দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা বা চিকিৎসা অনুদান দেয় সরকার। প্রতি দুই মাস পর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এ সহায়তা দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তার মে-জুন প্রান্তের আবেদন শুরু হয়েছে। এ অনুদান পেতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি উপজেলা মাধ্যমিক ও থানা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানোর জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। আহত, অসচ্ছল ও চিকিৎসাধীন মেধাবী ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ অনুদান পাবেন।

আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫

চিকিৎসা অনুদান প্রাপ্তির জন্য চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীকে ই-চিকিৎসা অনুদান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের-এ লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী ওপরের লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে তাঁর চিকিৎসা মেয়াদে একবার মাত্র চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সময় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অর্থবছর অথবা এক বছরের মধ্যে হতে হবে।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পরীক্ষা আবার পেছাল১০ মে ২০২৫

চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রমাণে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে গুরুতর আহতর সমর্থনে প্রত্যয়ন করা শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সনদ, চিকিৎসা গ্রহণ–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রিপোর্ট ও নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন অনলাইনে আপলোড করতে হবে।

ই-চিকিৎসা অনুদান ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে-জুন প্রান্তে আবেদন করতে পারছেন।

আবেদনের শেষ সময়—

৩০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

আরও পড়ুনকম খরচ এবং সহজে ভিসার কারণে উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন এই ৫ দেশ০৮ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য অন দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‍মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান। 

তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।

তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।

দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।

অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ