ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে পেতে ‘সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ`
Published: 17th, May 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ‘সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ' করছেন তার সমর্থকরা।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে নগর ভবনের সামনে থেকে হাজারো মানুষ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যান। তারা গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, শিক্ষা ভবন ও বঙ্গবাজার হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
এর আগে আজ সকাল নয়টার দিকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভ শুরু করেন ইশরাক হোসেনের হাজারো সমর্থক। বিক্ষোভকারীরা ‘ইশরাককে মেয়র করো’, ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও’, ‘দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের পতন চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “ইশরাক হোসেন ওই সময় বেশি ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু তখন ভোট চোর হাসিনা ও তাপস কারচুপি করে তাপসকে মেয়র বানিয়েছিল। এখন আদালত ন্যায্য রায় দিয়েছে তবুও কেন এত টালবাহানা বুঝি না। আমাদের দাবি দ্রুত ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে হোক।”
হাসিব শিকদার নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “আদালত ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন গেজেট দিয়েছে। তারপরও এখন তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান সরকার আদালতের রায় ঠিকমতো পালন করছে কিনা সেটা একটা বিষয়। যদি তারা আদালতে রায় মেনে চলত তাহলে আমাদের রাস্তায় নামতে হতো না। ইশরাক হোসেনকে আরো আগে মেয়র হিসেবে দেখতাম।”
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এখন পর্যন্ত শপথের ব্যবস্থা করেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাই থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশর ক হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
চার কিশোরীর ধর্ষণ, হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়নি ৩৩ বছরেও
১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বরের রাত। টেক্সাসের অস্টিন শহরের ব্যস্ত এক বাণিজ্যিক এলাকায় ছোট্ট এক দইয়ের দোকান। সেখানেই ঘটে গেল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। দোকান থেকে উদ্ধার হলো চার কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। ১৩ বছরের অ্যামি এয়ারস, ১৫ বছরের সারা হারবিসন, ১৭ বছরের জেনিফার হারবিসন ও এলিজা থমাসকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে। তাদের গলা টিপে ধরা হয়েছিল, শরীর বেঁধে রাখা হয়েছিল দড়ি দিয়ে, মাথায় গুলি করা হয়েছিল—এরপর প্রমাণ নষ্ট করতে দোকানেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ড আজও অস্টিনবাসীর মনে এক দুঃসহ স্মৃতি। এইচবিও তাই চার পর্বের তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’ নির্মাণ করেছে, যেখানে আর্কাইভ ফুটেজ, তদন্তকারীদের বক্তব্য, আর নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-বন্ধুদের সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছে শোক, ক্ষোভ আর অসহায়তার চিত্র।প্রথম পর্বেই নিহত অ্যামি এয়ারসের বাবা বব এয়ারস বলেন, ‘৩০ বছর, ৭ মাস, ৫ দিন হয়ে গেল—তবু আজও বিশ্বাস করতে পারি না।’ প্রতি রবিবার রাত ১০টায় এইচবিওতে সম্প্রচারিত হচ্ছে এই তথ্যচিত্র সিরিজ। যারা ‘ট্রু ক্রাইম’ ধরনের তথ্যচিত্রে আগ্রহী, তাঁদের কাছে এটি দেখা, নিঃসন্দেহে এক ভয়ংকর আর হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ভেতরে যা দেখেছিলেন, তা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই সময়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন—‘চারদিকে ধোঁয়া, ভেজা সিলিং, গলে যাওয়া আসবাবের মধ্যেই দেখা যাচ্ছিল লাশগুলো। তিনটি একসঙ্গে, আরেকটি একটু আলাদা।’
এই হত্যাকাণ্ডে অস্টিন শহর শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। নিহত কিশোরীদের পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিরা ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল করেছিলেন, শহরের রাস্তায় টাঙানো হয়েছিল পোস্টার ও বিলবোর্ড, স্থানীয় সংগীতশিল্পীরা গান লিখেছিলেন তাঁদের স্মরণে। তবু ৩৩ বছর পরেও রহস্যের জট খোলেনি।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এইচবিওর নতুন তথ্যচিত্র ‘দ্য ইয়োগার্ট শপ মার্ডারস’। গত ৩ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে চার পর্বের তথ্যচিত্রটি। মুক্তির পর থেকে সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে তথ্যচিত্রটি।
তদন্ত ও ভেঙে পড়া বিচারপ্রক্রিয়া
ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই মেক্সিকোয় দুজনকে আটক করা হলেও তাঁরা জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ করলে মামলা এগোয়নি। ১৯৯৯ সালে অস্টিন পুলিশ আবারও চার তরুণকে গ্রেপ্তার করে—রবার্ট স্প্রিংস্টিন জুনিয়র, মাইকেল স্কট, মরিস পিয়ার্স ও ফরেস্ট ওয়েলবর্ন।