ইমিগ্রেশন জটিলতায় টানা তিন রাত দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর অবশেষে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। সব জটিলতা কাটিয়ে আজ থেকেই মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত এই দুই তরুণ ক্রিকেটার।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত বুধবার প্রথম বহরের সঙ্গে দেশ ছাড়েন রিশাদ ও নাহিদ। তবে দুবাইয়ে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন পেরিয়ে বিমানবন্দর ছাড়লেও অন্য সদস্যরা, আটকে দেওয়া হয় রিশাদ ও নাহিদকে।

বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ মিঠু গণমাধ্যমকে জানান, ‘দলের বাকি সদস্যরা ইমিগ্রেশন পেরিয়ে বের হয়ে গেলেও, রিশাদ ও নাহিদকে আটকানো হয় এবং পরে তাদের ওপরের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি কিছু সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগও সম্ভব হয়নি। অথচ তাদের ভিসা ঠিকঠাক করেই পাঠানো হয়েছিল।’

পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিসিবি। শুক্রবার মধ্যরাতের পর অবশেষে দলের সঙ্গে যোগ দেন রিশাদ ও নাহিদ। তাদের ছাড়াই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল।

ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষ করে পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার সময় তাদের ভ্রমণ-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থেকেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পিএসএল আকস্মিকভাবে স্থগিত হওয়ার পর অনেক বিদেশি খেলোয়াড়ের মতো রিশাদ ও নাহিদও বিশেষ ব্যবস্থায় আমিরাতে যান। সেই ব্যবস্থার কোনো ভুলেই হয়তো এবার বিমানবন্দরে বাধা পেতে হয়েছে তাদের।

আজ (শনিবার) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে সোমবার, একই মাঠে এবং একই সময়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।

সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। 

আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।

তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।

‎সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।

সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে। 

আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।

আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

‎এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ