আগের দুই ম্যাচেই হয়েছিল ৩০০ ছাড়ানো রান, দেখা মিলেছিল সেঞ্চুরিরও। রাজশাহীতে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের ম্যাচটি আজ অবশ্য হলো কম রানের। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২২৫ রানেই, তা তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা করতে পারে কেবল ১৯১ রানে। ৩৪ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ৫০ ওভারের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছেন আকবর আলীরা।

আরও পড়ুনমোস্তাফিজ আইপিএলে চলে যাবেন বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচ খেলেই৫০ মিনিট আগে

আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জিসান আলম এই ম্যাচের একাদশে ছিলেন না। তাঁর বদলে ওপেনিংয়ে আসা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬ বল খেলে আউট হন ০ রানে। ৪৮ বলে ২৬ রান করেন আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম।
পরের ব্যাটসম্যানরাও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আকবর আলী ৫১ বলে ৩৮ রানে ফেরেন। বাংলাদেশের ইনিংসে জুটি বলতে একটিই—নবম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন মাহফিজুর রহমান ও রাকিবুল হাসান। দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাহফিজুর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। এর আগেই রাকিবুল সাজঘরে ফেরেন ৪০ বলে ৪২ রান করে।

আরও পড়ুনস্টার্কও ফিরছেন না আইপিএলে, দিল্লি তাকিয়ে মোস্তাফিজে২ ঘণ্টা আগে

তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন তাঁরা। ব্যাট হাতে শেষ দিকে জুটি বেঁধে রান এনে দেওয়া রাকিবুল দাপট দেখান বল হাতেও। ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের কেউই ৫০ পেরোতে পারেননি। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন টিয়ান মিচেল ভেন ভারেন, ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন নকোবানি হ্যান্ডস্যাম। রাকিবুল ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট করে পান মাহফিজুর রহমান ও ওয়াসী সিদ্দিকী।

আরও পড়ুনযে ৫ কারণে লা লিগা জিতল বার্সেলোনা৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নায়ক ফারুকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৫ মে)। ২০২৩ সালের এই দিনে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাংলা সিনেমার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অন্তর্ধান ঘটেছিল সেই দিনে।

চলচ্চিত্রের পর্দায় তিনি ছিলেন এক নিখুঁত অভিনয়শিল্পী—গ্রামীণ, সামাজিক কিংবা রোমান্টিক গল্প—সব ধরনের চরিত্রে তার সাবলীল উপস্থিতি দর্শকমনে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে। তার অভাব চলচ্চিত্রাঙ্গনে এখনো গভীরভাবে অনুভূত হয়।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার পুরান শহরে জন্ম ফারুকের। পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান। বাবা আজগার হোসেন পাঠানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ফারুক বেড়ে ওঠেন পুরান ঢাকার আবহে। তার অভিনয়ে আগ্রহ তৈরি হয় কাছের মানুষদের উৎসাহে। অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, পরিচালক এইচ আকবর ও এক বন্ধুর সহযোগিতায় ‘ফারুক’ নামে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

যোদ্ধা বাবার কন্যা হিসেবে গর্বিত আনুশকা

দেশ ভালো নেই, কনসার্ট বাতিল করলেন শ্রেয়া

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক। এরপর ‘আবার তোরা মানুষ হ’ (১৯৭৩) এবং ‘আলোর মিছিল’ (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। কিন্তু দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেন ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমার মাধ্যমে। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সে বছর তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

এরপর একে একে মুক্তি পায় ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমণি’সহ বহু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। ‘মিয়া ভাই’ (১৯৮৭) সিনেমার পর এই নামে তিনি হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্র জগতের সবার প্রিয় মানুষ।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ প্রভৃতি। তার ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমা ব্যবসাসফল হয়েছে, যা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন দর্শকনন্দিত এক প্রজন্মের প্রতীক।

শুধু অভিনয়েই নয়, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী হিসেবেও তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এই মহান শিল্পী।

নায়ক ফারুকের স্মৃতি আজও গেঁথে আছে কোটি দর্শকের হৃদয়ে। তার কর্ম, দেশপ্রেম ও শিল্পভিত্তিক সংগ্রাম নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে বহুদিন।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোগল শাসকদের হজের কৌশল
  • ছয় দফার ‘ওয়ান্টেড’ থেকে ‘মিয়াভাই’—ফারুকের জীবনটাই ছিল যেন এক সিনেমা
  • নায়ক ফারুকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
  • আকবরের সেঞ্চুরির পরও হারলো বাংলাদেশ
  • আকবরের সেঞ্চুরি, তবু হেরে গেল বাংলাদেশ