রাজধানীর চার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো ‘জয়া আর শারমিন’
Published: 16th, May 2025 GMT
করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভার যখন চরমে তখন নির্মিত হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’। সিনেমাটি আজ মুক্তি পেয়েছে রাজধানীর ৪ টি প্রেক্ষাগৃহে। এটি এখন চলছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বসুন্ধরা ষ্টার সিনেপ্লেক্স, মহাখালীর ‘এস কে এস’, ধানমন্ডির ‘সীমান্ত সম্ভার’ ও কেরানীগঞ্জের ‘লায়ন্স’ হলে।
ইতিমধ্যে ছবির দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র জয়া আহসান ও মহসিনা আক্তার শারমিন দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে কয়েকটি সিনেমা হল ঘুরে এসেছেন।
সিনেমাটির দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে জয়া বলেন, ‘জয়া আর শারমিনকে দর্শকরা যে এত মিষ্টি করে গ্রহণ করছেন, আজ সকাল থেকেই সেটা অনুভব করছি। একজন শিল্পী ও প্রযোজক হিসেবে এই ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই আনন্দের। আমরা যে ছোট ছোট গল্প বলতে চেয়েছি, দর্শকরা সেটা শুনতে চাচ্ছেন এটাই বড় প্রাপ্তি।’
ছবিটির প্রেক্ষাপট করোনাকাল যখন ঘরবন্দি জীবন কাটছিল দেশের অধিকাংশ মানুষের। অনেকেই তখন রান্না করে সময় কাটাতেন, নতুন রেসিপি নিয়ে চলত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেই সময়কে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে ছবির গল্প।
গল্পে দেখা যাবে, এক অভিনেত্রীর বাড়িতে করোনাকালে আটকা পড়েন তার গৃহকর্মী। এরপর শুরু হয় রান্না ঘিরে তাদের দুজনের এক অসাধারণ সম্পর্কের গল্প। চলচ্চিত্রে জয়া আহসানের পাশাপাশি শারমিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহসিনা আক্তার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পিপলু আর খান।
এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল জয়া অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘নকশী কাঁথার জমিন’। প্রায় পাঁচ মাস পর মুক্তি পেল জয়া আর শারমিন। ছবিটি নিয়ে জয়া আরও বলেন, ‘ওই সময়টাকে ধরে রাখার জন্যই কাজটি করা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুটিং করেছি। যারা ছবিটি দেখবেন, তারা ফিরে যাবেন সেই করোনাকালের স্মৃতিতে যেখানে কেউ কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, কেউ বেঁচে ছিলেন মৃত্যুভয়ে। আমরা যারা টিকে গিয়েছি, তারাও এক অস্থির সময় পার করেছি।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।