কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম
Published: 21st, May 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ফার্মেসি বিভাগে অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের রোড ম্যাপ দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষক সংকট নিরসন চাই’, ‘শিক্ষক সংকট নয়, চাই শিক্ষার অগ্রগতি’, ‘শিক্ষক ছাড়া শিক্ষা অচল’, ‘জটমুক্ত বিভাগ চাই’, ‘শিক্ষক চাই, এখনই চাই’, ‘অনলাইনে নয়, অফলাইনে সব কোর্স চাই’, ‘শিক্ষক বাড়াও, বিভাগ বাঁচাও’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার
যবিপ্রবিতে প্রযুক্তি খাতে নারীদের উন্নয়ন-বিষয়ক সেমিনার
মানববন্ধনে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া ইসলাম তারিন বলেন, “বিভাগের শিক্ষক সংকট নিয়ে আমরা ডিন স্যারের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের মা বাবা তুল্য, আপনারা এভাবে আমাদের সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। আমরা দ্রুত আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ চাই।”
ফার্মেসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বলেন, “আমাদের বিভাগে কাগজে কলমে ১২ জন শিক্ষক থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। তার মধ্যে একজন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। সবমিলিয়ে বলা যায় মাত্র চারজন শিক্ষক ক্লাস নেন। যাদের ভাগে প্রত্যেকটা ব্যাচের দুইটা করে কোর্স থাকে। এজন্য আমরা সেশনজটে পড়ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আমাদের বিভাগে যেন অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।”
কুবির ফার্মেসি বিভাগে মোট ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে সাতজন শিক্ষা ছুটিতে আছেন। ফলে মাত্র পাঁচজন শিক্ষক নিয়ে চলছে বিভাগটি।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথবাহিনী বন্ধ করল জনতার বাজার, তাৎক্ষণিক জমে উঠল মেলার বাজার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে পশুরহাট শনিবার বসতে দেয়নি আইনশৃংখলা বাহিনী। জনতার বাজার বন্ধ ঘোষণার পরপরই বাজার রক্ষার জন্য ‘দিনারপুর পরগনাবাসী’ ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়।
জনতার বাজার বন্ধ হয়ে গেলে হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে তাৎক্ষণিক বসানো হয় গরুর হাট। জনতার বাজার থেকে ওই বাজারটি ৫০০ থেকে ১ হাজার ফুট দূরে।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টিম জনতার বাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। এই বাজারে আসা লোকজন ও ব্যবসায়ীদের গরু নিয়ে বাজার ত্যাগ করার জন্য মাইকিং করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে বিপাকে পড়েন বাজারে আসা হাজারো গরু ব্যবসায়ী। পরে তারা নিরূপায় হয়ে পাশের হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে গরু নিয়ে ওঠেন। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে কয়েক হাজার গরু জমায়েত হলে পুরো বাজারটি জমে ওঠে।
জনতার বাজার পরিচালনা কমিটি বলছে, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন তাদের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে এই অভিযোগে দিনারপুর পরগনাবাসী নামে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ডা. আবুল কালাম আজাদ, আব্দুশ শহীদ, আব্দুর রশিদ, ময়না মিয়া, কাজী জাহিদ আহমদ, সাবেক মেম্বার স্বপন মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান হাটটিকে অবৈধ ঘোষণা করে ৩১ জানুয়ারির পর হাট বন্ধের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং ও নোটিশও টাঙানো হয়। নির্দেশনায় উল্লেখ ছিল, মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অনুমোদনহীন হাট পরিচালনা করলে হাট-বাজার আইন ২০২৩ এবং মহাসড়ক আইন ২০২১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। তবে এসব নির্দেশনার বিরুদ্ধে জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন। তখন জেলা প্রশাসনের আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর পর থেকে বাজারটি থেকে কোনো রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে না। ফলে বাজার পরিচালনা কমিটি প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছে।