চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সজিব হোসেন জয় (২৬) নামের এক ওয়ার্ড বয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় মমতা হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওয়ার্ড বয় সজিব হোসেন জয় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ির এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মমতা হাসপাতালের পঞ্চম তলায় থাকা বিশ্রাম কক্ষের ফ্যানে ওয়ার্ড বয় সজিবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মমতা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আব্দুল জাব্বার জানান, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন সজিব। মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। 

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা.

আব্দুর রহমান জানান, নিহত অবস্থায় সজীবের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ল শ উদ ধ র প ইনব বগঞ জ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ভাসছিল ২২ কেজির কোরাল, ধরা পড়ল জালে  

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে আল আমিন খাঁর জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় জমায়।

জেলে আল-আমিন খাঁ বলেন, ‘‘সকাল ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুর চর এলাকায় ফিরছিলাম। তখন সাগরে বিশাল আকৃতির একটি কোরাল মাছ ভাসতে দেখি। আমি ও সঙ্গীয় জেলেরা জাল ফেলে মাছটি ধরার চেষ্টা করি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা করি। তখন মাছটি জালে ধরা পড়ে।’’ 

কুয়াকাটা মাছ বাজারে হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৯০ টাকা মাছটি কিনে নেন।

আরো পড়ুন:

যশোরে অতিবর্ষণে ভেসে গেছে ১৩৪ কোটি টাকার মাছ

স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ১৮ আগস্ট

হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল বলেন, ‘‘তবে এত বড় কোরাল মাছ কখনো দেখিনি। মাছটি সামান্য লাভে এখানেই বিক্রির চেষ্টা করব। তবে দাম না পেলে ঢাকা বা অন্য কোথাও পাঠাতে পারি।’’

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘কোরাল দেশের বাজারে দামি ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। কুয়াকাটার জেলেদের জালে মাঝে-মাঝে বড় আকৃতির কোরাল ধরা পড়ে। এ ধরনের মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভালো মূল্য পাওয়া যায়।’’

অন্যান্য জেলেদের জালেও বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ