অবশেষে বার্সেলোনার ‘১০ নম্বর’ জার্সি খুঁজে পাচ্ছে ‘নতুন মেসি’কে
Published: 20th, May 2025 GMT
লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার পর সবার চোখ ছিল দলটির ১০ নম্বর জার্সির দিকে। ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত এই জার্সি পরে একের পর এক ইতিহাস গড়ে নিজেকে সর্বকালের সেরার কাতারে নিয়ে যান মেসি। ফলে এমন আইকনিক জার্সির চাপ নেওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না।
পাশাপাশি মেসির আগেও এই জার্সি যাঁদের গায়ে উঠেছে, তাঁদের অনেকেই কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন। মেসির আগে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি ছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিওর গায়ে। এর আগে এই জার্সি পরতেন আর্জেন্টাইন তারকা হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে এবং তাঁর আগে আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রিভালদো। সেই ধারাতেই মেসির গায়ে এই জার্সি ছিল ১৩ বছরের মতো। ফলে মেসি ক্লাব ছাড়ার পর স্বাভাবিকভাবেই সবার দৃষ্টি ছিল এই জার্সির দিকে।
শেষ পর্যন্ত ২০২১-২২ মৌসুমে এই জার্সি দেওয়া হয় সম্ভাবনাময় তারকা আনসু ফাতিকে। সে সময় মেসির বিকল্প হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করা হচ্ছিল। বল পায়ে মাঠে নেমে নিজের ঝলকও দেখাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১০ নম্বর জার্সির চাপে কি না কে জানে, একপর্যায়ে ভেঙে পড়লেন ফাতি।
আরও পড়ুনমেসির ১০ নম্বর জার্সির উত্তরসূরি খুঁজে নিল বার্সা০১ সেপ্টেম্বর ২০২১একের পর এক চোট তাঁকে বার্সায় থিতু হতে দিল না। মাঝে ব্রাইটনে গিয়ে ধারেও খেলেছেন। এখন অবশ্য বার্সেলোনাতেই আছেন। শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে সব মিলিয়ে খেলেছেন ১১ ম্যাচ; ১০ নম্বর জার্সিধারী একজন খেলোয়াড়ের জন্য যা বেমানানই বটে।
বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল পরবেন ১০ নম্বর জার্সি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই জ র স
এছাড়াও পড়ুন:
পৃষ্ঠপোষকতা চাইলেন আফঈদা-স্বপ্না
মিয়ানমার থেকে ফেরার পর রোববার গভীর রাতে হাতিরঝিলেরে অ্যাম্পিথিয়াটারে সংবর্ধনা দেয়া হয় প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট কাটা বাংলাদেশ নারী দলকে। সোমবার দুপুরে দৈনিক সমকালের কার্যালয়ে এসে অধিনায়ক আফঈদা এবং মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী জানান, নারী ফুটবলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত।
দুই নারী ফুটবলার ঘুরে দেখেন সমকাল কার্যালয়। তাদের পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। বাংলাদেশের ফুটবলের সাফল্যের জন্য মেয়েদেরকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করা মেয়েদের নিয়েই বেশি আলোচনা দেশের ফুটবলে। অনেকের মতে বাংলাদেশের ফুটবলে এটা নবজাগরন। সাফল্য এনে দিলেও এই মেয়েদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়না। গত বছর সাফ জেতার পর ঘোষিত দেড় কোটি টাকা এখনো বুঝিয়ে দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আর এএফসি উইমেন্স এশিয়া কাপ নিশ্চিত করার পরও বাফুফে থেকে দেওয়া হয়নি পুরস্কারের কোনো ঘোষণা। ক্রিকেটের মতো পৃষ্ঠপোষকরা সেভাবে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হয় না। যেখানে ক্রিকেটার তাসকিন, ফুটবলার হামজারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্পন্সর পান নারী ফুটবলারদের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না।
এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করার পর এখন নারী ফুটবলে স্পন্সররা এগিয়ে আসবেন এমন আশা ব্যক্ত করেছেন মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী, ‘নারী দলের সাফল্যে আমি মনে করি এখন স্পন্সরদের এগিয়ে আসা উচিত।’