২২৫ রান করেও ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ, সিরিজও
Published: 16th, May 2025 GMT
আগের দুই ম্যাচেই হয়েছিল ৩০০ ছাড়ানো রান, দেখা মিলেছিল সেঞ্চুরিরও। রাজশাহীতে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের ম্যাচটি আজ অবশ্য হলো কম রানের। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২২৫ রানেই, তা তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা করতে পারে কেবল ১৯১ রানে। ৩৪ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ৫০ ওভারের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছেন আকবর আলীরা।
আরও পড়ুনমোস্তাফিজ আইপিএলে চলে যাবেন বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচ খেলেই৫০ মিনিট আগেআগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জিসান আলম এই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না। তাঁর বদলে ওপেনিংয়ে আসা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬ বল খেলে আউট হন ০ রানে। ৪৮ বলে ২৬ রান করেন আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম।
পরের ব্যাটসম্যানরাও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আকবর আলী ৫১ বলে ৩৮ রানে ফেরেন। বাংলাদেশের ইনিংসে জুটি বলতে একটিই—নবম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন মাহফিজুর রহমান ও রাকিবুল হাসান। দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাহফিজুর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। এর আগেই রাকিবুল সাজঘরে ফেরেন ৪০ বলে ৪২ রান করে।
তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন তাঁরা। ব্যাট হাতে শেষ দিকে জুটি বেঁধে রান এনে দেওয়া রাকিবুল দাপট দেখান বল হাতেও। ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের কেউই ৫০ পেরোতে পারেননি। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন টিয়ান মিচেল ভেন ভারেন, ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন নকোবানি হ্যান্ডস্যাম। রাকিবুল ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট করে পান মাহফিজুর রহমান ও ওয়াসী সিদ্দিকী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা
নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায় বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।
পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ