হাসপাতালের বিশ্রামকক্ষে ফ্যানে ঝুলছিল ওয়ার্ড বয়ের মরদেহ
Published: 16th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সজিব হোসেন জয় (২৬) নামের এক ওয়ার্ড বয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় মমতা হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওয়ার্ড বয় সজিব হোসেন জয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ির এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মমতা হাসপাতালের পঞ্চম তলায় থাকা বিশ্রাম কক্ষের ফ্যানে ওয়ার্ড বয় সজিবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মমতা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আব্দুল জাব্বার জানান, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন সজিব। মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা.
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ল শ উদ ধ র প ইনব বগঞ জ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশে বিপাকে সুপ্রিম কোর্ট
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সীমিত করে দেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই সই হওয়া ওই আদেশ অনুযায়ী, যেসব শিশুর বাবা-মায়ের কেউ মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী নন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেও তারা আর নাগরিকত্ব পাবে না।
রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প চাচ্ছেন নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দেওয়া প্রচলিত ব্যাখ্যায় বড় পরিবর্তন আনতে। তাঁর এ চেষ্টা সফল হলে তা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লাখো শিশুর নাগরিকত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ট্রাম্পের ওই আদেশ বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মেরিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল বিচারকরা। ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, এ বিচারকদের ক্ষমতা খর্ব করতে যেন তাদের আদেশ দেশজুড়ে কার্যকর না হয়।
ট্রাম্পের আদেশ আটকে দেওয়া স্থগিতাদেশগুলো প্রত্যাহারে প্রশাসনের জরুরি আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দুই ঘণ্টার বেশি শুনানি হয়েছে। সরকার পক্ষের যুক্তি হচ্ছে, ফেডারেল বিচারকরা দেশজুড়ে একসঙ্গে স্থগিতাদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সেজন্য তাদের স্থগিতাদেশগুলো বাতিল করে প্রশাসনকে প্রেসিডেন্টের আদেশ বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে হবে।
প্রশাসনের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল ডি জন সাওয়ার বলেন, বিচারকদের দেশজুড়ে স্থগিতাদেশ জারির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ‘বিকারে’ পরিণত হয়েছে।অন্যদিকে লিবারেল বিচারক সোনিয়া সোটোমেয়র বলেছেন, ‘আমরা যদি সেই হাজার হাজার শিশুর কথা চিন্তা করি, নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়া জন্মগ্রহণ করায় যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে পারে এবং তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাবে না, তাহলে অবশ্যই আদালতের এই (নির্বাহী) আদেশের বৈধতা বিবেচনা করা উচিত।’
ট্রাম্পের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যারা মামলা করেছেন তারা বলছেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি নবজাতক নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। মামলাকারীদের তালিকায় ২২টি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশাপাশি অভিবাসন অধিকার কর্মী ও অন্তঃসত্ত্বা অভিবাসীরাও আছেন।