিয়েছে জিএমপি। সেখানে দুই হাজার ৮২৪টি পদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের এসপি আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, গাজীপুর হাইওয়ে ঢাকার প্রবেশমুখ। ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হতে অন্তত ১৫টি জেলার যোগাযোগ এখানে। ব্যস্ততার তুলনায় গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে ফোর্সের সংখ্যা খুবই কম ছিল। আবার সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ জন্য ফোর্সের চাহিদা দেওয়া হয়। সে বিবেচনায় অতিরিক্ত পুলিশ পদায়ন করা হয়েছে।
জিএমপির উপকমিশনার (প্রশাসন) জাহিদ হাসান সমকালকে বলেন, জিএমপির প্রয়োজন অনুযায়ী ফোর্স খুব কম। জেল থেকে আসামি আনা-নেওয়ায় ফোর্স লাগে। কিন্তু জিএমপির মঞ্জুরি কর্মকর্তা থেকে কনেস্টবল মাত্র ১ হাজার ১৬০ জন। ৪০০ ফোর্স যুক্ত ছিল। নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে আরও ৫০০ ফোর্স। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে তাদের পদায়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে মোতায়েনযোগ্য অফিসার ও ফোর্সদের পরিকল্পনা মোতাবেক পোশাক, অস্ত্র, গুলি ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, লেগগার্ড, হালকা বিছানাপত্র, পরিচয়পত্র ও রেইনকোট সঙ্গে রেখে জিএমপি এবং হাইওয়ে পুলিশে যোগদান বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরকে জানাতে বলা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ত য় ন কর এক হ জ র র হ ইওয় জ এমপ ত সদস য ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

জনবল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি দুই ভূমি অফিস

লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে বিল এলাকা। সেখানে যাতায়াতের নেই কোনো সড়ক। খুলনার ডুমুরিয়ায় সেই জনহীন বিলেই নির্মিত হয়েছে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস।  তবে উপজেলার মাগুরাঘোনায় নির্মিত ভূমি অফিসটি লোকালয়ের আশপাশেই। লোকবল সংকটের কারণে ভূমি অফিস দুটি নির্মাণের চার বছর পার হলেও এখনও তা চালু করা হয়নি। এতে ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। আর সরকারি জমিতে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। ১ কোটি ২০ লাখ (একটি প্যাকেজে) টাকা ব্যয়ে দুটি  সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করা হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ভবন দুটিতে নামজারি বা মিউটিশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি জমির তত্ত্বাবধান, ভূমি-সংক্রান্ত তদন্ত, তপশিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার।
গুটুদিয়া ইউপির বিলপাবলা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মনিলাল বিশ্বাস জানান, জনবিরান বিল এলাকায় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, যার আশপাশে লোকালয় নেই। রয়েছে মৎস্য ঘের, ধানের জমি আর নির্জন বাগান। সেখানে বসতি গড়ে উঠতে অনেক বছর সময় লাগবে। 
নতুন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণে ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে জানিয়ে উত্তর বিলপাবলা গ্রামের কৃষক সজল মণ্ডল বলেন, নতুন ভূমি অফিসে প্রবেশে রাস্তাও নির্মাণ করা হয়নি। কেউ কোনো ধরনের গাড়ি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অফিসটি চালু হলে সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হবে। 
মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কার্যক্রম শিগগির শুরু না হলে এর জমি অন্যের দখলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাগুরাঘোনা গ্রামের আবুল হাসান বলেন, মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বিলের ভেতরে। সম্প্রতি সেখানে রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা হয়েছে। জনবল না থাকায় ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভূমি অফিসের দুটি ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 
ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান বলেন, ভূমি অফিস দুটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 
ভূমি অফিস চালু না হওয়ায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিস্ট কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না সরকারি হাসপাতালে, ফায়দা লুটছে ক্লিনিক
  • বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি, সিএসই–তে পড়াশোনায় আবেদন
  • রাজধানীর ছত্রিশ শতাংশ মানুষের হোল্ডিং নম্বর নেই: ডিএনসিসি প্রশাসক
  • এক চিঠিতে দুই ইউনিটে ১২০০ পুলিশ মোতায়েন
  • এক চিঠিতে দু্ই ইউনিটে ১২০০ পুলিশ মোতায়েন
  • জনবল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি দুই ভূমি অফিস