পানিতে বাস করা সবচেয়ে বড় প্রাণীর নাম তিমি। আর ডাঙায় বাস করা সবচেয়ে বড় প্রাণীর নাম হাতি। জানো কি, দুই রাজ্যের এই দুই বড় প্রাণীর মধ্যে ওজনের পার্থক্য কেমন? নাহ, তেমন বেশি না! এই ধরো একটা পূর্ণবয়স্ক হাতির ওজন একটা নীল তিমির জিহ্বার চেয়ে একটু কম!
বাঁহাতি মানুষ তো খুব কম, তাই বাঁহাতি মানুষ দেখলে আমরা একটু অবাক হই। তোমরা কি জানো, মেরু অঞ্চলের সব ভালুকই বাঁহাতি!
না খেয়ে কতোদিন ঘুমিয়ে থাকতে পারবে, বলো তো? একদিনও না! শামুক কিন্তু খাওয়া-দাওয়া না করে একটানা তিন বছর ঘুমিয়ে থাকতে পারে।
গাধা কিন্তু একসঙ্গে নিজের চারটি পা-ই দেখতে পারে।
বাচ্চা একটা হাতি দিনে কতটুকু দুধ খেতে পারে, জানো? খুব বেশি না, মাত্র ৮০ লিটার!
জানোই তো, একজন মানুষ থেকে আরেকজনকে আলাদা করা যায় আঙুলের ছাপ দেখে। কুকুরকে কীভাবে আলাদা করা যায়, জানো? নাকের ছাপ দিয়ে!
কুমির তো হাঁ করে অনেককিছু গিলে ফেলতে পারে; তাই বলে চাইলেও নিজের জিহ্বা মুখের বাইরে আনতে পারে না।
হাঁটাহাঁটি তেমন পছন্দ করে না ক্যাঙ্গারু। লাফালাফিই তাদের পছন্দের। ছোটখাটো লাফ দিয়ে চললেও তারা কিন্তু এক লাফে ৪৫ ফুট উঁচুতে উঠতে পারে। তাছাড়া এরা ঘণ্টায় প্রায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে আর অনায়াসে ডিঙাতে পারে উঁচু দেয়ালও!
আদি ক্যাঙ্গারুরা ছিল বিশালাকার। লম্বায় ছিল ১০ ফুট। ওজন ছিল গড়ে ২০০ কেজি। এখন যে ক্যাঙ্গারুর দেখা মিলে সেগুলো লম্বায় ২ মিটার এবং ৮৫ কেজি ওজনের হয়। এছাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০ প্রজাতির ক্যাঙ্গারু আছে। n
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।