নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে প্রথমে সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাতে সদরের খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত মামুন লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাতেন ভূঁইয়ার ছেলে। হাসপাতালে ভর্তি মামুন বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ের কাজে রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নাটোরের বিএনপি কর্মী সজীব, শাহীন, রব মিয়াসহ অনেকে আমাকে ধরে গাড়িতে তুলে আমিরগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসে।’

মামুন আরও বলেন, ‘এখানে এনে আমাকে ইচ্ছেমতো মারধর এবং কুপিয়ে জখম করে। আমাকে বাঁচাতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেয়নি তারা।’ 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাম আসা ব্যক্তিদের কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.

সুব্রত বলেন, রাতে মামুন নামে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা গুরুতর ছিল। মাথায় আঘাতসহ পায়ের দুই জায়গায় তার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।

সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আগেই স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় জখম

এছাড়াও পড়ুন:

জুড়ীতে পরীক্ষাকক্ষে প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, শোকজ

মৌলভীবাজারের জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে ব্ল্যাকবোর্ড ও খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপময় দাস চৌধুরী বলেন, ভিডিওটি তাঁদের নজরে আসার পর কেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার দুপুর থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মুঠোফোনে ধারণ করা ৩ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা চলছে। বেশ কিছু শিশুশিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। একজন সহকারী শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্নোত্তর লিখে দিয়েছেন। এক নারী অভিভাবক বেঞ্চে শিক্ষার্থীর পাশে বসে খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে দিচ্ছেন। এ সময় ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তি শিক্ষককে বলছিলেন, ‘ম্যাডাম, বোর্ডে উত্তর লিখে দিলেন কেন?’ জবাবে শিক্ষক বলেন, ‘যারা পারে না, শুধু তাদের জন্য লিখেছি।’ এভাবে কি পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে ভিডিও ধারণকারী প্রশ্ন করলে শিক্ষক বোর্ডে লেখা প্রশ্নোত্তর মুছে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩ মে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। ভিডিওটি ১৪ মে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে ধারণ করা হয়।

জানতে চাইলে চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধন সূত্রধর বলেন, ১৪ মে অসুস্থ থাকায় তিনি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে বসা ছিলেন। ঘটনাটি জানার পর ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তির সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকসহ বসেন। এ সময় তাঁরা প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক বলে স্বীকার করলে বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছেন। যথাসময়ে জবাব দেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ