Prothomalo:
2025-08-15@22:26:20 GMT

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে

Published: 13th, May 2025 GMT

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে আসলে কী ঘটে, তা দীর্ঘদিন ধরে জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান কগনিটিভ অ্যান্ড ব্রেন সায়েন্সেসের স্নায়ুবিজ্ঞানী সাবরিনা টার্কার জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কে ভাষার প্রভাব সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে। আমরা যা জানি তার বেশির ভাগই অল্পসংখ্যক বিষয় নিয়ে একক গবেষণার ফলাফল।

বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বিজ্ঞানীরা ৩ হাজার ৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। সব মিলিয়ে ১৬৩টি পরীক্ষার ফলাফল একত্র করে নীরবে ও জোরে বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কাজের ধরন বোঝার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে মস্তিষ্কে বই পড়ার প্রভাব জানতে পরিচালিত এ গবেষণা ফলাফল নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড বায়োবিহেভিয়রাল রিভিউস সাময়িকীতে প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কোন কোন অঞ্চল সক্রিয় হয়ে ওঠে তা শনাক্ত করা হয়েছে। আমাদের মস্তিষ্কের বাঁ পাশ ভাষা প্রক্রিয়াকরণের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অক্ষর, বাক্য বা সম্পূর্ণ লেখা পড়লে মস্তিষ্কের এই অংশ সক্রিয় হয়। এত দিন স্নায়ুবিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের সেরিবেলাম অংশের ভূমিকা কিছুটা উপেক্ষা করেছেন। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সেরিবেলাম শুধু শব্দ প্রক্রিয়াকরণই নয় অর্থ তৈরিতেও জড়িত। তাই ডান পাশের সেরিবেলাম সব ধরনের পড়ার কাজে সক্রিয় থাকে। শুধু তা–ই নয়, জোরে পড়ার সময় ডান পাশের সেরিবেলামের কিছু অংশ অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। অর্থাৎ লিখিত শব্দকে কথায় রূপান্তরের জন্য এই অংশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, বাঁ পাশের সেরিবেলাম শব্দ পড়ার সময় বিশেষভাবে ব্যস্ত থাকে। তাই বই পড়ার সময় শব্দের অর্থ বের করার কাজে বাঁ পাশের সেরিবেলামের জড়িত থাকার সম্ভাবনা বেশি। ডান পাশের সেরিবেলাম মূলত সামগ্রিক পাঠ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখে। শব্দ নীরবে পাঠ করলে বাঁ অরবিটোফ্রন্টাল, সেরিবেলার ও টেম্পোরাল কর্টিস ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

শুভ জন্মাষ্টমী আজ

অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়।

সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ