সামনেই কোরবানির ঈদ। ১০ দিনের এক দীর্ঘ ছুটিতে ঢাকা ছেড়ে মানুষ ছুটবে প্রিয়জনের টানে। কেউ যাবে গাড়িতে, কেউ ট্রেনে, কেউবা আবার লঞ্চে চড়ে পাড়ি দেবে দূরপাল্লার পথ। প্রাথমিক হিসাব বলছে, এবার ঈদে প্রায় ২ কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। যাদের মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে বাসে। আর এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ঈদযাত্রাকে আরামদায়ক ও হ্যাসেল ফ্রি করতে দেশের সবচেয়ে বড় বাস টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম bdtickets নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।

bdtickets জানিয়েছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তারা প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাস টিকিট বিক্রি করবে www.

bdticktes.com ওয়েবসাইট থেকে। কোনো প্রকার এক্সট্রা চার্জ ছাড়াই। আর গ্রাহকেরা ঘরে বসেই তাঁদের পছন্দমতো বাস, সময় ও সিট নির্বাচন করে কোনো হ্যাসেল ছাড়াই কাটতে পারবেন বাস টিকিট। শুধু তা–ই নয়, পুরো প্রক্রিয়াটি হবে একদম ঝামেলাবিহীন ও স্বচ্ছ।

এ বিষয়ে bdtickets-এর হেড অব ক্যাম্পেইন শাফায়েত শাহনূর বলেন, ‘ঈদ মানেই আপনজনের কাছে ফেরার তাগিদ—মায়ের হাতের রান্না, বাবার ডাক, ছোট ভাইয়ের সঙ্গে গল্প...এই টানেই মানুষ ছুটে যায় নিজের শিকড়ে। কিন্তু সেই ফেরার পথটাই যখন হয় টিকিট সংকট, দীর্ঘ লাইন আর কালোবাজারির ভোগান্তিতে ভরা, তখন ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। আমরা চাই, মানুষ যেন সেই কষ্টটা না পায়। গরমে ঘেমে, বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ-bdtickets চায় সবাই যেন ঘরে বসেই, দিন-রাত যখন ইচ্ছে, অনলাইনে নিজের পছন্দের বাসের সিট কাটতে পারে, ন্যায্য দামে, নিশ্চিন্তে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে টিকিট খুঁজতে খুঁজতে অনেক সময় পছন্দের সিট তো দূরের কথা, বাসও মেলে না। তাই আগে থেকেই টিকিট কাটা বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ ভালো বাস, ভালো সিট পেলেই যাত্রাটা হয়ে ওঠে আনন্দময়।’

এ প্রসঙ্গে ইমতিয়াজ আহমেদ নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘গতবার ঈদে বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল টিকিটের জন্য। কিন্তু এবার bdtickets অ্যাপ থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাস সিলেক্ট করে পেমেন্ট করে ফেলেছি। এখন আরামে ঈদে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারছি।’

উল্লেখ্য, টিকিট বুকিং চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং যেকোনো প্রয়োজনে সপ্তাহের সাত দিন ১৬৪৬০ নম্বরে ফোন করে কাস্টমার কেয়ারের সহায়তা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া ঈদের আনন্দ শেষেও bdtickets গ্রাহকদের দেবে রিটার্ন টিকিটে আকর্ষণীয় অফার। বিস্তারিত জানতে হলে ভিজিট করুন bdtickets-এর ফেসবুক পেজে বা ওয়েবসাইটে।

বাড়ি ফেরা হোক হ্যাসেল ফ্রি!

ঈদে টিকিট মানেই-bdtickets।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’র বর্ষপূর্তি

এক বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন করেছে ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’। ২৯ জুন সংগঠনটির সদস্যদের অংশগ্রহণে কল্যাণপুরের অভিজাত রেস্টুরেন্ট ‘কাচ্চি মাশাআল্লাহ’তে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করতে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী দুই বোন সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী এবং ফ্যাশন ডিজাইনার, বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার ও উদ্যোক্তা ভূমির সভাপতি বিপ্লব সাহাসহ মিডিয়া অঙ্গনের জনপ্রিয় মডেল ও তারকারা। ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’-এর সদস্যরা সবাই একসঙ্গে হয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিকে আনন্দমুখর পরিবেশে হাসি, ঠাট্টা, গান আর স্মৃতিচারণের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের বুটিকশিল্পের মতো সম্ভাবনাময় শিল্পটি স্বাধীনতার পর এই এতগুলো বছরে আরও অনেক দূর যাওয়ার কথা ছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য এ দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি সবসময় অবহেলিত ছিল। রাষ্ট্রীয় কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই এখানে। সকল দায় যেন সব উদ্যোক্তার। মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে পার্শ্ববর্তী যত দেশ আছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা আমাদের দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে দখলে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ যেন আমাদের নিজস্বতাকে, আমাদের ইতিহাসকে, ঐতিহ্যকে, আমাদের সংস্কৃতিকে পরাভূত করার নেশায় মত্ত তারা।  
আমাদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতিকে দিয়ে আমাদের নিজস্ব ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার চেয়ে ধার করা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা।
বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার ও প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার নেতৃত্বে  ২০২৪ সালে এ দিনটিতে পথ চলা শুরু করে ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’। v
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ