ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সম্প্রতি শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। ৬ পদে মোট ২২ জনকে নিয়োগে প্রকাশ করা হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম ও পদসংখ্যা

১. সহকারী পরিচালক
পদের সংখ্যা: ৭
বেতন স্কেল: ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা

২.

কম্পিউটার অপারেটর
পদের সংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা

৩. সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদের সংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা

৪. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদের সংখ্যা: ৭
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা

৫. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদের সংখ্যা: ৩
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

৬. গাড়ি চালক (ড্রাইভার)
পদের সংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে বড় নিয়োগ, ৫৪০ পদের আবেদন শেষ বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা আগেআবেদনের বয়স ও অন্যান্য তথ্য

আবেদনকারীর বয়স ১/০৫/২০২৫ সালে ন্যূনতম ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। তবে ৫ নম্বর পদে বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স সীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

*সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে।

*সব চাকরিরত প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তি ছাড়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রিম কপি গ্রহণ করা হবে না।

*নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধিবিধান, সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ও প্রচলিত কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানে কোনো সংশোধন হলে তা–ও অনুসরণ করা হবে।

*মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রতিটির ১টি করে সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইসেন্স/প্রশিক্ষণের সনদপত্র/অভিজ্ঞতার সনদপত্রসহ) জমা দিতে হবে এবং পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফরমসহ সত্যায়িত একসেট ফটোকপি দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি এবং আবেদনকারী কোনো কোটার দাবিদার হলে দাবির সমর্থনে সরকারের সর্বশেষ জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ/প্রমাণপত্র প্রদর্শনপূর্বক প্রতিটির ১টি করে সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ৫ ঘণ্টা আগেছবি: প্রথম আলো/এআই জেনারেটেড

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদ র স খ য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনদপত্র তুলতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সায়মুম খান।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

সোমবার(১২ মে) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় আটক হন সাইমুম খান।

আরো পড়ুন:

প্রতিবাদী জাতীয় সংগীতে উত্তাল টিএসসি

বাজেট বৈষম্যের প্রতিবাদে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্য সমাবেশ

গত ২০২৪ সালে ৫ জুন সায়মুম ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের খাইরুল ইসলাম সৌরভকে বেয়াদবি করার অভিযোগে ছাদে নিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

সোমবার সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের ওই নেতা প্রধান ফটকে আছে- এমন খবর জানতে পেরে ভুক্তভোগী সৌরভসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসারদের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করেন তারা।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছল ৫ জুন সন্ধা ৭টা ১৩মিনিটে ভুক্তভোগীর বন্ধু সিফাত সিদ্দিকির সহায়তায় তাকে কল দিয়ে কথা বার্তার অজুহাতে শহীদ আনাস হলের (তৎকালীন শেখ রাসেল হল) ছাদে নিয়ে যান সাইমুম খান। পরে জেরা করার একপর্যায়ে মারধর করে ও ছাদ থেকে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন সাইমুম।  পরবর্তীতে ভুক্তভোগী সিঁড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাক্কা দিয়ে সিঁডিতে ফেলে দেন তিনি। ফলে ভুক্তভোগী হাত-পায়ে আঘাত পান এবং তার রক্তক্ষরণ হয়।

অভিযুক্ত সায়মুম বলেন, “আমি সনদপত্র তুলতে এসেছি। ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করিনি। বাইরে বসে ছিলাম, হঠাৎ করে এমন আক্রমণ। আমি সঠিক জানি না, তারা কেনো এমন করেছে।”ভুক্তভোগী সৌরভ বলেন, “ওর গার্লফ্রেন্ড আমার বিভাগে পড়ে। আমার বান্ধবী। তার সঙ্গে একদিন আমি ঘুরেছিলাম। এতে সে আমাকে ডেকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ভীষণভাবে মারধর করেছে, ছাদ থেকে ফেলে দিতে যাচ্ছিল। আমি অনেক কষ্টে তখন পালিয়ে আসছি।”

এ বিষয়ে জানতে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ