সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডকে অপসারণ, যে বার্তা পেলেন আনচেলত্তি
Published: 16th, May 2025 GMT
ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনাল্ড রদ্রিগুয়েজকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেছেন আদালত। তত্ত্বাধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিও ডি জেনিরোর বিচারিক আদালতের বিচারপতি গ্যাব্রিয়েল ডি অলিভেইরা ফার্নান্দো সার্নিকে দায়িত্ব নিয়েছেন।
পদচ্যুত হওয়ার মাত্র তিনদিন আগে এডনাল্ড রদ্রিগুয়েজ ব্রাজিল জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে কার্লো আনচেত্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি লা লিগা মৌসুম শেষ হওয়ার আগে এবং রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের আগে ইতালিয়ান কোচ ডন কার্লোকে নিয়োগের বিষয়ে বিবৃতিও দিয়েছে সিবিএফ।
এডনাল্ডকে অপসারণ করায় ব্রাজিলের ডাগ আউটে কার্লো আনচেলত্তির দাঁড়ানো নিয়ে কোন শঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন ফার্নান্দো সার্নি। তিনি জানিয়েছেন, এডনাল্ডের অপসারণের সঙ্গে আনচেলত্তির চুক্তির কোন দ্বন্দ্ব নেই। কোন সমস্যা ছাড়াই আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটে দাঁড়াবেন।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো আরও জানিয়েছে, ফার্নান্দো সার্নি বলেছেন- কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সিবিএফের, এডনাল্ড রদ্রিগুয়েজের সঙ্গে নয়, ‘আমি এটা নিয়ে কোন ঝামেলা করতে যাচ্ছি কিনা? না, ফুটবল চলবে ফুটবলের মতো। আমি কেবল সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছি।’
এডনাল্ডকে অপসারণ করা হলেও সিবিএফের সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়তানো এবং টেকনিক্যাল সমন্বয়ক হুয়ানকে তাদের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হচ্ছে। তারা দু’জন বর্তমানে মাদ্রিদে আছেন। এডনাল্ডকে অপসারণ এবং এতে কাজে বাধা নেই; এই বার্তা আনচেলত্তির কাছে তারা দু’জনই পৌঁছে দিয়েছেন।
দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলেও এডনাল্ড পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সিবিএফকে আগামী ৬ জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে বলেছেন আদালত। এর আগেও তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। পুনরায় নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এডনাল্ড। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে- স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি সিবিএফের চেয়ারে বসেছেন। যে কারণে পুনরায় অপসারণ হলেন।
ব্রাজিলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি ২৬ মে কাজ শুরু করবেন। তার আগে সিবিএফের মাধ্যমে ডন কার্লো প্রথমবার ব্রাজিলের দল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। অবশ্য কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ফিফার কাছে সিবিএফ প্রাথমিক দল পাঠিয়ে দেবে। এরপর রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করবেন কার্লো আনচেলত্তি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল স ব এফ র
এছাড়াও পড়ুন:
আমি ভুলে গেলেও তারা ভুল করেন না: নিরব
চিত্রনায়ক নিরব। র্যাম্প থেকে বিজ্ঞাপন, সেখানে থেকে নাটকের পর রূপালি পর্দা। সিনেমায় হিসাবের তালিকা পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। কখনো রোমান্টিক, আবার কখনো অ্যাকশন হিরোর ভূমিকায় অভিনয় নিয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছেন। আজ এই নায়কের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে জন্মদিন, সিনেমাসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আমার পক্ষ থেকে সমকাল ও সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
বিশেষ এই দিনটিতে প্রথম উইশ কে করল?
প্রথমে উইশ করেছে আমার স্ত্রী। রাতে সে কেক নিয়ে এসে সেলিব্রেট করেছে। এরপর কাছের বন্ধু-বান্ধবরা। আর আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা তো বিভিন্নভাবে উইশ করছেই।
এই দিনে কাকে বেশি মিস করেন?
এই দিন এলেই আমার মা-বাবার কথা বেশে মনে পরে। তাদের কথা ভীষণভাবে উপলব্ধি করি। তারা না থাকলে হয়তো আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব ছিল না।
ছোটবেলা এবং এখনকার জন্মদিনের মধ্যে পার্থক্য?
ছোটবেলায় এই দিনটা ঘিরে একটা এক্সাইডমেন্ট কাজ করতো। দিনটার জন্য হয়তো কয়েক আগে থেকে অপেক্ষা করতাম। এখন তেমন না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো পাল্টে গেছি। জন্মদিন কখন আসে বোঝাই দায়। মনে হয় জন্মদিন আসলে কিছুই না, এটা অন্য ৩৬৪ দিনের মতোই।
জন্মদিনে বিশেষ উপহার?
আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি এটাই আমার বড় উপহার। যেটা দিয়েছেন আমার মা-বাবা। এর থেকে বড় উপহার আমি কিছু মনে করি না।
এই দিনে ভাক্তদের থেকে মেনে রাখার মতো কিছু?
অসখ্য বার। এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুগ। বিভিন্ন জায়গা থেকে গিফট আসে। দেখা যায় এই দিনটা আমি ভুলে গেলেও তারা ভুল করেন না। এটা আমার কাছে অন্যরকম এটা পাওয়া। এই অনুভূতি কখনো বোঝানো যাবে না।
নতুন কাজের খবর?
‘শিরোনাম’ সিনেমা ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিছু কারণে ঈদে মুক্তি পায়নি। এছাড়া এই সিনেমা কাজ অল্পকিছু বাকি আছে। সেটা করছি। এই সিনেমার কাজ শেষ না করে ‘গোলাপ’ সিনেমার শুটিং করছে পারছি না। কারণ, এই দুই সিনেমায় চুল-দাঁড়ির ব্যাপারটা ভিন্ন ভিন্ন। তাই এই মাসে ‘শিরোনাম’ শোষ করে ‘গোলাপ’-এর শুটিং শুরু করবো।
‘গোলাপ’ সিনেমায় পরীমণির সঙ্গে প্রথম কাজ, সব মিলিয়ে প্রস্তুতি কেমন?
হ্যাঁ, এই সিনেমা দিয়ে প্রথমবার পরীমণির সঙ্গে আমি পর্দায় আসছি। সবচেয়ে বড় কথা সিনেমার গল্পটা দারুণ। ফার্স্টলুক প্রকাশের পর থেকে দর্শকের যে ভালোলাগা তৈরি হয়েছে সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। দুই/একদিন পর পর আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসছি। আলোচনা করছি। কীভাবে ভালো একটা কাজ উপহার দেওয়া যায় সেই ভাবনা নিয়ে প্রত্যেকে এগিয়ে যাচ্ছি।
বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
ইন্ডাস্ট্রি তো ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটার প্রমাণ তো সবাই কয়েকবছর থেকে দেখছে। এখন সিনেমার বানানোর আগে আমরা প্রথম দর্শকের কথা চিন্তা করি। পরিচালক-প্রযোজকরাও এখন সেটাই করছে। কারণ, এখন দর্শক হলমুখী হচ্ছে। সুতরাং এই দর্শগুলো যেন হারিয়ে না যায়। এজন্য দরকার কম কাজ হলেও যেন কাজটা দর্শক পছন্দ করে পরবর্তীতে সিনেমা হলে আসে।
ভালো সিনেমা হলেও ঈদ ছাড়া সফলতার মুখ দেখে না, এটা নিয়ে কি বলবেন?
আমাদের সিনেমা এখন ঈদ কেন্দ্রিক। ঈদের ছাড়াও আমাদের সিনেমা নিয়ে আসা দরকার। ঈদ ছাড়া সিনেমা না চলার কারণ হিসেবে আমি মনে করি প্রচার-প্রচারণা। এটা ভালোভাবে না থাকলে একটি ভালো সিনেমাও অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে। আমি মনে করি সিনেমায় ভালো প্রচারণা থাকলে ঈদ ছাড়াও আমাদের সিনেমা চলবে।