বাঁধের নিচে বিদ্যালয়, বিপাকে শিক্ষার্থী!
Published: 17th, May 2025 GMT
বাঁধের নিচে চলে গেছে বিদ্যালয়। ঝুঁকিতে পড়েছে ভবন। বিপাকে শিক্ষক ও কমলমতি শিশুরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে মনু নদের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কারণে এমনটা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির নাম চাটিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নদী পারের চাটিমেলাগর গ্রামে অবস্থিত।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় বিদ্যালয়টি আজ ঝুঁকিতে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বিভাগ বলছে, তারা পুরাতন বাঁধের মেরামত কাজ হিসেবে বাঁধ নির্মাণ করেছে। নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যা হয়েছে তা জনস্বার্থে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয় ভবনের ছাদ বরাবর বাঁধের অবস্থান। বিদ্যালয় ভবনের পশ্চিম দিকের একটি রুমের জানালা পর্যন্ত মাটি ভরাট হয়েছে। বাঁধে ধস নামার শঙ্কায় ওই রুমে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাঁধের উচ্চতা ৮ ফুট হওয়ায় কমলমতি শিশুরা উঠানামা করতে পারছে না। হালকা বৃষ্টি আসলে পা পিছলে যায় তাদের। শিক্ষকরাও ঝুঁকি নিয়ে চলছেন।
কথা হয় ওই এলাকার সাবেক শিক্ষক মো.
এলাকার শিক্ষানুরাগি প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, “প্রথমে এলাকাবাসি বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধের কারণে বিদ্যালয়টি নদীর পেটে চলে গেছে। এখন নদীতে পানি বাড়লেই বিদ্যালয় নিমজ্জিত হয়ে যাবে। ভবনের ছাদ আর নদীর বাঁধ সমান হয়ে গেছে। এখন বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার প্রয়োজন।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিপনা রানী দে বলেন, “বৃষ্টি দিলে শিক্ষার্থীরা বাঁধের উপর থেকে নিচে নামতে পারে না। মাটির সিঁড়ি দেওয়া থাকলেও তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। বাঁধের কারণে একটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছি। আমরাও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছি না।”
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে রাজনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মো. নেয়ামত উল্লাহ বলেন, “বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ না করে জমি দখল করেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ করেছে। তারা বিদ্যালয়ের পাশ থেকে দুরে সরিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা পেতো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারণে বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ঝুঁকিতে পড়েছে। তারা আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বাঁধের পাশের একটি রুমে মাটি ধসের শঙ্কার কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।”
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, “জমি অধিগ্রহণ করার কোন সুযোগ ছিল না আমাদের হাতে। এতে বাঁধ সরানোর কোন ব্যবস্থা করা যায়নি। যে ভাবে পুরাতন বাঁধের অবস্থান ছিল সেভাবে আমরা মেরামত করেছি। বিদ্যালয়ের কোন জমি আমরা দখল করিনি।”
ঢাকা/আজিজ/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ ন র ম ণ কর ব দ য লয়ট অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁধের নিচে বিদ্যালয়, বিপাকে শিক্ষার্থী!
বাঁধের নিচে চলে গেছে বিদ্যালয়। ঝুঁকিতে পড়েছে ভবন। বিপাকে শিক্ষক ও কমলমতি শিশুরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে মনু নদের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কারণে এমনটা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির নাম চাটিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নদী পারের চাটিমেলাগর গ্রামে অবস্থিত।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় বিদ্যালয়টি আজ ঝুঁকিতে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বিভাগ বলছে, তারা পুরাতন বাঁধের মেরামত কাজ হিসেবে বাঁধ নির্মাণ করেছে। নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যা হয়েছে তা জনস্বার্থে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয় ভবনের ছাদ বরাবর বাঁধের অবস্থান। বিদ্যালয় ভবনের পশ্চিম দিকের একটি রুমের জানালা পর্যন্ত মাটি ভরাট হয়েছে। বাঁধে ধস নামার শঙ্কায় ওই রুমে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাঁধের উচ্চতা ৮ ফুট হওয়ায় কমলমতি শিশুরা উঠানামা করতে পারছে না। হালকা বৃষ্টি আসলে পা পিছলে যায় তাদের। শিক্ষকরাও ঝুঁকি নিয়ে চলছেন।
কথা হয় ওই এলাকার সাবেক শিক্ষক মো.হারুনুর রশিদের সাথে। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়াতে এলাকাবাসি কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।”
এলাকার শিক্ষানুরাগি প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, “প্রথমে এলাকাবাসি বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধের কারণে বিদ্যালয়টি নদীর পেটে চলে গেছে। এখন নদীতে পানি বাড়লেই বিদ্যালয় নিমজ্জিত হয়ে যাবে। ভবনের ছাদ আর নদীর বাঁধ সমান হয়ে গেছে। এখন বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার প্রয়োজন।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিপনা রানী দে বলেন, “বৃষ্টি দিলে শিক্ষার্থীরা বাঁধের উপর থেকে নিচে নামতে পারে না। মাটির সিঁড়ি দেওয়া থাকলেও তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। বাঁধের কারণে একটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছি। আমরাও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছি না।”
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে রাজনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মো. নেয়ামত উল্লাহ বলেন, “বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ না করে জমি দখল করেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ করেছে। তারা বিদ্যালয়ের পাশ থেকে দুরে সরিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা পেতো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারণে বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ঝুঁকিতে পড়েছে। তারা আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বাঁধের পাশের একটি রুমে মাটি ধসের শঙ্কার কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।”
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, “জমি অধিগ্রহণ করার কোন সুযোগ ছিল না আমাদের হাতে। এতে বাঁধ সরানোর কোন ব্যবস্থা করা যায়নি। যে ভাবে পুরাতন বাঁধের অবস্থান ছিল সেভাবে আমরা মেরামত করেছি। বিদ্যালয়ের কোন জমি আমরা দখল করিনি।”
ঢাকা/আজিজ/টিপু