চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকা থেকে ১৮ শিশুসহ ৪৫ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ভাসানচর থেকে পালিয়ে ট্রলারে করে তাঁরা সীতাকুণ্ডে উপকূলে এসেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের অক্সিজেন রোড এলাকায় বন্ধ থাকা একটি জাহাজভাঙা কারখানার ভেতর থেকে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ।

আটক রোহিঙ্গাদের একজন জুবায়ের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভাসানচরের পাশ থেকে চারটি ট্রলার ভাড়া করে তাঁরা টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেন। টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ফেরার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ট্রলারে ১২ হাজার টাকা করে ভাড়া দেওয়ার চুক্তি হয়। তবে তাঁদের বহনকারী ট্রলারটি টেকনাফের পরিবর্তে সীতাকুণ্ড উপকূলে তাঁদের নামিয়ে দিয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক বিল্লাহ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই রোহিঙ্গা নাগরিকদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের ভাসানচরে ফেরত পাঠানোর জন্য নোয়াখালী সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ স নচর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের জন্য কক্সবাজার সীমান্ত প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের বিজিবি সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব তথ্য তুলে ধরেন।  

আরো পড়ুন:

টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

জাকসু নির্বাচনের ২ দিন আগে ডোপ টেস্ট নিয়ে যা বলছেন প্রার্থীরা

সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘‘নাফ নদী ও সাগরপথ হয়ে মহেশখালী, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা দিয়ে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করছে। ধারণা করা হয়, মোট মাদকের প্রায় ৮০ শতাংশ আসছে সাগরপথে। আগে এটি শুধু অনুমান ছিল, বর্তমানে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের মাধ্যমে এ রুট ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারির কারণে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার বাড়ছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। তবে দুর্গম ভূখণ্ড ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এ সীমান্তে নজরদারি কঠিন করে তুলেছে। গত ১৫ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজার রিজিয়নের অধীনস্থ ব্যাটালিয়নসমূহ বিশেষ অভিযানে ২৮ লাখেরও বেশি পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১৬৮ ক্যান বিয়ার, প্রায় ৩৬৬ লিটার বাংলা মদ এবং ২ কেজি ৪২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে।’’ 

তিনি জানান, এ সব অভিযানে ১৮৮ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা। 

তিনি আরো জানান, শুধু মাদক নয়, এ সময়ে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করেছে বিজিবি। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় এক নলা বন্দুক ৬টি, একে-৪৭ রাইফেল, এসএলআর, জি-৩ রাইফেল, বিদেশি রিভলবার ও গ্রেনেডসহ বিভিন্ন অস্ত্র রয়েছে। আটক হয়েছে ৫ জন অস্ত্রধারী আসামি। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের মূল্য ২২ লাখ টাকার বেশি।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদক ও চোরাচালান দমনে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’’ 

সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, রামু ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদক চোরাচালানে সহযোগিতা দিচ্ছে আরাকান আর্মি
  • কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি