ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে
Published: 12th, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী ২১ মে থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ দিন ৩১ মের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। ঈদে বাড়তি যাত্রী পরিবহনে বিভিন্ন রুটে ১০টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া কোরবানির পশু পরিবহনে চলবে ৩টি ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন।
আজ সোমবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মের টিকিট ২১ মে, ১ জুনের টিকিট ২২ মে, ২ জুনের টিকিট ২৩ মে, ৩ জুনের টিকিট ২৪ মে, ৪ জুনের টিকিট ২৫ মে, ৫ জুনের টিকিট ২৬ মে এবং ৬ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৭ মে। এ ছাড়া ঈদে ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে আগামী ৩০ মে থেকে। এ দিন মিলবে ৯ জুনের টিকিট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে। পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেল উপদেষ্টা বলেন, ঈদে বাড়তি যাত্রী বহন করার জন্য এবার ৪৪টি কোচ সংযুক্ত করা হবে। আর ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনে মোট ৩৩ হাজার ৩১৫টি টিকিট বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন চলবে তিনটি। আগামী দুই থেকে তিন জুন পর্যন্ত এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে জানান রেল উপদেষ্টা।
ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় কোনো যাত্রীকে ট্রেনের ছাদে উঠতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে জানালা এবং দরজার মাথার ওপর দিয়ে যেসব যাত্রী ওঠার চেষ্টা করেন তাদেরও ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদয ত র উপদ ষ ট পর বহন র বহন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিবাদী জাতীয় সংগীতে উত্তাল টিএসসি
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আন্দোলন চলাকালে শাহবাগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমস্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। হয়। কর্মসূচিতে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে, সন্ধ্যা ৭টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের শহীদরা, লও লও সালাম’, ‘চব্বিশের শহীদরা, লও লও সালাম’, ‘একাত্তরের বাংলায়, রাজাকারের ঠাই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আমার সোনার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘পাকিস্তানের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’সহ নানা স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
বাজেট বৈষম্যের প্রতিবাদে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্য সমাবেশ
৬ দফা আদায়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
এদিন বিকেলে ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন কর্মসূচীর আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “আমাদের জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা কারো দয়ায় পাওয়া না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এ অর্জন। মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীতে আঘাত মানে আমাদের ইতিহাস ও অস্তিত্বে আঘাত। যেখানেই এসব অপচেষ্টা হবে, সেখানেই সম্মিলিত প্রতিবাদ হবে।”
তিনি আরো লেখেন, “আজ সন্ধ্যা ৭টায় রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার প্রতিবাদে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী