মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফুল ইসলাম (সাদিফ), একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের আরিফ আশহাফ, ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাইফ হাসান (জিদনী) এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল খান। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই হলে তাঁদের কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী হলেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র চৌধুরী রাফসান সামি। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মাদক সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল ও উগ্র আচরণের অভিযোগে তাঁকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে চার শিক্ষার্থীর মাদক সেবনের অভিযোগ তদন্তে বুধবার চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো.

জিয়া উদ্দিন ও সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাছান খান। এ ছাড়া অন্য দুই সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাহিদা বেগম এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ সুমাইয়া আফরীন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ মে দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থীর বিজয়-২৪ হলের কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে তাঁদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর গত ২৩ এপ্রিল রাত একটার দিকে মাদক সেবন করে হলের নিচতলায় ও ১০৬ নম্বর রুমে লাথি দেওয়া এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করার অভিযোগ ওঠায় হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে চৌধুরী রাফসান সামিকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত চার শিক্ষার্থী একাডেমি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পাশাপাশি ইতিমধ্যে তাঁদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হল কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরেক শিক্ষার্থীকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয় মাস পর হল প্রশাসন চাইলে তাঁকে নতুন করে সিট বরাদ্দ দিতে পারবে। তবে তাঁর একাডেমিক কার্যক্রম চলবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ র কম ট র হল থ ক সদস য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না ভারত: নরেন্দ্র মোদি

ভারত কোনও ধরনের ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র। এই অভিযানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণের ওপর।

সোমবার ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত ঘিরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ভাষণে তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করা হবে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্থগিত রাখা হয়েছে মাত্র। এই অভিযানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণের ওপর।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। পাকিস্তান কী করে, সেটাই নির্ধারণ করবে পরবর্তী পদক্ষেপ। ভারত শান্তিতে বিশ্বাসী, কিন্তু কেউ যদি ভুল করে আমাদের দুর্বল ভাবার, তার উপযুক্ত জবাব আমরা দেবো।

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই দেশের সকল মা, বোন ও কন্যাদের প্রতি অপারেশন সিঁদুর উৎসর্গ করছি...অপারেশন সিঁদুর শুধু একটি নাম নয়, এটা মানুষের আবেগ ও অনুভূতির প্রতিফলন।’

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। পানি এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটা যুদ্ধের কাল নয়, আবার সন্ত্রাসবাদের কালও নয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের কিছু পয়েন্ট...
•দেশের সক্ষমতা ও স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। প্রথমে আমি সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও সব গোয়েন্দা সংস্থাকে অভিবাদন জানাই। প্রত্যেক ভারতীয়র পক্ষ থেকে আমি সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাই।
• আমরা আমাদের বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি।
• অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি নাম নয়; এটি আমাদের জনগণের আবেগের প্রতিফলন। এটি ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার।
• ২২ এপ্রিল বেসামরিকদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তারা লোকজনকে ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে শিশুদের সামনে হত্যা করেছে। এটি আমাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এই হামলার পর গোটা জাতি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চেয়েছিল।
• আমাদের বাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালিয়েছে।
• মাত্র ৩ দিনে আমরা পাকিস্তানের অকল্পনীয় ক্ষয়ক্ষতি করেছি।
• আমাদের পদক্ষেপের ব্যাপকতা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
• আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সন্ত্রাসীদের কাঁপিয়ে দিয়েছে।
• বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে ছিল সন্ত্রাসের বিশ্ববিদ্যালয়।
• আমরা সেসব সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দিয়েছি।
• হামলায় পাকিস্তানে শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টা মাহফুজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ন
  • জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ছাত্র ইউনিয়নের
  • ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অব্যাহত মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ
  • একটা ‘ঘৃণা নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ এখন সময়ের দাবি: সায়ান
  • ‘একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে বেশ্যা ডেকে কেন পার পাবেন?’
  • পুলিশ স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাওয়ান, দেন আঙুর ফলও, এরপরে করেন হত্যা
  • ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না ভারত: নরেন্দ্র মোদি