রাজধানীর ছত্রিশ শতাংশ মানুষের হোল্ডিং নম্বর নেই: ডিএনসিসি প্রশাসক
Published: 11th, May 2025 GMT
রাজধানীর ছত্রিশ শতাংশ মানুষের ফোল্ডিং নম্বরই নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজ। এছাড়া অনেক কর্পোরেট অফিস ঠিকমত হোল্ডিং ট্যাক্স দেয় না। রাজধানীর কিছু আবাসিক এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ডিএনসিসি পায় না। সবাই যদি সঠিকভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করত তাহলে নগরবাসীকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারতাম।
রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২০ দিনব্যাপী পৌরকর মেলার উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নাগরিক সেবা দিতে হলে জনবল প্রয়োজন। এজন্য জনবল নিয়োগ দিতে হবে। জনবল নিয়োগ দিলে তাদের বেতন দিতে হবে। কিছু কিছু জায়গায় যদি ট্যাক্স ধরতে পারতাম তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যেত। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে রাজি হয়েছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি। অনেক কর্পোরেট অফিস তারা মামলা করে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ফেলেছে। এই কর মেলায় তারা যদি ট্যাক্স দেন তাহলে তারা রিবেট পাবেন। এখন ট্যাক্স না দিলে ভবিষ্যতে তাদেরকে আর রিবেট সুবিধা দেওয়া হবে না। হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ার মামলার শাস্তি অনেক কঠোর।
এ সময় বিএনসিসির পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ড এসস স ড এনস স এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
জনবল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি দুই ভূমি অফিস
লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে বিল এলাকা। সেখানে যাতায়াতের নেই কোনো সড়ক। খুলনার ডুমুরিয়ায় সেই জনহীন বিলেই নির্মিত হয়েছে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস। তবে উপজেলার মাগুরাঘোনায় নির্মিত ভূমি অফিসটি লোকালয়ের আশপাশেই। লোকবল সংকটের কারণে ভূমি অফিস দুটি নির্মাণের চার বছর পার হলেও এখনও তা চালু করা হয়নি। এতে ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। আর সরকারি জমিতে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। ১ কোটি ২০ লাখ (একটি প্যাকেজে) টাকা ব্যয়ে দুটি সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করা হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ভবন দুটিতে নামজারি বা মিউটিশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি জমির তত্ত্বাবধান, ভূমি-সংক্রান্ত তদন্ত, তপশিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার।
গুটুদিয়া ইউপির বিলপাবলা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মনিলাল বিশ্বাস জানান, জনবিরান বিল এলাকায় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, যার আশপাশে লোকালয় নেই। রয়েছে মৎস্য ঘের, ধানের জমি আর নির্জন বাগান। সেখানে বসতি গড়ে উঠতে অনেক বছর সময় লাগবে।
নতুন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণে ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে জানিয়ে উত্তর বিলপাবলা গ্রামের কৃষক সজল মণ্ডল বলেন, নতুন ভূমি অফিসে প্রবেশে রাস্তাও নির্মাণ করা হয়নি। কেউ কোনো ধরনের গাড়ি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অফিসটি চালু হলে সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হবে।
মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কার্যক্রম শিগগির শুরু না হলে এর জমি অন্যের দখলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাগুরাঘোনা গ্রামের আবুল হাসান বলেন, মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বিলের ভেতরে। সম্প্রতি সেখানে রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা হয়েছে। জনবল না থাকায় ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভূমি অফিসের দুটি ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান বলেন, ভূমি অফিস দুটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ভূমি অফিস চালু না হওয়ায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিস্ট কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।