থাইল্যান্ডের এআইটিতে স্কলারশিপের সুযোগ
Published: 11th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দেশটি ইতমধ্যে পর্যটক ছাড়াও জায়গা করে নিয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মনে। তুলনামূলক কম খরচ ও বাড়তি আয়ের সুবিধার কারণে দিন দিন বাড়ছে থাইল্যান্ডমুখী বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দিচ্ছে থাইল্যান্ড সরকার। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (এআইটি) আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিচ্ছে। এআইটি স্কলারশিপ-২০২৫ নামের এ বৃত্তির আওতায় মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এর লক্ষ্যে হলো উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং প্রচারের মাধ্যমে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন সাধন করা।
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি তিনটি স্বনামধন্য স্কুলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে। স্কুল তিনটি হলো স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এসইটি), স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট, রিসোর্সেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এসইআরডি) ও স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট (এসওএম)।
এআইটি স্কলারশিপ শুধু টিউশন ফি মওকুফ করে তা নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পরিবেশবিদ ও ব্যবসায়িক নেতা গড়ে তোলার একটি প্রচেষ্টা। এ স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফ পাবেন। তবে এটি নির্ভর করবে একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর। তবে শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে জীবনযাপন এবং প্রতি সেমিস্টারে ২০ হাজার থাই বাথ রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রদান করতে হবে। বিশ্বমানের ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ মেলে এ বৃত্তিতে।
স্কলারশিপে কারা আবেদন করতে পারবেন–
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ২০২৫-এ আবেদন করতে চাইলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। এগুলো হলো–
সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন;
ইংরেজি দক্ষতা: মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আইইএলটিএসে ৫ প্লাস স্কোর মাস্টার্সের জন্য, ডক্টরাল (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম ৫ দশমিক ৫ স্কোর প্রয়োজন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের অবশ্যই ৪ বছরমেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে। আর ডক্টরাল প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের অবশ্যই মাস্টার্স থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্টার্সে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫ জিপিএ এবং ব্যাচেলর ডিগ্রিতে ন্যূনতম ২ দশমিক ৭৫ জিপিএ থাকতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ–
এআইটি স্কলারশিপ ২০২৫-এর জন্য আবেদন করতে চাইলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারীদের জন্য দুটি ভর্তির সময়সূচি আছে। আগস্ট ২০২৫ ইনটেকের জন্য আবেদন শেষ দিন ২০ জুলাই ২০২৫। আর জানুয়ারি ২০২৬ ইনটেকের জন্য আবেদন শেষ দিন ২০ ডিসেম্বর ২০২৫।
আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে
https://daadscholarship.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ পালন
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ‘বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের মিলনায়তনে ‘ডোন্ট মিস আ বিট’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের ‘পেশেন্ট ফোরাম’–এ রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের হৃদ্রোগবিষয়ক সমস্যা ও রোগসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তাঁরা পরামর্শ দেন।
পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো–অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ কিউ এম রেজা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট আতিকুর রহমান, সিনিয়র কনসালট্যান্ট তামজীদ আহমেদ, এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিউর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এম আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর মো. জুলফিকার হায়দার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সোহেল আহমেদ এবং কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রত্নদীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ মাহমুদ।
এ সময় মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদ্রোগ প্রতিরোধে গর্ভধারণের তিন মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।