তাপপ্রবাহ কমে বৃষ্টি বাড়তে পারে কিছুটা
Published: 18th, May 2025 GMT
তাপপ্রবাহ যাই যাই করেও যাচ্ছে না। খুলনা বিভাগে গতকাল শনিবার পর্যন্তও তাপপ্রবাহ ছিল। তবে এরই মধ্যে গতকাল বৃষ্টি খানিকটা বেড়েছে আগের দিনের তুলনায়। তাতে অবশ্য তাপপ্রবাহ একেবারে চলে যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রোববার বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়তে পারে। তাতে খুলনা অঞ্চলে যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা কমে যেতে পারে। তবে আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ আবার কমে আসতে পারে।
চলতি মে মাসের অর্ধেকের বেশি সময় চলে গেল। এ সময়টায় দেশের বিভিন্ন অংশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। চলতি বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ মাসেই। আবার এ মাসে যতটা এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল, তা এ বছর আর অন্য কোনো সময় দেখা যায়নি।
গতকাল খুলনা বিভাগে এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তাপপ্রবাহ ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বান্দরবানের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে তাপপ্রবাহ থাকলেও গতকাল কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে অপেক্ষাকৃত বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এর মধ্যে ২৭টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে গতকাল। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে।
এমন বৃষ্টি হলেও গরমের ভাবটা যে চলে গেছে, ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়; বরং একটা ভ্যাপসা গরম দেশের বিভিন্ন জায়গাজুড়েই অনুভূত হচ্ছে।
এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
এরই মধ্যে গতকাল রাতে খুলনা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে ওই বিভাগে আজ তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান শাহিনুল ইসলাম।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ বা ২৫ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এ থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার শঙ্কাও করছেন আবহাওয়াবিদদের কেউ কেউ। তবে বিষয়টি এখনো অতটা নিশ্চিত নয় বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, ২৪–২৫ তারিখের দিকে নিম্নচাপ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
যেসব লক্ষণ ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস দেয়
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ—এই চারটি বিষয় সরাসরি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে অনেক সময় দিনের বেলা যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, তার কিছু নিঃশব্দ বার্তা আমাদের ঘুমের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে দেখা দেয়া কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ টাইপ-টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে। সঠিক সময়ে এসব লক্ষণ চিনে না উঠলে তা পরবর্তীতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হতে পারে। ঘুমের মধ্যে যেসব লক্ষণ ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস দেয়:
১. ঘুমিয়ে উঠেও ক্লান্তিভাব: পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি শরীর চাঙ্গা না লাগে এবং দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে তা শরীরে ইনসুলিন কার্যকারিতার ব্যাঘাতের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসে শরীর সঠিকভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, ফলে ঘুমের পরও সতেজ অনুভব হয় না।
২. ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম: রাতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে বা ঘামিয়ে ঘুম ভেঙে গেলে সেটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া) লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘাম স্বাভাবিক ঘটনা নয় এবং অবহেলা করা উচিত নয়।
৩. ঘন ঘন প্রস্রাব পেয়ে ঘুম ভাঙা: রাতের বেলা বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের একটি প্রচলিত লক্ষণ। উচ্চমাত্রার রক্তশর্করা শরীরকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করে দিতে বাধ্য করে, যার ফলে ঘুম বারবার ভেঙে যেতে পারে।
৪. ঘুমের মধ্যে তীব্র পিপাসা অনুভব: ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা ঘুমের মাঝেই তীব্র পিপাসা বা মুখ শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
৫. হাত-পায়ে ঝিমঝিম বা অসাড়তা: ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু ক্ষতির (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি) কারণে রাতে ঘুমানোর সময় হাত-পায়ে ঝিমুনি, অস্বস্তি বা অসাড়ভাব অনুভূত হতে পারে।
এই ধরনের লক্ষণ বারবার দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সুস্থ জীবনধারা মেনে চলা—যেমন: নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করার অভ্যাস—টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।