জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথমবারের মতো ‘আইসিসি মাসসেরা পুরস্কার’ অর্জন করেছেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে এই সম্মান পেয়েছিলেন কেবল সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

বুধবার (১৪ মে) আইসিসির প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এপ্রিলে মাসসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মিরাজের নাম ঘোষণা করা হয়। এ পুরস্কারের দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে।

সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটে-বলে সমান দ্যুতি ছড়ান মিরাজ। বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ে বড় অবদান ছিল তার। ব্যাট হাতে করেন ১০৪ রান, বল হাতে নেন আরও ৫ উইকেট।

পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রিয়ায় মিরাজ বলেন, 'আইসিসি মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়া আমার জন্য অনেক বড় সম্মান। এই পুরস্কার বৈশ্বিক ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ায় তা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।'

তিনি আরও বলেন, 'এটা আমাকে আমার পথচলার শুরু মনে করিয়ে দেয়, যখন ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলাম। এই পুরস্কারও তেমনই স্পেশাল। এটি আমাকে আরও ভালো খেলতে এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের জন্য নিয়মিত অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।'

ভক্ত ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিরাজ বলেন, 'একজন ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে প্রভাব ফেলা এবং ভক্তদের আনন্দ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এই স্বীকৃতি আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে। আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই পুরস্কার তাদের সবারও প্রাপ্য।'

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স প রস ক র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ চিরঞ্জিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জিতের ছোট ভাই মারা গেছেন। ২৫ জুন মারা যান অমিতাভ চক্রবর্তী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন চিরঞ্জিৎ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন। সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠল। ওর স্ত্রী মজা করে বলল, ‘আজ তুমি অনেকক্ষণ ঘুমালে।’ তখন অমিতাভ বলে, ‘হ্যাঁ আজ ভালো ঘুম হয়েছে।’ এরপরই কলিং বেল বেজে ওঠে। কে এসেছে তা দেখতে ওর স্ত্রী বারান্দায় যায়। ফিরে এসে দেখে অমিতাভের কোনো সাড়াশব্দ নেই, চুপচাপ শুয়ে আছে। ঘুম থেকে ওঠার কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই ঘটনাটা ঘটে যায়।”

স্মৃতিকাতর হয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, “ও আমার চেয়ে ৬ বছরের ছোট ছিল। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো চলে যাওয়ার মতো তো ওর কিছুই হয়নি। খালি মনে হচ্ছে, মাকে দেখেছি ওকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে আসতে। একসঙ্গে খেলা, খাওয়া, ঘুম। এত সুন্দর সময় কাটানোর পর ওকে শ্মশানেও পাঠাতে হলো আমায়। এটা তো দাদা হিসেবে আমার দুর্ভাগ্য।”

আরো পড়ুন:

আমি আফরান নিশোর ফ্যান: স্বস্তিকা

দেবের নায়িকা হওয়া হলো না ফারিণের!

কয়েক দিন আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন অমিতাভ। চিকিৎসক ইসিজি করতে বলেছিলেন। রিপোর্টে সমস্যা না পাওয়ায় ইকো কার্ডিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন ডাক্তার। কিন্তু গুরুত্ব দেননি অমিতাভ। এ বিষয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, “ও বলেছিল আমি তো ঠিক আছি, কেন টেস্ট করাব। আর সেটাই সর্বনাশ ডেকে আনল।

মারা যাওয়ার দিন সকালে ঘুম থেকে অমিতাভ তার স্ত্রীকে বলেছিলেন—“অনেক দিন পর রাতে ভালো ঘুম হয়েছে।” এ কথা স্মরণ করে চিরঞ্জিৎ বলেন, “এটাই ওর বলা শেষ কথা। মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সত্যি বলতে, এভাবে চলে যাওয়াটা ওর জন্য হয়তো খুব সুন্দর। কিন্তু আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর।”

চিরঞ্জিৎ অভিনয়ের মানুষ হলেও অমিতাভ এই অঙ্গনের কেউ ছিলেন না। আর্ট কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। খুব ভালো ছবি আঁকতেন বলেও জানান চিরঞ্জিৎ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ