অত্যাধুনিক স্মার্ট ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন
Published: 19th, May 2025 GMT
সব ধরনের আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে অনেক বেশি টেকসই হয়। বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়
সমকাল: ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনারা ক্রেতার জন্য কী ধরনের নতুন পণ্য নিয়ে এসেছেন?
জোহেব আহমেদ: ঈদ উপলক্ষে ক্রেতার জন্য আমরা সম্প্রতি আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচারের ৭টি নতুন মডেলের ফ্রিজ এনেছি। এর মধ্যে রয়েছে এইট-ইন-ওয়ান কনভার্টেবল মোডের ডলবি সাউন্ডযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ২১.
সমকাল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে ফ্রিজ ভালো রাখতে সহায়তা করে?
জোহেব আহমেদ: ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের কুলিং পারফরম্যান্স, সেন্সরসহ অন্যান্য কম্পোনেন্টসে কোনো সমস্যা হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে তৎক্ষণাৎ নিজেই সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে, সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের বাসার কাছে সার্ভিস সেন্টারে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাসায় গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দেবেন। ফলে গ্রাহক ফ্রিজের কোনো অস্বাভাবিকতা বোঝার অনেক আগেই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবা। এ ছাড়া এআইওটি ফিচারসমৃদ্ধ ফ্রিজ গ্রাহকেরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করতে পারবেন।
নতুন মডেলের ফ্রিজগুলোতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ন থাকে। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় ওপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমে ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে না।
সমকাল: বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের কত মডেলের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে? দাম, কিস্তিসহ অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাই
জোহেব আহমেদ: ক্রেতার কাছে ফ্রিজ মানেই ওয়ালটন। সব শ্রেণিপেশা ও আয়ের ক্রেতার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে শত শত ডিজাইন ও মডেলের রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব ফ্রিজ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা। গ্রাহকরা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ নতুন মডেলের ফ্রিজ অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারবেন। বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের ‘মাল্টিমিডিয়া হাব’ ফ্রিজের দাম তিন লাখ টাকার থেকে বেশি। এদিকে ওয়ালটনের খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের অ্যান্ড্রয়েড ‘মাল্টিমিডিয়া হাব’ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা।
সমকাল: ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলে কোনো বিশেষ সুবিধা রয়েছে কি?
জোহেব আহমেদ: প্রতিটি বড় উৎসবেই
ক্রেতাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতার জন্য ‘মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ালটন ফ্রিজের প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। ঈদুল আজহা পর্যন্ত চলমান ক্যাম্পেইনের এই সিজনে আরও অনেক ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাবেন।
সমকাল: ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে বলুন।
জোহেব আহমেদ: ক্রেতাকে দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ১২ বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি এবং ৫ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা। দেশের প্রথম আইএসও সার্টিফায়েড ও সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৯০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন।
সমকাল: দীর্ঘদিন থেকে ফ্রিজে দেশের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এ অবস্থান ধরে রাখার পেছনের কারণগুলো কী?
জোহেব আহমেদ: সব শ্রেণিপেশার গ্রাহকের পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছি আমরা। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। পাশাপাশি রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। মূলত এসব কারণেই দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা অর্জন করে সুপারব্র্যান্ড হয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
সমকাল: সামনের দিনগুলোতে আপনারা কোন জায়গায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন?
জোহেব আহমেদ: দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আমাদের উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চাহিদা পরিবর্তিত আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় কেমন হবে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার।
সমকাল: রেফ্রিজারেটর বাজারে কোন কোন দিক থেকে ওয়ালটন অন্যদের থেকে আলাদা?
জোহেব আহমেদ: দেশের ফ্রিজের বাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগতমান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। আমাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে– সব ধরনের আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ অনেক বেশি টেকসই হয়। ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এ জায়গায় আমাদের সফলতা। ৫০ লিটার থেকে শুরু করে ৬৬০ লিটার পর্যন্ত ধারণক্ষমতার শত শত ডিজাইন ও মডেলের ফ্রিজ রয়েছে আমাদের। সব শ্রেণিপেশার গ্রাহকের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছি আমরা। এছাড়াও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের নিশ্চয়তায় আমাদের আছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ আফটার সেলস সার্ভিস নেটওয়ার্ক। মূলত এসব কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আলাদা ওয়ালটন ফ্রিজ; যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন ফ্রিজ টানা ১১ বারের মতো ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে।
সমকাল: ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কতটা নাগালে এসেছে?
জোহেব আহমেদ: আগে ফ্রিজ ব্যবহার হতো শুধু উচ্চবিত্তের ঘরে। ওয়ালটন ২০০৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফ্রিজ উৎপাদন শুরুর পর ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে মধ্যে এসে পড়ে। এখন সকল শ্রেণিপেশা ও আয়ের লোকের ঘরে পৌঁছে গেছে। ডলার সংকটের কারণে কাঁচামালের আমদানি খরচ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উৎপাদন ব্যয় যে অনুপাতে বেড়েছে সেই হারে আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। ফ্রিজের দাম গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখেছি। কেননা আমাদের কাছে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
সমকাল: ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে কোন কোন দেশে? রপ্তানির পরিমাণ কত? রপ্তানি নিয়ে আগামী দিনে ওয়ালটনের পরিকল্পনা কি?
জোহেব আহমেদ: ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ৫০টিরও বেশি দেশে রেফ্রিজারেটরসহ ফ্রিজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে ওয়ালটন। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতার চাহিদা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড এখন ওয়ালটনের। রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মেলাতেও অংশ নিচ্ছি আমরা।
শব্দ: ১০৫০/ সম্পাদনা: জাকির হোসেন
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক র ত র জন য জ হ ব আহম দ গ র হক র অন য ন য নত ন প আম দ র ড জ ইন ইউর প সমক ল
এছাড়াও পড়ুন:
আটক হয়নি কেউ আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মা ও দুই সন্তানকে হত্যার পর এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। মরদেহ তিনটি গতকাল শুক্রবার রাতে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
ময়নাতদন্ত শেষে রাতে নিহতদের বাড়ির পাশের একটি কবরস্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে হামলা করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। ওই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছেলে মো. রাসেল মিয়া ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুবির ছেলে নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার। তিনি বলেন, ‘একটি মোবাইল চুরির ঘটনার সূত্র ধরে আমাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়। বুধবার রাতে বাছির নামে এক যুবক আমার স্বামীকে ফোন করে সকালে পুরো পরিবারকে হত্যা করে ফেলার হুমকি দেয়। তিনজন পরিকল্পিত হত্যার শিকার।’
পালিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবারের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে মারধর বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে জড়ো করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের বাড়িতে পুলিশের পাহারা ছিল। বাড়ির তিনটি আবাসিক ভবন তালাবদ্ধ। বাইরে পাহারায় ছিল পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শুক্রবার ওই বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। তারা আরও জানান, নিহতদের কবর খুঁড়তে পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে। অন্য এলাকা থেকে লোক এনে কবর খুঁড়তে হয়েছে। এর পর মরদেহ রাতে পুলিশের তত্ত্বাবধানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এ সময় থানা পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শারমীন সুলতানা জানান, দুপুর ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করা হয়। বিকেলে সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাতে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিহতদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার গতকাল রাতে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। তিনি আরও
জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।