বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‍‍“বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রাজনীতির মহাকাব্য। এই দফার মধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানসহ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং বাস্তবায়নের পথ দেখানো হয়েছে। আমাদের এই ভাবনাকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। দলের সব নেতাকর্মী ও তরুণরা প্রত্যেকেই এই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর।”

শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক খুলনা-বরিশাল বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ সেমিনারের আয়োজন করে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৭ মে) নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

আটঘরিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নজরুল ইসলাম খানের প্রশ্ন
কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন হওয়া উচিত?

সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইতিহাস। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিলোপ করে একদলীয় বাকশাল কায়েমের ইতিহাস। এই যে চোরতন্ত্রের ওয়ারিশি ব্যবস্থা- আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা পর্যন্ত করেছে।”

তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রবঞ্চনামূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে। এর ফলে রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের মধ্যে দুনীর্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে শেখ হাসিনার সময় একটি অবৈধ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের শতশত নেতাকর্মীদের জীবন দিতে হয়েছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “জনতার রক্তের যে প্রত্যাশা বা আকঙ্খা সেটিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করে সবার আগে বাংলাদেশ- এই নীতি আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।”

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনের উপস্থাপনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বিডিজবস-এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক  ড.

মারুফ মল্লিক, চিন্তক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, এ এম জেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সায়েম মোহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার, শিখো’র প্রতিষ্ঠাতা শাহীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক জোয়ার্দার।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বাবী হেলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

সেমিনারে আলোচকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, কর্মসংস্থানে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাতৃভাষার পাশাপাশি আরো ২-৩টি বিদেশি ভাষা শিখতে হবে। ইন্টারনেট ব্যয় হ্রাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দল র ক ন দ র য় ব যবস থ ব এনপ র ল ইসল ম ন ত কর য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাল ঘটনার খবর গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার হয়: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বর্তমানে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যের চেয়ে ভাইরাল হওয়ার দিকেই মনোযোগ বেশি। এ ধরনের খবর গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়। ভাইরাল নিউজের বাণিজ্যিক ও আর্থিক মূল্য আছে বলে সেটা করা হচ্ছে। এই চিন্তাধারা থেকে বের হওয়া না গেলে দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) সেমিনারকক্ষে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে পিআইবি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মূলধারার গণমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে সে জায়গাটা নেবেন কনটেন্ট মেকার বা ব্লগাররা। তিনি বলেন, তাঁরা বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবেন। এ সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যম মালিক ও ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এবং ফ্যাক্ট চেকিংয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। সূচনা বক্তব্যে গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র নিজে মিথ্যার কারখানায় পরিণত হয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার ফেরিওয়ালা।’ গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুমের ঘটনা ঘটানোর জন্য শিকারি সাংবাদিকতা করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় দায়িত্বশীল ধারা ক্ষীণ ছিল বলে মনে করেন ফারুক ওয়াসিফ। রাজনৈতিক জায়গা থেকে গণমাধ্যম কোনো অবস্থান নিতে পারেনি বলেন তিনি।

পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, অপতথ্যকে শুধু ফ্যাক্টচেক দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (ইবিএলআইসিটি) প্রকল্পের পরামর্শক মামুন অর রশীদ। প্রবন্ধের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এতে বক্তব্য দেন প্রথমা প্রকাশনার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউল আলম, একাত্তর টিভির সিওও শফিক আহমেদ, যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক প্রমুখ। সংবাদমাধ্যমে অপতথ্য মোকাবিলায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন তাঁরা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই কি নতুন দল গঠনের হুমকি দিচ্ছেন ইলন মাস্ক
  • অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক
  • কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতদের হামলা, মারধর
  • সিলেটে করোনায় আক্রান্ত ৪
  • আহমদ ছফা: দেশ, জাতি ও সংস্কৃতি
  • জামালপুরে মধ্যরাতে ডেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
  • নির্বাচন বিলম্বিত বা না হওয়ার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু
  • ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আইন হচ্ছে, জাতীয় কর্তৃপক্ষ গঠনের চিন্তা: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • ভাইরাল ঘটনার খবর গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার হয়: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব