ধারাবাহিক অস্থিরতা ও জনসাধারণের মতামত
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদমুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাম্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে যেমন নানা ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে, তেমনি সামনে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গ। অবশ্য নিরাপত্তাহীন এখন সারাদেশের মানুষই। পর্যুদস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রত্যাশিত উন্নতি কোনোভাবেই হয়ে উঠছে না। খুন-জখম-মারপিট নিত্যকার স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একের পর এক দাবি নিয়ে রাজপথে হাজির হচ্ছে। যখন তখন যেখানে সেখানে অবস্থান নেওয়ার কারণে রাজধানী প্রায়ই নিশ্চল হয়ে উঠছে। দুঃসহ যানজটে মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। গত সপ্তাহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আবাসিক সুবিধাসহ তিন দফা দাবিতে কাকরাইলে রাস্তা অবরোধ করেন। বুধবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ডিপ্লোমাপড়ুয়া নার্সরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবন তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে। সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা চার দফা দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ কথা সত্য, দেড় দশকে গণতন্ত্রহীনতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় অব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাহীনতার পাহাড় জমে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংগত কারণেই প্রায় সব সেক্টরে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিষ্পেষিতরা রাজপথে দাবিদাওয়া জানাতে শুরু করেন। প্রথমদিকে যুক্তিগ্রাহ্য হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এলোপাতাড়ি দাবিদাওয়া ও ধারাবাহিক বিশৃঙ্খলায় প্রশ্ন করতেই হয়– সরকার কেন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছে? সরকার বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোগও নিচ্ছে; তাহলে সুশাসন অনুপস্থিত কেন? তাদের অগ্রাধিকার তবে কোন কোন ক্ষেত্রে?
২.
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলবার নেই। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পুলিশকে অপব্যবহারের ফলে এই বাহিনীর যে মনোবল ভাঙে, তা ফিরিয়ে আনবার যথাযথ ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি; পূর্বাপর বিবেচনা না করে নানা তুঘলকি সিদ্ধান্ত পুলিশ বাহিনীর ওপর চাপানো হচ্ছে। সর্বশেষ বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না! হায় বিধি! সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিধনে নিরস্ত্র পুলিশ বাহিনী আদৌ কী করে মোকাবিলা করতে যাবে– এই বিবেচনাও সরকার করছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একের পর এক হিমশিম খাওয়ার দৃষ্টান্ত রাখছেন, তখন এই ব্যক্তিকে একাধারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এর মানে কী? আমাদের দেশে কৃষি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান খাতের একটি– স্বরাষ্ট্র নিয়ে হাবুডুবু খাওয়া ভদ্রলোককেই কেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করতে হবে? দেশে কৃষিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই!
একইভাবে কোন বিবেচনায় বা মাপকাঠিতে কোনো কোনো উপদেষ্টার হাতে তিন-চারটি করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, তা কেউ জানে না। দেশে কাজ করবার মতো ব্যক্তিবর্গের এত অভাব? এত যে সংস্কার বলে সরকারি তরফ থেকে উচ্চ নিনাদে বারতা জানানো হচ্ছে বারংবার; মন্ত্রণালয় বা আমলাতন্ত্র পরিচালনায় সরকারের ৯ মাসে আদৌ কোনো রকম সংস্কার প্রস্তাব বা উদ্যোগ দেখা গিয়েছে? না, যায়নি। যে গড্ডল প্রবাহে আওয়ামী লীগ বা আগের সরকারগুলো মন্ত্রণালয় ও আমলাতন্ত্র পরিচালনা করেছে, সেই একই ধারায় বর্তমান সরকারও নিজেদের কাজ চালাচ্ছে। কোনো পরিবর্তন নেই।
৩.
চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় ও লাভজনক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আওয়ামী লীগ সরকার। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা তখনই সিদ্ধান্তটির বিরোধিতা করেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের দিয়ে এ কাজ করাতে হবে, যেভাবেই হোক’ (প্রথম আলো, ১৫ মে ২০২৫)।
আমরা জানি, একটি রাষ্ট্রের যে কোনো কিছুর সাফল্য নির্ভর করে সুশাসনের ওপর। সুশাসনই তদারকি নিশ্চিত করে। যথাযথ তদারকি বা জবাবদিহি না থাকলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানও ব্যর্থ হতে বাধ্য। তবে এই বিতর্ক এখন কেন? কিংবা মিয়ানমার করিডোর? সেন্টমার্টিন নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা! দেশের মানুষের সামনে বর্তমানে বন্দর ব্যবস্থাপনা, করিডোর বা সেন্টমার্টিন বেশি জরুরি, নাকি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বেশি জরুরি?
যে গণতন্ত্রের দাবিতে, জাতিসংঘের হিসাবমতে ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের প্রধান কর্তব্য। সেটি অনুপস্থিত হয়ে অনুল্লেখ্য কর্তব্যে সরকার মনোযোগী হয়ে ওঠায় চারদিকে নানা খাতে অস্থিরতা ও অবিশ্বাস ঘন হয়ে উঠছে। সেই কাজে সরকার গত ৯ মাসে কতখানি আগ্রহ দেখিয়েছে, তা এরই মধ্যে নানা সন্দেহের অবতারণা করেছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক, নানা কথাবার্তা– এসবে সাধারণ মানুষের ক্লান্তি আরও বাড়ে। সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে এত ঢাকঢাক গুড়গুড় করতে হয় কেন? অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চিত করবে যাতে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকে; মানুষ ইচ্ছামতো নিজের ভোট দিতে পারে। এ জন্য ন্যূনতম যতখানি পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি জরুরি, তা নিয়ে সরকারকে ব্যগ্র হতে দেখি না। বরং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব যমুনা টেলিভিশনের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘(বন্দর ব্যবস্থাপনা) মতৈক্যের বিষয় না। কয়দিন পরে বলবেন, আপনাদের মতৈক্য ছাড়া ট্যাক্সও উঠাবেন না।... আমি বিপ্লবের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছি এখানে। (বন্দর ব্যবস্থাপনা) বিদেশিদের হাতে দিলে জব তৈরি হবে। দশ-পনের বছর ধরে উন্নয়নের গল্প করেছেন, কিন্তু জব ছিল না। ইয়াংম্যান আর অ্যাংরি, ইয়াংওম্যান আর অ্যাংরি!’ (১৭ মে, যমুনা টেলিভিশন)।
বিপ্লবের ম্যান্ডেট? দুঃখিত, জনগণের ম্যান্ডেট এভাবে দাবি করবার বিষয় নয়। এই ভাষা ও ভঙ্গি অগণতান্ত্রিক। যে দেশে গত দেড় দশকে অন্তত তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে মানুষকে অপমান ও লাঞ্ছিত করার পরিণতি কড়ায় গণ্ডায় ক্ষমতালোভীদের বুঝিয়ে দিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা; সেই দেশে গণতন্ত্রের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। সাধারণ মানুষ তার দরজায় ভোটপ্রার্থীর নম্র চেহারাই দেখতে চায়। স্বৈরাচারের উদ্ধত-অহংকারী দম্ভের পরাজয় ঘটবার ৯ মাস পরও আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সংকল্প ও নিষ্ঠার সুস্পষ্ট প্রকাশের ঘাটতি আপত্তিকর। তার বদলে অপ্রয়োজনীয় কাজের জানালা খোলার চেষ্টাও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
আমরা ঘরপোড়া জাতি। সিঁদুরে মেঘ দেখলে তাই ভয় পাই। এ দেশে ক্ষমতার চেয়ার বড়ই আরামদায়ক। ক্ষমতাবানেরা সব পেয়েছির বাদশায় পরিণত হন। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, গণতন্ত্রের জন্য যে বিপুল আত্মত্যাগ ও সুদীর্ঘ আন্দোলনের পথরেখা, তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে অতিদ্রুত সরকার সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে। সরকার তার অগ্রাধিকার কার্যতালিকা ঘোষণা করলেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ অপেক্ষমাণ হয়ে শান্ত হবে। প্রত্যেকেই বিশ্বাস করতে চায়– তার ভোটে নির্বাচিত সরকার এসে ধাপে ধাপে সকলের দাবি পূরণে কাজ শুরু করবে।
মাহবুব আজীজ: উপসম্পাদক, সমকাল; সাহিত্যিক
mahbubaziz01@gmail.com
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণতন ত র র সরক র র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কথার আগে গুলি চালায় ‘কাকন বাহিনী’, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া। পদ্মায় ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছিলেন ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাসের লোকজন। হঠাৎ নদীর কুষ্টিয়া প্রান্ত থেকে স্পিডবোট ও বড় নৌকায় আচমকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ছুটে আসে একদল দুর্বৃত্ত। আতঙ্কে শ্রমিকেরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। প্রায় ৫০টি গুলি করার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও নদীপারের বেশ কয়েকটি বাড়ির টিনের বেড়া ও চালা গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনা ১৩ অক্টোবরের। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, বালুমহালের ইজারাকে কেন্দ্র করে এভাবে হঠাৎ এসে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেন ‘কাকন বাহিনী’র সদস্যরা। বালু লুট, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, জমির দখল নিয়ে এই বাহিনীর সদস্যদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাঁদের কাছে এখন রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লালপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিস্তীর্ণ পদ্মার চরের মানুষেরা জিম্মি।
সর্বশেষ গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দৌলতপুরের পদ্মা নদীর দুর্গম চরে এই বাহিনীর গুলিতে দুই কৃষক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন। নিহত দুজন মণ্ডল গ্রুপের আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬) বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি বলছে, একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাকন বাহিনীর সদস্য লিটনও (৩০) নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানের নাম অনুসারে বাহিনীর নাম ‘কাকন বাহিনী’। এই বাহিনী পদ্মা নদীতে স্পিডবোট নিয়ে নিয়মিত সশন্ত্র মহড়া দেয়। সম্প্রতি ড্রোন দিয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা তার ভিডিও ধারণ করে প্রশাসনকে দিয়েছেন। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও কাকন বাহিনীর দাপটে এলাকার কৃষকেরা তাঁকে চাঁদা না দিয়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। গত সোমবার কাশবন দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গোলাগুলির সূত্রপাত ঘটেছিল।
বাহিনীটির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আপনারা দেখতে পাবেন, পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে।’
আরও পড়ুনদুজনকে হত্যার ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ কাকনকে প্রধান আসামি করে মামলা২৯ অক্টোবর ২০২৫পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গম চরে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এসব বাহিনীর সদস্যরা চরের বালু ও জমি দখল নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটান। তাঁরা এক চরে অপরাধ করে আরেক চরে গিয়ে আশ্রয় নেন। কখনো চরের বিশাল কলাবাগান, আবার একেবারে সীমান্তের শূন্যরেখায় মাঠের মধ্যে গিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন তাঁরা।
চার জেলাজুড়ে বিস্তৃত পদ্মার দুর্গম এই চরাঞ্চলে প্রায় ২০ বছর আগেও দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর উত্থান ঘটেছিল। তাদের ভাগ না দিয়ে কেউ চরের ফসল ঘরে তুলতে পারতেন না। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের হাতে ওই সময় ৪১ জন মানুষ খুন হন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তখন চরের মাটিতে পা দিতে গা ছমছম করত। দুই বাহিনীর নাম ছিল ‘পান্না বাহিনী’ ও ‘লালচাঁন বাহিনী’। পান্নার ওস্তাদ ছিলেন এই কাকন।
২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম আলোতে ‘বাঘা-লালপুর দৌলতপুরের তিন গ্রামে পান্না বাহিনীর সন্ত্রাস, ৬০ পরিবার বাড়িছাড়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার কিছুদিন পরেই ‘ক্রস ফায়ারে’ পান্না নিহত হন। একইভাবে তাঁর প্রতিপক্ষ লালচাঁনসহ দুই বাহিনীর অন্তত ২৫ জন সদস্য নিহত হন। তারপর শান্ত হয়েছিল পদ্মার চর।
যেভাবে উত্থান ‘কাকন বাহিনীর’বাহিনীর প্রধান মো. রোকনুজ্জামান কাকন ওরফে ইঞ্জিনিয়ার কাকন