প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস লুটপাট হওয়া সম্পদ ও অর্থ পুনরুদ্ধারের পর সেই সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “লুটপাট হওয়া অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা জনকল্যাণে ব্যবহার করা হবে।”

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

আরো পড়ুন:

শনিবার এমআরএ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা
দুটি নোবেল পাওয়ার জন্য চবি গর্ববোধ করতে পারে

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই তহবিল বর্তমান আইন অনুযায়ী গঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে তহবিল গঠনের জন্য আইন সংশোধন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, “আমি আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে এই তহবিল গঠন করা সম্ভব হবে। তবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে তা চালিয়ে নিতে হবে।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তহব ল গঠন র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সিগারেট বাজারজাত : জরিমানা, কারাদণ্ড 

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে রয়্যাল টোবাকো কোম্পানীতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সিগারেট বাজারজাত করার অভিযোগে ওই কোম্পানীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানীর পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (৪০) কে ১৪ দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় ১৪ হাজার প্যাকেট অবৈধ সিগারেট সহ প্রায় ২১ লাখ রি-ইউজড স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত মো. সাইফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে। 

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর গোদনাইল বাজারে এই কোম্পানীতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব-১১। বিকেলে র‌্যাব ১১ এর সিনিয়র এএসপি ও অপারেশন অফিসার গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের রয়্যাল টোবাকো কোম্পানীতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১১ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট। এ সময় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিগারেট উৎপাদনের দায়ে প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

এই কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে কোম্পানীর পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় প্রায় ১৪ হাজার প্যাকেট অবৈধ সিগারেট এবং প্রায় ২১ লাখ রি-ইউজড স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি ও অপারেশন অফিসার গোলাম মোর্শেদ এবং জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে চালুকৃত এই প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক প্রায় ৬ লক্ষ টাকা করে মাসিক প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। ৫০ শতাংশ অর্জিনাল স্ট্যাম্প এবং বাকি ৫০ শতাংশ রিইউজড স্ট্যাম্প দিয়ে তারা সিগারেট বিক্রি করে আসছিল। 

এর আগে ২০২৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালিত হয় এবং একই অভিযোগে সিলগালা করা হয়। সিলগালার ৭ দিন পর পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ