প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে ঢাকার শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন বলেন, শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে অনিয়মের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিধি লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৩৪৩ কোটি টাকা শান্ত–মারিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এদিকে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো.

আব্দুল্লাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়নি। নতুন করে আরও অভিযোগ এলে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জেটিতে আধিপত্য নিয়ে হামলা-আগুন আহত ৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক শাহীন মৃধা ও আহত মিরাজ হাওলাদার এ ঘটনার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের লোকজনকে দায়ী করেছেন। আহত অন্য দু’জন হলেন দোলন মৃধা ও রানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিঘাটে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মৃধা এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মহসিনের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার ৫০-৬০ জন শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালান।
এক পর্যায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শাহীন মৃধার দাবি, তাঁর পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, তিন দিন আগে এখানে মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এ কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ইন্ধনে মহসিন ও কাজলের নেতৃত্বে অফিস পোড়ানো হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আমিনুল ইসলাম মহসিন বলেন, ‘আমি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছি। এতে শাহীন মৃধা ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদা দাবি করেন। শ্রমিকদের কাজে বাধা দেন। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জানি না। তার পরও আমাকে দোষারূপ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, শাহীন মৃধা ও মহসিন মামা-ভাগনে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা সবাই চিহ্নিত। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ