চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে তিন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮০০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এসব রেমিট্যান্সের অর্ধেকের বেশি এসেছে দেশের ৬টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে।

এদিকে, আলোচ্য সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স আসায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে তিন মাসে দেশে আসা ৮০০ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১১৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৬১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৬০ কোটি ৩ লাখ ডলার। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৫৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৫৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ব্রাক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৫১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। 

আলোচ্য ছয় ব্যাংক মিলে অর্ধেকের বেশি বা ৫০ দশমিক ৮৪ শতাংশ রেমিট্যান্স আহরণ করেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে তিন মাসে যেসব দেশ থেকে অর্ধেকের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকের তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার বা ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সৌদি আরব থেকে এসেছে ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ৯৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ রেমিট্যান্স।

ঢাকা/এনএফ//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৭ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

হিলি কাস্টমসে রাজস্ব আদায় ৭১৯ কোটি টাকা 

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেঁধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি দিনাজপুরের হিলি কাস্টমস। ৭৪০ কোটি ৯ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ঘাটতি ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে হিলি কাস্টমস।

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, অক্টোবর মাসে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, নভেম্বর মাসে ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ৪৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৭০ কোটি ২ লাখ টাকা, মার্চ মাসে ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, এপ্রিল মাসে ৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, মে মাসে ৪৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১০১ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং জুন মাসে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। 

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেছেন, রাজস্ব আহরণে লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার কারণ বন্দরে বিগত বছরগুলোর তুলনায় আমদানি অনেক কম। আগে যেখানে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, বর্তমানে সেখানে আমদানি হয় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক পণ্য। এ কারণে রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়েছে। আমদানি বাড়লে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।

ঢাকা/মোসলেম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হিলি কাস্টমসে রাজস্ব আদায় ৭১৯ কোটি টাকা