লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার পর সবার চোখ ছিল দলটির ১০ নম্বর জার্সির দিকে। ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত এই জার্সি পরে একের পর এক ইতিহাস গড়ে নিজেকে সর্বকালের সেরার কাতারে নিয়ে যান মেসি। ফলে এমন আইকনিক জার্সির চাপ নেওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না।

পাশাপাশি মেসির আগেও এই জার্সি যাঁদের গায়ে উঠেছে, তাঁদের অনেকেই কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন। মেসির আগে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি ছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিওর গায়ে। এর আগে এই জার্সি পরতেন আর্জেন্টাইন তারকা হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে এবং তাঁর আগে আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রিভালদো। সেই ধারাতেই মেসির গায়ে এই জার্সি ছিল ১৩ বছরের মতো। ফলে মেসি ক্লাব ছাড়ার পর স্বাভাবিকভাবেই সবার দৃষ্টি ছিল এই জার্সির দিকে।

শেষ পর্যন্ত ২০২১-২২ মৌসুমে এই জার্সি দেওয়া হয় সম্ভাবনাময় তারকা আনসু ফাতিকে। সে সময় মেসির বিকল্প হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করা হচ্ছিল। বল পায়ে মাঠে নেমে নিজের ঝলকও দেখাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১০ নম্বর জার্সির চাপে কি না কে জানে, একপর্যায়ে ভেঙে পড়লেন ফাতি।

আরও পড়ুনমেসির ১০ নম্বর জার্সির উত্তরসূরি খুঁজে নিল বার্সা০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

একের পর এক চোট তাঁকে বার্সায় থিতু হতে দিল না। মাঝে ব্রাইটনে গিয়ে ধারেও খেলেছেন। এখন অবশ্য বার্সেলোনাতেই আছেন। শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে সব মিলিয়ে খেলেছেন ১১ ম্যাচ; ১০ নম্বর জার্সিধারী একজন খেলোয়াড়ের জন্য যা বেমানানই বটে।

বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল পরবেন ১০ নম্বর জার্সি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই জ র স

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি ইশরাক সমর্থকদের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর জন্য বুধবার (২১ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া না হলে ঢাকা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।  

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে ডিএসসিসি’র নগর ভবনের সামনে চলমান ষষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন ঢাকাবাসীর পক্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান। 

মশিউর রহমান বলেন, “বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষণা না এলে আমরা ঢাকাকে অচল করে দেব। নগরবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই আমরা থামাব না।”

আরো পড়ুন:

বৃষ্টি মাথায় কাকরাইলে তিন কারাখানার শ্রমিকদের অবস্থান

নগর ভবনের সামনে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি

এর আগে, আজ সকাল ১০টা থেকেই নগর ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে কর্মসূচি আন্দোলন করেন। এসময় ইশরাক সমর্থকদের অনেকেই মঞ্চে বক্তব্যে দেন। 

বক্তারা বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিকে দায়িত্ব না দেওয়া গণতন্ত্রের প্রতি চরম অবজ্ঞা। আমরা তা মেনে নেব না।

গত বুধবার থেকে চলা এই অবস্থান কর্মসূচির ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নগর ভবন। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। ঢাকার নাগরিকদের জন্য ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে থাকে ডিএসসিসি, যার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা, জন্মনিবন্ধন, কর আদায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মশক নিধনসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা রয়েছে।

সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা সানাউল জক বলেন, “জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য এসেছিলাম। এসে দেখি, অফিস পুরো বন্ধ। কেউ কোনো তথ্যও দিচ্ছে না।”

আন্দোলনকারীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে একই স্থানে আরো বৃহৎ পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। 

ডিএসসিসির পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়ন এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নগর সেবায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, “যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়রকে দায়িত্ব না দিয়ে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত আসে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমরা নগর সেবা বন্ধ রেখে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাব।”

জানা গেছে, ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মালি, জল সরবরাহ এবং নির্মাণ বিভাগের কর্মচারীরাও কর্মবিরতিতে অংশ নেবেন। এতে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ