Samakal:
2025-05-17@04:23:45 GMT

এক লাফে ৪৫ ফুট

Published: 16th, May 2025 GMT

এক লাফে ৪৫ ফুট

পানিতে বাস করা সবচেয়ে বড় প্রাণীর নাম তিমি। আর ডাঙায় বাস করা সবচেয়ে বড় প্রাণীর নাম হাতি। জানো কি, দুই রাজ্যের এই দুই বড় প্রাণীর মধ্যে ওজনের পার্থক্য কেমন? নাহ, তেমন বেশি না! এই ধরো একটা পূর্ণবয়স্ক হাতির ওজন একটা নীল তিমির জিহ্বার চেয়ে একটু কম!
বাঁহাতি মানুষ তো খুব কম, তাই বাঁহাতি মানুষ দেখলে আমরা একটু অবাক হই। তোমরা কি জানো, মেরু অঞ্চলের সব ভালুকই বাঁহাতি!

না খেয়ে কতোদিন ঘুমিয়ে থাকতে পারবে, বলো তো? একদিনও না! শামুক কিন্তু খাওয়া-দাওয়া না করে একটানা তিন বছর ঘুমিয়ে থাকতে পারে।
গাধা কিন্তু একসঙ্গে নিজের চারটি পা-ই দেখতে পারে।

বাচ্চা একটা হাতি দিনে কতটুকু দুধ খেতে পারে, জানো? খুব বেশি না, মাত্র ৮০ লিটার!

জানোই তো, একজন মানুষ থেকে আরেকজনকে আলাদা করা যায় আঙুলের ছাপ দেখে। কুকুরকে কীভাবে আলাদা করা যায়, জানো? নাকের ছাপ দিয়ে!

 কুমির তো হাঁ করে অনেককিছু গিলে ফেলতে পারে; তাই বলে চাইলেও নিজের জিহ্বা মুখের বাইরে আনতে পারে না।
হাঁটাহাঁটি তেমন পছন্দ করে না ক্যাঙ্গারু। লাফালাফিই তাদের পছন্দের। ছোটখাটো লাফ দিয়ে চললেও তারা কিন্তু এক লাফে ৪৫ ফুট উঁচুতে উঠতে পারে। তাছাড়া এরা ঘণ্টায় প্রায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে আর অনায়াসে ডিঙাতে পারে উঁচু দেয়ালও! 
আদি ক্যাঙ্গারুরা ছিল বিশালাকার। লম্বায় ছিল ১০ ফুট। ওজন ছিল গড়ে ২০০ কেজি। এখন যে ক্যাঙ্গারুর দেখা মিলে সেগুলো লম্বায় ২ মিটার এবং ৮৫ কেজি ওজনের হয়। এছাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০ প্রজাতির ক্যাঙ্গারু আছে। n

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৭২৫ বছর আগের ম্যাগনা কার্টার মূল কপি হার্ভার্ডে

ম্যাগনা কার্টাকে মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মূল কপি পাওয়া দুষ্কর। এই দলিলের মূল কপি প্রায় ৮০ বছর ধরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু এই কপিকে ২০২৩ সালের আগপর্যন্ত অনুলিপি বা নকল বলে ধারণা করা হয়েছিল।

১৯৪৬ সালে হার্ভার্ড ল স্কুল লাইব্রেরি ২৭ ডলার ৫০ সেন্টে ম্যাগনা কার্টার একটি কপি কেনে। লন্ডনের বই ব্যবসায়ী সুইট অ্যান্ড ম্যাক্সওয়েল থেকে কেনা এই কপি ছিল বিবর্ণ ও দাগযুক্ত। মূল নয়, অনুলিপি হিসেবেই দলিলটি কেনা হয়েছিল।

সুইট অ্যান্ড ম্যাক্সওয়েল কর্তৃপক্ষ বিক্রির এক মাস আগে সথেবির নিলাম থেকে কিনেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সাবেক এক বৈমানিক সথেবির কাছে মাত্র ৪২ পাউন্ডে এটি বিক্রি করেছিলেন। এই বৈমানিক এই কপিকে ভুলবশত ১৩২৭ সালের বলে জানিয়েছিলেন, যা কিনা ছিল রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ডের সময়ের।

কেনার পর ম্যাগনা কার্টার কপিটি তালিকাভুক্ত করে হার্ভার্ড ল স্কুল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। অনুলিপি হিসেবেই তা তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর কেটে যায় প্রায় ৮০ বছর।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কিংস কলেজ লন্ডনের ইতিহাসবিদ ডেভিড কার্পেন্টার অনলাইনে হার্ভার্ডের কপিটি পর্যালোচনা করেন। বিশ্লেষণ এবং মিলিয়ে দেখার পর তিনি বিস্মিত হয়ে যান। এটি যে অনুলিপি নয়, দুষ্প্রাপ্য মূল সংস্করণ!

কার্পেন্টার বিষয়টি দ্রুত ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গোলিয়ার অধ্যাপক নিকোলাস ভিনসেন্টকে জানান। তাঁরা দুজনেই নিশ্চিত করেন, এটি অনুলিপি নয়, ম্যাগনা কার্টার মূল কপি। তবে ১২১৫ সালেরটি নয়। এটি ১৩০০ সালের ম্যাগনা কার্টার একটি মূল কপি, যা রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের সংস্করণ হিসেবে পরিচিত। এই হিসাবে মূল দলিলটির বয়স ৭২৫ বছর পার হয়ে গেছে।

ম্যাগনা কার্টা প্রথম গৃহীত হয়েছিল ১২১৫ সালে রাজা জনের আমলে। বিশ্বজুড়ে সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তি হিসেবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টার চারটি কপি সংরক্ষিত আছে। ১৩০০ সালের সংস্করণের আছে সাতটি। এর মধ্যে হার্ভার্ডে একটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ