অ্যাপল ভারতে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন করুক: চান ট্রাম্প
Published: 16th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল তাদের পণ্য ভারতে উৎপাদন করুক, তা চান না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পণ্যগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করা হয়, সে জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার কাতার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ট্রাম্প। কাতারে অবস্থানের সময় তিনি বলেন, ‘টিম কুকের (অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) সঙ্গে আমার সামান্য সমস্যা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, টিম, আমরা আপনাকে ভালোই সহযোগিতা করেছি। আপনি বছরের পর বছর ধরে চীনে যতগুলো কারখানা বানিয়েছেন, আমরা সেগুলো মেনে নিয়েছি।’
এরপরই টিম কুকের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা চাই না আপনি ভারতে (কারখানা) তৈরি করেন। আমরা চাই আপনি সেগুলো এখানে—যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণ করেন। আর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যাচ্ছেন।’
গত এপ্রিলের শুরুর দিকে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে সেই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও পার পায়নি চীন। দেশটির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিংও। এতে বড় শঙ্কার মুখে পড়ে অ্যাপল। কারণ, বেশির ভাগ পণ্য চীনে উৎপাদন করে তারা।
যদিও পাল্টাপাল্টি আরোপ করা এই উচ্চ শুল্ক গত সোমবার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এতে বিশ্ববাণিজ্যে সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীলতা আরও কমে এসেছে। তবে এ ঘোষণার আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে টিম কুক বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ আইফোন উৎপাদনের দেশ হবে ভারত।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণা করার আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল অ্যাপল। দেশটিতে ২০ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলেছিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘অ্যাপল এরই মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা বলেছে। তবে তাদের উৎপাদন এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) করতে হবে। সেটি চমৎকার হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য পল
এছাড়াও পড়ুন:
মোমবাতি প্রজ্বালনে শহীদদের স্মরণ করলো ছাত্রদল
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে ছাত্রদল। ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার রাত ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শিরোনামে এ কর্মর্সূচি পালন করেন সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। একইসঙ্গে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
৩৬ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন: বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটি শুধু মোমবাতি প্রজ্বলন নয়, গণতন্ত্রের নতুন যাত্রার সূচনা। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ছিলো ভয় আর আতংকের প্রতীক; আজ তা আশার আলো ছড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাত্রদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। আজকের এই আলোক প্রজ্বালনের মাধ্যমে আমাদের ৩৬ দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা হলো।’
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘জুলাই মাসে ছাত্রদলের এই আয়োজন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বহন করে। একদিনে এই আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। হাজারো মানুষের রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে এটি গঠিত হয়েছে। আজ আমরা খুনি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ দেখছি। শহীদ ওয়াসিম ও সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না।”
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। কিন্তু ছাত্রদল রাজপথে এককভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। হামলা-মামলার সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই।’
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্বে শুরু হলো ৩৬ দিনব্যাপী একাধিক আন্দোলন-প্রচারণা ও স্মরণ কর্মসূচি। যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।