নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) অধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৪টি শূন্য পদে মোট ৪ জনকে নিয়োগ দেবে। ৮ মে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলঅ হয়েছে আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা ম্যানেজিং ডিরেক্টর, স্টেশন ডিরেক্টর, চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ও ডেপুটি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা। আগামী ২০ থেকে আবেদন শুরু হবে।

পদের বিবরণ—

১.

পদের নাম: ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
মূল বেতন: ২,১০,০০০ টাকা।

২. পদের নাম: স্টেশন ডিরেক্টর।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
মূল বেতন: ১,৭৮,৮০০ টাকা।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ১৪ মে ২০২৫

৩. পদের নাম: চিফ সুপারিনটেনডেন্ট।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/ নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
মূল বেতন: ১,৪৬,৪০০ টাকা।

৪. পদের নাম: ডেপুটি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/ নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
মূল বেতন: ১,২৬,০০০ টাকা।

আরও পড়ুনবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ১৩ মে ২০২৫

আবেদনের জন্য কিছ শর্ত আছে। এগুলো হলো—

১. চুক্তির মেয়াদ হবে ৩ (তিন) বছর। তবে পারফরম্যান্স কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় চাকরির অবসান (Termination) করতে পারবেন। কোম্পানির প্রয়োজন থাকলে এবং পারফরম্যান্স কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক বিবেচিত হলে চুক্তি নবায়ন করা হতে পারে।

২. কর্মস্থল এনপিসিবিএল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

৩. এনপিসিবিএলের চাকরিতে যোগদানের সময় যোগদানকারীকে এ মর্মে অঙ্গীকার নামা (surety bond) দাখিল করতে হবে যে তিনি তাঁর পদের বিপরীতে কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর চুক্তির মেয়াদ পূর্তির আগে স্বেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করলে তিনি এনপিসিবিএল, সরকার বা অন্য যেকোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাঁর প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যয়কৃত সমুদয় অর্থ এনপিসিবিএলের অনুকূলে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন।

৪. এনপিসিবিএলের চাকরিতে যোগদানের সময় যোগদানকারীকে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র দাখিল করতে হবে; এবং ঘোষণা মোতাবেক যোগদানকারীকে কোম্পানি বা রাষ্ট্রের বা সরকারের বা কোনো এনপিপির নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হলে কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরির অবসানসহ যেকোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

আবেদনের পদ্ধতি—

আগ্রহী প্রার্থীরা এ লিংকে থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৪ জুন, ২০২৫।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদ র ন ম পদস খ য ব এসস

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ