Prothomalo:
2025-10-03@08:45:52 GMT

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে

Published: 13th, May 2025 GMT

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে আসলে কী ঘটে, তা দীর্ঘদিন ধরে জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান কগনিটিভ অ্যান্ড ব্রেন সায়েন্সেসের স্নায়ুবিজ্ঞানী সাবরিনা টার্কার জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কে ভাষার প্রভাব সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে। আমরা যা জানি তার বেশির ভাগই অল্পসংখ্যক বিষয় নিয়ে একক গবেষণার ফলাফল।

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বিজ্ঞানীরা ৩ হাজার ৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। সব মিলিয়ে ১৬৩টি পরীক্ষার ফলাফল একত্র করে নীরবে ও জোরে বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কাজের ধরন বোঝার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে মস্তিষ্কে বই পড়ার প্রভাব জানতে পরিচালিত এ গবেষণা ফলাফল নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড বায়োবিহেভিয়রাল রিভিউস সাময়িকীতে প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কোন কোন অঞ্চল সক্রিয় হয়ে ওঠে তা শনাক্ত করা হয়েছে। আমাদের মস্তিষ্কের বাঁ পাশ ভাষা প্রক্রিয়াকরণের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অক্ষর, বাক্য বা সম্পূর্ণ লেখা পড়লে মস্তিষ্কের এই অংশ সক্রিয় হয়। এত দিন স্নায়ুবিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের সেরিবেলাম অংশের ভূমিকা কিছুটা উপেক্ষা করেছেন। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সেরিবেলাম শুধু শব্দ প্রক্রিয়াকরণই নয় অর্থ তৈরিতেও জড়িত। তাই ডান পাশের সেরিবেলাম সব ধরনের পড়ার কাজে সক্রিয় থাকে। শুধু তা–ই নয়, জোরে পড়ার সময় ডান পাশের সেরিবেলামের কিছু অংশ অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। অর্থাৎ লিখিত শব্দকে কথায় রূপান্তরের জন্য এই অংশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, বাঁ পাশের সেরিবেলাম শব্দ পড়ার সময় বিশেষভাবে ব্যস্ত থাকে। তাই বই পড়ার সময় শব্দের অর্থ বের করার কাজে বাঁ পাশের সেরিবেলামের জড়িত থাকার সম্ভাবনা বেশি। ডান পাশের সেরিবেলাম মূলত সামগ্রিক পাঠ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখে। শব্দ নীরবে পাঠ করলে বাঁ অরবিটোফ্রন্টাল, সেরিবেলার ও টেম্পোরাল কর্টিস ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার, আটক ২ 

কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের কবল থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় আটক করা হয় দুইজনকে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনে নৌকাডুবি, নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

আরো পড়ুন: টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও আটজন শিশুসহ মোট ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৮

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের এবং আটককৃত পাচারকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ