জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের ১৯তম আসর। রাজধানীর শেরাটন হোটেলে গত সোমবার রাতে তারকাখচিত আয়োজনে এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পর্দা নামে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান, চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন, রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, ফেরদৌস ওয়াহিদ, রফিকুল আলম, মো.

খুরশীদ আলম, প্রকল্প পরিচালক রাজু আলীমসহ প্রবীণ-নবীন তরুণ প্রজন্মের সব খ্যাতিমান শিল্পীরা।

এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন নজরুল সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস আরা। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শফি মণ্ডল, ফেরদৌস ওয়াহিদ, মিলা, সাগর বাউল, কোনাল, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তরিক মৃধা, শারমিনসহ সেরাকণ্ঠ খুদে গানরাজ-এর শিল্পীরা।
১৯টি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন যারা–

আধুনিক গান-শ্রেষ্ঠ শিল্পী কর্ণিয়া, ইউটিউবে কমপক্ষে ১ লাখ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে আধুনিক গানের শ্রেষ্ঠ শিল্পী ক্যাটেগরিতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন শারমিন রমা, আধুনিক গান-শ্রেষ্ঠ সুরকার মেহেদী, আধুনিক গান-শ্রেষ্ঠ গীতিকার লালন লোহানী, শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড আর্টসেল, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আরিফ আল হক, শ্রেষ্ঠ দ্বৈত সংগীতশিল্পী সাব্বির জামান ও আফরোজা রুপা, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পী [পল্লীগীতি ও মরমি] তরিক মৃধা।
ইউটিউবে কমপক্ষে ১ লাখ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে লোকসংগীত ক্যাটেগরিতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী সাব্বির নাসির, ছায়াছবির গান-শ্রেষ্ঠ শিল্পী রিয়াদ [‘ঈশ্বর’ গানের জন্য), ইউটিউবে কমপক্ষে ১ লাখ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে ছায়াছবির গান শ্রেষ্ঠ শিল্পী ক্যাটেগরিতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী বালাম ও কোনাল [চলচ্চিত্র ‘প্রিয়তমা’]।

ছায়াছবির গান-শ্রেষ্ঠ সুরকার প্রিন্স মাহমুদ-‘ঈশ্বর’ [চলচ্চিত্র ‘প্রিয়তমা’]। ছায়াছবির গান-শ্রেষ্ঠ গীতিকার আসিফ ইকবাল [মেঘের নৌকা], শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও নির্মাতা রেজাউল করিম কাজল [চুড়ির তালে নুরির মালা], শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও শিল্পী ফেরদৌস আরা [চুড়ির তালে নুরির মালা], শ্রেষ্ঠ নজরুল সংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ [কেন চাঁদনী রাতে], শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত এটিএম জাহাঙ্গীর [যদি প্রেম দিলে না], শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী অনিরুদ্ধ শুভ [ভাল্লাগে না], শ্রেষ্ঠ অডিও কোম্পানি ধ্রুব মিউজিক স্টেশন। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০