হলের কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
Published: 14th, May 2025 GMT
মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফুল ইসলাম (সাদিফ), একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের আরিফ আশহাফ, ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাইফ হাসান (জিদনী) এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল খান। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই হলে তাঁদের কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আর হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী হলেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র চৌধুরী রাফসান সামি। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মাদক সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল ও উগ্র আচরণের অভিযোগে তাঁকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে চার শিক্ষার্থীর মাদক সেবনের অভিযোগ তদন্তে বুধবার চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো.
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ মে দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থীর বিজয়-২৪ হলের কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে তাঁদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর গত ২৩ এপ্রিল রাত একটার দিকে মাদক সেবন করে হলের নিচতলায় ও ১০৬ নম্বর রুমে লাথি দেওয়া এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করার অভিযোগ ওঠায় হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে চৌধুরী রাফসান সামিকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত চার শিক্ষার্থী একাডেমি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পাশাপাশি ইতিমধ্যে তাঁদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হল কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরেক শিক্ষার্থীকে হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয় মাস পর হল প্রশাসন চাইলে তাঁকে নতুন করে সিট বরাদ্দ দিতে পারবে। তবে তাঁর একাডেমিক কার্যক্রম চলবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ র কম ট র হল থ ক সদস য তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্নীতিগ্রস্ত উপদেষ্টাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এনসিপি
বিরোধীদের নিয়ে কড়া বাক্য উচ্চারণের জন্য বহুল আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের জন্য রীতিমতো শঙ্কার বার্তা নিয়ে হাজির হলেন।
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেছেন, “বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। অনেকের আত্মীয়-স্বজনের খবর আমরা পাচ্ছি। উপদেষ্টাদের কে কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তা জনগণের সামনে আনতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এনসিপি।”
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসে ‘ওজি’ সিনেমার দাপট: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতের ভিসা জটিলতা কমবে: হাইকমিশনার
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতীক ইস্যুতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নাসীরুদ্দীন।
যে প্রতীক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে, সে বিষয়ে জোর দিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, “শাপলা পেতে কোনো আইনি বাঁধা দেখছি না। এখানে ইসি স্বৈরাচারী ও বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। প্রতীক প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যাখ্যা দিয়েই কমিশনকে যেতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এনসিপির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে ইসি। তারা একটি দলের পক্ষ নিয়ে তাদের সুবিধা দিচ্ছে।”
রাকঢাক ছাড়াই অভিযোগের তীর ছুড়ে নাসীরুদ্দীনের সোজা কথা, “অসাংবিধানিক আচরণের জন্য ইসি কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনার প্রসঙ্গ এলে এক্ষেত্রেও সেটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “একীভূত হওয়ার সুযোগ নেই। এনসিপিতে যোগ দিতে হলে সদস্য ফরম পূরণ করতে হবে। নির্বাচনেও এনসিপির হয়েই দাঁড়াতে হবে।”
অবশ্য এনসিপির অন্য নেতারা বলে আসছেন, একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে। কোনো সিদ্ধান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জন করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “আওয়ামী লীগ, ভারত, বিএনপি ও নির্বাচন কমিশন সব এক পক্ষে। এই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।”
বিএনপির বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দলটি ভারতের পক্ষে কাজ করছে, তাদের বাংলাদেশপন্থি রাজনীতি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের নিয়ে কড়া বাক্য উচ্চারণ করায় এনসিপির নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাসীরুদ্দীন। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, আগে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ছিল, এখন শুনছি কক্সবাজারের নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছে।
নাসীরুদ্দীনের ওই মন্তব্যের জেরে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয় সালাহউদ্দিন আহমেদের জন্মভূমি কক্সবাজারের চকরিয়ায়।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল