কোরবানির ঈদে ৩০ লাখের বেশি বাস টিকিট নিয়ে প্রস্তুত bdtickets
Published: 17th, May 2025 GMT
সামনেই কোরবানির ঈদ। ১০ দিনের এক দীর্ঘ ছুটিতে ঢাকা ছেড়ে মানুষ ছুটবে প্রিয়জনের টানে। কেউ যাবে গাড়িতে, কেউ ট্রেনে, কেউবা আবার লঞ্চে চড়ে পাড়ি দেবে দূরপাল্লার পথ। প্রাথমিক হিসাব বলছে, এবার ঈদে প্রায় ২ কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। যাদের মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে বাসে। আর এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ঈদযাত্রাকে আরামদায়ক ও হ্যাসেল ফ্রি করতে দেশের সবচেয়ে বড় বাস টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম bdtickets নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।
bdtickets জানিয়েছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তারা প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাস টিকিট বিক্রি করবে www.
এ বিষয়ে bdtickets-এর হেড অব ক্যাম্পেইন শাফায়েত শাহনূর বলেন, ‘ঈদ মানেই আপনজনের কাছে ফেরার তাগিদ—মায়ের হাতের রান্না, বাবার ডাক, ছোট ভাইয়ের সঙ্গে গল্প...এই টানেই মানুষ ছুটে যায় নিজের শিকড়ে। কিন্তু সেই ফেরার পথটাই যখন হয় টিকিট সংকট, দীর্ঘ লাইন আর কালোবাজারির ভোগান্তিতে ভরা, তখন ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। আমরা চাই, মানুষ যেন সেই কষ্টটা না পায়। গরমে ঘেমে, বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ-bdtickets চায় সবাই যেন ঘরে বসেই, দিন-রাত যখন ইচ্ছে, অনলাইনে নিজের পছন্দের বাসের সিট কাটতে পারে, ন্যায্য দামে, নিশ্চিন্তে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে টিকিট খুঁজতে খুঁজতে অনেক সময় পছন্দের সিট তো দূরের কথা, বাসও মেলে না। তাই আগে থেকেই টিকিট কাটা বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ ভালো বাস, ভালো সিট পেলেই যাত্রাটা হয়ে ওঠে আনন্দময়।’
এ প্রসঙ্গে ইমতিয়াজ আহমেদ নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘গতবার ঈদে বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল টিকিটের জন্য। কিন্তু এবার bdtickets অ্যাপ থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাস সিলেক্ট করে পেমেন্ট করে ফেলেছি। এখন আরামে ঈদে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারছি।’
উল্লেখ্য, টিকিট বুকিং চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং যেকোনো প্রয়োজনে সপ্তাহের সাত দিন ১৬৪৬০ নম্বরে ফোন করে কাস্টমার কেয়ারের সহায়তা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া ঈদের আনন্দ শেষেও bdtickets গ্রাহকদের দেবে রিটার্ন টিকিটে আকর্ষণীয় অফার। বিস্তারিত জানতে হলে ভিজিট করুন bdtickets-এর ফেসবুক পেজে বা ওয়েবসাইটে।
বাড়ি ফেরা হোক হ্যাসেল ফ্রি!
ঈদে টিকিট মানেই-bdtickets।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।