বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড (বিডিএআইও) ২০২৫’। দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিইউবিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এ বি এম শওকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরআইসি-এর পরিচালক অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ, বিডিএআইও-এর দলনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস-এর ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান, বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান, আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রিভ চ্যাট-এর মামুনুর রঊফসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

এই অলিম্পিয়াডটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)। এতে পার্টনার হিসেবে রয়েছে রিভ চ্যাট, রকমারি, কিশোর আলো, বিজ্ঞান চিন্তা, ব্রেইন স্টেশন।

এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্রিটিশ কারিকুলামের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে ৩ ও ১০ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিক বাছাইপর্ব। যেখানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৭১ জনকে জাতীয় পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৭মে বিইউবিটি ক্যাম্পাসে জাতীয় পর্যায়ের মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নির্ধারিত পরীক্ষাকক্ষে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী ‘মেশিন লার্নিং অ্যান্ড প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’ অনুষ্ঠিত হবে। এখান থেকে বিজয়ীরা চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে। এছাড়াও বিজয়ীদের জন্য থাকছে সনদপত্র, আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং অনলাইন ও অফলাইন প্রশিক্ষণের সুযোগ।

চলতি বছরের প্রতিযোগিতায় নতুন সংযোজন হিসেবে থাকছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পাইথন প্রোগ্রামিং’ বিষয়ক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন এবং শূন্যস্থান পূরণের ভিত্তিতে ৩০ মিনিটের কুইজ প্রতিযোগিতা। এই পর্বের জন্য জুনিয়র ও সিনিয়র-দুই ক্যাটাগরিতে মোট ২৩৫ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। কুইজ শেষে অনুষ্ঠিত হবে প্যানেল আলোচনা ও কর্মশালা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এআই ও প্রযুক্তি বিষয়ে বাস্তবজ্ঞান লাভের সুযোগ পাবে। এখানেও বিজয়ীদের জন্য থাকছে পুরস্কার।

বিইউবিটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াড শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবার একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। অনেকে মনে করেন, এআই-এর কারণে চাকরি হারিয়ে যাবে—আসলে বিষয়টি উল্টো। কিছু চাকরি হয়তো হারাবে, কিন্তু নতুন আরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হবে। তরুণদের মধ্যে সেই আগ্রহ ও সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন।

প্রতিযোগিতাটির সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই অল ম প য় ড অন ষ ঠ ত ব ইউব ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজেরও নিয়ন্ত্রণ নিল ইসরায়েল

ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপকূলে আসলে ম্যারিনেট নামের জাহাজটির দখল নেয় ইসরায়েলি সৈন্যরা। এর আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের অন্যসব জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা জোর করে জাহাজটিতে উঠে পড়েন।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট জাহাজটিতে ছয়জন ক্রু আছেন বলে জানা গেছে। এর আগে ম্যারিনেট বাদে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌ বহরের অন্য সব জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। ম্যারিনেট জাহাজটিই শুধু চলছিল। এবার সেটিরও দখল নেওয়া হলো।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের১২ ঘণ্টা আগে

গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় গতকাল রাতে ফ্লোটিলায় প্রথমবারের মতো সরাসরি বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।

এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। বহরে প্রায় ৪৪টি নৌযানে ৫০০ মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ